সাউথ আফ্রিকা সেমিতে খেলবে না নিশ্চিত হলেও বাংলাদেশের চাইতে খারাপ খেলবে তা নাও হতে পারে।
এই মডেলের সমালোচনায় অনেকে বলবেন, এত ইতিহাস-ভূগোল মেনে টুর্নামেন্ট হয় না, তাহলে ১৯৮৩ তে ভার‍ত, ১৯৯২ এ পাকিস্তান আর ১৯৯৬ এ শ্রীলংকা চ্যাম্পিয়ন হত না। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট টুর্নামেন্টে দল কীরকম শেপে আছে তার ভিত্তিতেই রেজাল্ট আসে।
১৯৯২ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটে। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলে বলে তুলনামূলক দুর্বল দল বিচ্ছিন্নভাবে ২-১টা ম্যাচ ভালো করলেও সমগ্র টুর্নামেন্টে কনসিসটেন্সি ধরে রাখাটা বিষম চ্যালেঞ্জ।
একই কারণে টেস্টে আপসেট ওয়ানডে বা টি২০ এর তুলনায় কম ঘটে৷ এতগুলো সেসন দুর্বল দল ডমিনেট কর‍তে পারে না। এখানেই অভিজ্ঞতা, ইতিহাস পার্থক্য গড়ে দেয়।
নক আউট ফরম্যাটে তবু কিছুটা আশা থাকে, যেহেতু ম্যাচ সংখ্যা কম। বাংলাদেশ ৩৬ বছর ধরে এশিয়া কাপ খেলে, কখনো ট্রফি জিততে পারেনি। মেজর কোনো টুর্নামেন্টেও সাফল্য নেই। সেই দল হঠাৎ করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলে সেটা মিরাকল। ২০০৩ বিশ্বকাপে কেনিয়া এবং ৯৬ তে শ্রীলংকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা সুবিধা পেয়েছিল, ম্যাচ না খেলেও পয়েন্ট, তাছাড়া বিশ্বকাপের ফরম্যাটও ছিল নক আউট। শ্রীলংকা চ্যাম্পিয়ন হতেও অতগুলো ম্যাচ খেলেনি, যতগুলো খেলবে সেমিতে উঠার লড়াইয়ে না থাকা জিম্বাবুয়ে বা আফগানিস্তান। এখানেই পার্থক্যটা।
তাই কোয়ালিফায়ারে নাম্বার ৩ এ থাকাটা শুভংকরের ফাঁকি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এসেছিল করোনাকালে অতি নিম্নমানের দল নিয়ে, জিম্বাবুয়ে তখনো এখনকার মতো ফর্মে ছিল না, নিউজিল্যান্ডে হোয়াইটওয়াশ। সাউথ আফ্রিকায় জেতাটাই একমাত্র রিমার্কেবল ঘটনা। কিন্তু সাউথ আফ্রিকা নিজেই তো সেমি সমীকরণে অনুপস্থিত।
পয়েন্ট ২- নিজেদের ইতিহাসের সেরা দল যাচ্ছে প্রচারণা৷ এটাও সর্বাংশে মিথ, বরং আমি এই দলের মধ্যে ২০০৩ আর ২০১১ দলের সংমিশ্রণ পাচ্ছি। আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের সেরা দল ছিল ২০০৭ আর ২০১৫ তে। ২০০৭ এর দলটা অনেক বেশি ডাকাবুকো ধরনের, সাহসের কমতি নেই। ২০১৫ তে সেই ব্যাচের প্লেয়ারগুলোই প্রাইম অবস্থানে ছিল। সঙ্গে এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে সৌম্য, তাসকিন, সাব্বির৷ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর রুবেল হোসেনের পুনর্জন্ম, মুশফিকের ব্যাটিং অর্ডার বদলে দেয়া— সবকিছুই অনেক ডায়নামিক।
২০১৯ বিশ্বকাপের দলে কোনো ওয়াও ফ্যাক্টর ছিল না, বরং মিরাজ আর সাইফুদ্দিনের মতো মিনি অলরাউন্ডার, মুস্তাফিজের নিষ্ক্রিয়তা, আনফিট মাশরাফি মিলিয়ে বোলিংয়ের অবস্থা ছিল অতি জঘন্য। ব্যাটিংয়েও সাকিব আর আংশিক মুশফিক বাদে পুরো ইউনিট ফ্লপ। মাহমুদুল্লাহ বোলিং করেনি, খেলেছে ইনজুরি লুকিয়ে।
ব্যাটিংয়ের ব্যাপারটা টুর্নামেন্টের আগে বোঝা না গেলেও বোলিং প্রথম থেকেই এক্সপোজড। যে কারণে ৯ ম্যাচের ৬টাতেই আমরা ৩০০+ রান কনসিড করেছি। নিউজিল্যান্ড আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পাওয়ায় সেই পরিস্থিতি ছিল না। শ্রীলংকা ম্যাচ পরিত্যক্ত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড রীতিমত কচুকাঁটা করেছে।
তাই ২০১৯ এর দল নিয়ে আদিখ্যেতা সবটাই মিথ।
২০২৩ এর দলেও একই ধরনের চিত্র। ২০২৩ এর প্রেক্ষাপটে দলের মূল ডিসাইডিং ফ্যাক্টর এবং প্যারাডক্স তামিম-লিটন এবং সাকিব। এই ৩ ক্যারেক্টারের পাজল কীভাবে সমাধান করা হচ্ছে তার ভিত্তিতেই সামগ্রিক রেজাল্ট নিয়ন্ত্রিত হবে অনেকটাই।
এই দলের ব্যাটিং বলতে কিচ্ছু নেই। তামিমের দলেই জায়গা পাওয়া উচিত নয়, সেখানে সে অধিনায়ক। লিটন সর্বশেষ ৭ ইনিংসের ৩টাতেই শূন্য রানে আউট৷ আইপিএল এ কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যেরকম দুর্বল নার্ভের পরিচয় দিয়েছে তাতে বিগ ম্যাচে তার আউটপুট নিয়ে আমি সংশয়ী। তামিম আর লিটনকে একই সঙ্গে একাদশে এফোর্ড করা মানে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া। একজনকে বাদ দিতেই হবে। বয়স, ফিটনেস, ফিল্ডিং, উইকেট কিপিং অপশন বিবেচনায় লিটন থেকে যেতে পারে, কিন্তু আমি একটাও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না কেন তামিমকে অধিনায়ক বানিয়ে বিশ্বকাপের বিমান ধর‍তে হবে!
গত টি২০ বিশ্বকাপে সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল বিস্মরণযোগ্য। এর চাইতেও শংকার বিষয় নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পরে কোনো ফরম্যাটে তার কোনো সেঞ্চুরি নেই৷ ৭ নম্বর পজিশনে আফিফ/শামীম পাটোয়ারি যাকেই খেলানো হোক, তাদের থেকে খুব বেশি আউটপুট আসার সম্ভাবনা দেখি না। আফিফ ইতোমধ্যে ২টা টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছে, যারপরনাই ব্যর্থতার নিদর্শন।
খুব দ্রুত রায় দেয়া হয়ে যায়, তবু এখনো পর্যন্ত এই দলের একমাত্র ওয়াও ফ্যাক্টর তৌহিদ হৃদয়। শান্ত সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দে আছে, তবে তার ব্যাটিং ইনটেন্ট তামিমের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ব হওয়ায় বিগম্যাচে তার থেকে ইমপ্যাক্ট সম্পন্ন পারফরম্যান্স কতটুকু আসবে, আঁচ পেতে এশিয়া কাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মুশফিক ৬ নম্বরে ছন্দ পেয়েছে।
এতটা ভালনারেবল যে ব্যাটিং লাইন আপ তারা কীভাবে শুরুতে বলা ওই ৬ দলের ২টাকে টপকে যাবে, আমি কোনো কনভিন্সিং কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
হাথুরুসিংহে কোচ হয়ে আসার পরে কিছু আনঅর্থোডক্স এপ্রোচ আশা করেছিলাম। মাহমুদুল্লাহকে বাদ দেয়া ব্যতীত সবই আগের মতো জীর্ণদশা। ভেবেছিলাম তামিমকে ছেঁটে ফেলা হবে। তামিমের ব্যাটিং শান্ত করে দিতে পারবে, তার সঙ্গে একজন ফ্রি ফ্লোয়িং ওপেনার, লিটন ৩ এ; টি২০ ব্যতীত কোনো ফরম্যাটেই লিটনের ওপেন করা উচিত নয়। তাতে দল এবং সে উভয়ই উপকৃত হত৷ কিন্তু তামিম এতটাই ক্ষমতাশালী হাথুরুও তাকে বাদ দিতে অপারগ।
সারপ্রাইজিংলি পেস বোলিং ইউনিট যথেষ্ট ইমপ্রেসিভ। হাসান মাহমুদের ভ্যারিয়েশন, তাসকিনের এগ্রেসন বাংলাদেশকে সুবিধা দিবে। ইবাদত আর মুস্তাফিজের মধ্যে একজনকে বেছে নিলেও পেস ইউনিট শক্তিশালীই থাকবে। মিরাজ ওয়ানডেতে ইফেক্টিভ বোলার। ইনজুরির পরে সাকিবের বোলিং কেমন থাকে দেখা যাক। বোলিংয়ে ভারসাম্য নষ্ট করে তাইজুল৷ সাদা বলে সে কেন কোন বিবেচনায় সুযোগ পায় সে এক রহস্য!
কেন ২০০৩ আর ২০১১ দলের সুবাস পাচ্ছি একটু ব্যাখ্যা করা যাক৷ ২০০৩ এ সব ম্যাচ হারার পরে তদন্তে অধিনায়ক পাইলটের নানা দুষ্কর্ম সামনে আসে। ২০১১ তেও মাঠ এবং মাঠের বাইরে নানারকম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ এখনকার দলের মধ্যেও লিডারশিপ প্রশ্নে সমস্যা ওপেন সিক্রেট। তামিম নিজে আন্ডার পারফরমার, সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের বিষয়টা এতদিনে প্রতিষ্ঠিত সত্য। বাংলাদেশ যখন টি২০ খেলে তখন দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর ওয়ানডে দলের ল্যাঙ্গুয়েজ খেয়াল করলেই পার্থক্যটা একদম সুস্পষ্ট হয়ে পড়ে।
এরকম ফাটল এবং এতটা নাজুক ব্যাটিং অর্ডার যদি শীর্ষ ৪ এ উঠে যায়, তবে অন্য দলগুলোকে অনেক বেশি বাজে পারফর্ম কর‍তে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার বাইরে বাকি ৫ দলের দিকে যদি তাকাই ভারত এবং নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা নাজুক লাগছে ইংল্যান্ড আর পাকিস্তানের তুলনায়৷
ভারতের সমস্যা অনেকটাই বাংলাদেশের মতোই। রোহিত শর্মা এখনো দলে থেকে যাওয়াই যেখানে বিস্ময়কর, সেখানে সে দলনায়ক! বোলিংয়েও ক্ষিপ্রতা অনুপস্থিত, ব্যাটিং দিয়ে তা কভার করে প্রথম ৪ এ জায়গা পাওয়াটা চ্যালেঞ্জিং বটে।
নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন না খেলাটা ভুগাবে। টপ অর্ডারেও ডেভিড কনওয়ে নির্ভরতা বেশি। এভাবে সিরিজ পার করা গেলেও রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে সম্ভব হয় না সাধারণত। বোলিংয়েও গত বিশ্বকাপের পরে বড় কোনো স্পার্ক চোখে পড়ছে না।
বাংলাদেশ কি ফিক্সচার এবং ভেন্যুর সুবিধা পেতে পারে?
বাংলাদেশের প্রত্যেক অধিনায়কই স্বীকার করে টুর্নামেন্টের শুরুটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মশালার বাউন্সি পিচে আফগানিস্তানকে পাওয়াটা সরাসরি সৌভাগ্য। একই কারণে পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ কমে যাচ্ছে, যেহেতু ভেন্যু একই।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের কেইস হলো যে যার এলাকায় অন্যজনকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১-১ সমতা। চেন্নাইতে খেলা হওয়ায় বাংলাদেশ কিছুটা মিরপুর ফ্লেভার পেতে পারে, এদিক থেকে একে সৌভাগ্য বলা যায়।
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলাগুলো গত কয়েক বিশ্বকাপ ধরেই খুব নাটকীয় হচ্ছে, যদিও নাটকের শেষ দৃশ্যে ভারতই জিতে যায়। এবার কি ব্যতিক্রম ঘটতে পারে?
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচটা মুম্বাইতে হওয়ায় কিছুটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকলো। ব্যাটিং প্যারাডাইস নয়, তাই বাংলাদেশের পেসাররা সুবিধা পেতে পারে৷ তবে শুনলাম মুম্বাই এখন ব্যাটিং প্যারাডাইস হয়ে গেছে। তাই চান্স কমে গেল অনেকটাই, আফ্রিকার সাম্প্রতিক ফর্মটাই একটু যা আশা দেখাচ্ছে।
ইডেন গার্ডেন্স এ ২০১৬ তে টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। গ্যালারি প্রায় সবটাই পাকিস্তানের অনুকূলে ছিল৷ তাছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে ২০১৮ এশিয়া কাপের পরে যেখানে যা খেলেছে হেরেছে। পরের ম্যাচটাও ইডেনে, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা অথবা জিম্বাবুয়ে। অন্য দলের ম্যাচ দিল্লিতে। মাঝের একটা লম্বা সময় পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে নিয়ে ঠাট্টা-উপহাস চললেও সিকান্দার রাজার পুনর্জাগরণ, এবং পেস বোলিং ইউনিট, সঙ্গে শেন উইলিয়ামস এর অতিমানবিক ফর্ম, তাদের আর সহজ প্রতিপক্ষ ভাবার জো রাখেনি।
আর অস্ট্রেলিয়া এমন এক দল যাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেই কালেভদ্রে, যখন খেলে উড়ে যায়। ২০০৫ এর সেই কার্ডিফ আপসেটের পরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যতবার খেলেছে পরাজয়ই ছিল নিয়তি।
তাই রিয়েলিস্টিক এপ্রোচে এবং আশাবাদী মডেলে চিন্তা করলে আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, এবং জিম্বাবুয়ে/সাউথ আফ্রিকা এই ৪টা জয় হতে পারে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য৷ অবশ্য কোনো বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ জয়ের দৃষ্টান্তও অশ্রুতপূর্ব।
যদি এডভেঞ্চারাস চিন্তা করি, সেক্ষেত্রে সাউথ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে দুই দলের বিপক্ষেই জয় মিলে ৫টা। তাতে কি সেমিতে উঠা সম্ভব?
বৃষ্টি যদি একাধিক ম্যাচ পন্ড করে দেয় তাহলে ভাগ্য পক্ষে থাকতে পারে। তবে অক্টোবর-নভেম্বরে পন্ড হওয়ার মতো বৃষ্টি বারবার আসাটা অবাস্তব ঠেকছে।
বাংলাদেশের পক্ষে কি অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানকে হারানো সম্ভব? কিংবা জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান বা শ্রীলংকা ২-১টা জায়ান্ট কিলার হওয়ার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বাংলাদেশকে সুবিধা করে দিবে?
বরং বাংলাদেশের বর্তমান ব্যাটিং লাইন আপ এবং তামিম-লিটন এর হতশ্রী টপ অর্ডারে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলংকা বাদে বাকি ২টা পটেনশিয়াল ম্যাচেও পা হড়কানোর আশংকা রয়েই যাচ্ছে। এখানেই সাকিবের ক্যারিশমাটিক ক্যারেক্টার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তার অধীনে দলের মধ্যে যে ডেসপারেটনেস, তামিমের অধীনে সবাই যেন হয়ে যায় মাইনেবদ্ধ চাকুরে!
তামিম-লিটনের হাড় হাভাতে টপ অর্ডার, এবং অধিনায়ক তামিম ৩টার বেশি ম্যাচ জিতলে ক্রিকেট উপলব্ধিতেই বড়সড় পরিবর্তন আনতে হবে আমার।
দীর্ঘ আলোচনার উপসংহার যদি টানি-
স্বাভাবিক প্রেক্ষাপটে এবং ক্রিকেটিয় স্কিল বিচারে বাংলাদেশের সেমি ফাইনালে খেলার স্বপ্ন একটি মিডিয়া স্ট্যান্টবাজি৷
তবে ক্রেজি লিডারশিপের অধীনে অল আউট এটাকে খেললে সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড আর ইংল্যান্ডকে (যেহেতু তাদের ব্যাটিং কলাপ্স করে মাঝেমধ্যে) হারিয়ে দেয়ার মতো চমক বা অবিশ্বাস্যতা ঘটতেও পারে৷ কিন্তু বর্তমান ফিটনেসবিহীন ব্যক্তিগত গ্লোরিনির্ভর লিডারশিপে সিনারিও বদলানোর সম্ভাবনা শূন্য পারসেন্ট৷ বিসিবি প্রেসিডেন্ট পাপনের পক্ষে কি সম্ভব হবে এত বড় সাহসি সিদ্ধান্ত নেয়া, নাকি মিডিয়া আর কর্পোরেট হাউজের স্বার্থ উদ্ধারে ৩ জয়ের হিসসা বুঝে পেয়েই তুলতে হবে তৃপ্তির ঢেকুর?
‘ব- তে বোকা না হয়ে ন- তে নগদে আসুন’– লাইনেই রয়েছে উত্তর নিহিত।