চ্যাটজিপিটি যদি একটি ব্লকবাস্টার হিট হিন্দি বা সাউথ ইন্ডিয়ান সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখত, সেখানে ফরমুলা মেনে প্রতিটি সিকুয়েন্স সাজানো হতো, সংলাপের পাঞ্চ লাইনগুলোও থাকতো তালি পাওয়ার পটেনশিয়ালযুক্ত, মিউজিকের প্রতিটি বিট বা রিদম, নাচের কোরিওগ্রাফি, সাউন্ড ইফেক্ট সবকিছুতেই ক্যালকুলেটিভ।
তবুও চ্যাটজিপিটি লিখিত স্ক্রিপ্ট আপনাকে মানবিক অনুভূতি দিবে না। আপনি বিনোদিত হবেন, দৃশ্যের সঙ্গে একীভূতও হয়ে পড়বেন, যদিও কোনো সেনসিবল ৩য় ব্যক্তি আপনাকে পর্যবেক্ষণ করলে বোধ করবে আপনার প্রতিক্রিয়াগুলোও চ্যাটজিপিটির মতোই পূর্বনির্ধারিত।
নয়নতারা-ফ্যাসিনেশনহেতু গতকাল জাওয়ান দেখা পরবর্তীতে আমার ইমপ্রেসন ছিল, স্ক্রিপ্ট কি তবে চ্যাটজিপিটি লিখে দিল সর্বশেষ কয়েক বছরের হিট সিনেমার প্যাটার্ন পর্যালোচনা করে!
‘জাওয়ান’ সিনেমায় যদি শাহরুখ খানের পরিবর্তে লিড রোলে কাস্টিং করা হতো অর্জুন রামপাল বা রনবীর কাপুরকে, বাকি সব কাস্টিং অপরিবর্তিত, আপনি কি দেখতে যেতেন হলে? নাহ।
কিংবা উল্টোক্রমে যদি জিজ্ঞেস করি, এরকম স্টোরিলাইনে কোনো পরিচালক কি মেগাস্টার ব্যতীত কাউকে কাস্টিংয়ের চিন্তা করতেন? শাহরুখ না হলে সালমান, নয়তো সাউথ ইন্ডিয়ার বড় কোনো নাম। শাহরুখ খান ৩ দশকের বেশি সময় ধরে মার্কেটে বিচরণ করছে; তার এক্সপ্রেসন-শক্তিমত্তা-দুর্বলতা দর্শকের মুখস্থ এবং মনস্থ।
সেই শাহরুখ দ্বৈতচরিত্রে, ৬রকম লুক— মূলত এই একটামাত্র অনুঘটকের উপরই সমগ্র জাওয়ানের সাফল্যের বৃহৎ অংশ অধিষ্ঠিত, বললে কি অত্যুক্তি?
জাওয়ান হিন্দি সিনেমা নাকি সাউথ ইন্ডিয়ান, প্রশ্নটাও পলিটিক্যাল কমার্স প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ। পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক, এন্টাগনিস্ট, নায়িকা, অধিকাংশ পার্শ্বচরিত্র সাউথের। আবার প্রযোজক গৌরি খান, দুটো এক্সক্লুসিভ ক্যামিও সঞ্জয় দত্ত আর দীপিকা, এবং স্ক্রিনজুড়ে শাহরুখ।
সাউথের সঙ্গে বিজনেস দৌড়ে অনেকদিন ধরেই পেরে উঠছে না বলিউড। জাওয়ানকে আমি বলিউড- সাউথ কোলাবরেশন প্রকল্প হিসেবে দেখছি, যেখানে স্ক্রিপ্টে সাউথের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সাউথের মার্কেটে প্রবেশ করতে, কিন্তু স্ক্রিনে বলিউড তারকাদের প্রাধান্য দিয়ে বলিউড ডমিন্যান্সকে প্রদর্শনের প্রয়াস। স্ট্র‍্যাটেজিটা যারাই নিক, তাদের ব্রেইনের প্রশংসা প্রাপ্য।
এই রেসিপি সাফল্য পাওয়ায় আগামী কয়েক বছর এর কপিক্যাট দেখবার সম্ভাবনা বেড়ে গেল।
যদি প্রধান চরিত্র শাহরুখকে সরিয়ে অন্য কাউকে চিন্তা করে জাওয়ান দেখা পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি, বাণিজ্যিক ফরমুলা বা মাশালা সিনেমা হিসেবে জাওয়ানের অমার্জনীয় কিছু দুর্বলতা চোখে পড়েছে-
প্রথমত, সুপার হিউম্যান ক্যাটেগরির বাণিজ্যিক ফিল্মগুলোতে নায়ককে তখনই লার্জার দ্যান লাইফ মনে হয় যখন ভিলেনের হিংস্রতা-নিষ্ঠুরতা-নৃশংসতা দর্শককে ক্ষুব্ধ করে। সাউথের ফিল্মগুলোতে এটা খুব চমৎকারভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, নৃশংসতার সঙ্গে কমেডি উপকরণ মিলিয়ে ভিলেন হয়ে উঠে বিশেষায়িত একজন, যাতে নায়ককে আরো আকর্ষণীয় মনে হয়। জাওয়ান এখানে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলো।
ভিলেন রেগে গেলে নিজে একটা নীল ক্যাপসুল খায়, তার শিকারকে খাওয়ানো হয় লাল ক্যাপসুল— এর বাইরে কোথাও নেই ভিলেনপনা। সে অস্ত্রের ব্যবসা করে, মন্ত্রীদের চাইতেও দাপটফুল, অথচ তার কোনো প্রদর্শনই নেই। নায়কের সঙ্গে তার এনকাউন্টার বা কনফ্রন্টেশন মাত্র ২ বার৷ ভিলেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নায়কের বাহাদুরি রূপান্তরিত হয়েছে স্বমেহনে। তামিল-তেলুগু যেহেতু সেই ২০০৬ থেকে অনুসরণ করি, সাউথ সেট আপ এ জাওয়ান প্রচণ্ডভাবে খাপছাড়া।
বিজয় সেতুপাতি দক্ষিণের ওজনদার অভিনেতা, তার বহু সিনেমা দেখেছি। বিক্রম-ভেদা বিপুল বিনোদনপূর্ণ। এই স্ক্রিপ্টে সে কেন রাজি হয়েছে বোঝা গেল না; তার বর্তমান মার্কেট খারাপ যাচ্ছে কিনা জানা দরকার। সে যে শাহরুখের দ্বারা অপূরণীয় পরিমাণে এক্সপ্লোয়েটের শিকার হলো, এটা যে কোনো বুদ্ধিমান দর্শকেরই নজরে পড়ার কথা। শাহরুখের পোর্টফোলিওতে জাওয়ান একটি নতুন মাইলফলক হলেও সেতুপাতির সাপেক্ষে একটা প্রিম্যাচিউর ইন্টারকোর্সের চাইতে বেশি কিছু কি হলো আদৌ?
‘রা-ওয়ান’ বা ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমায় শাহরুখ যেমন নেগেটিভ চরিত্রে নিজের বন্ধু অর্জুন রামপালকে পুশ দেয়ার চেষ্টা করেছিল, বলিউড-সাউথ কোলাবরেশন না হলে হয়তবা সেতুপাতির রোলটা রামপালই পেত। সেতুপাতির দুর্ভাগ্য সে একজন প্রক্সি ভিলেন ক্যারেক্টার!
দ্বিতীয়ত, সাউথ ফিল্মে কমেডিই গল্প এগিয়ে নেয়। শাহরুখের মাধ্যমে ছোট ছোট কিছু কমেডি সিকুয়েন্স রাখা হয়েছে, তবে মিক্সিং লেভেল সন্তোষজনক লাগেনি।
হিন্দি সিনেমা বোরিং লাগে বিধায় খুব বেশি দেখা হয়নি। তবে যতটুকু যা দেখেছি তাতে সালমান খানের সঙ্গে শাহরুখের মাসালা ফিল্মগুলোর প্রকৃতিগত পার্থক্য আবিষ্কার করলাম।
সালমানের ফিল্মগুলোতে নায়ক-ভিলেনের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ম্যাসকিউলিনিটির সর্বোচ্চ পরাকাষ্ঠা দেখানো হয়।
শাহরুখের ফিল্মে নারী ক্যারেক্টারদের নানা ডাইমেনশনে উপস্থিতি থাকে, গল্পে তারা শক্ত অবদান রাখে, কিন্তু স্ক্রিন প্রেজেন্স এ ন্যায্য টাইমিং থেকে হয় বঞ্চিত, সেই টাইমিংগুলো চলে যায় শাহরুখের একাউন্টে। সালমানের পাওয়ার ডায়নামিক্সে তাই সবটাই একশন, শাহরুখের রেজিমে একশন পরিচালিত হয় রোমান্টিকতাকে সারথি করে৷ নির্দিষ্ট একটি লিঙ্গের অডিয়েন্সকে টার্গেট করেই এই কৌশল অবলম্বন কিনা বোঝার জন্য আরো অনেকগুলো ফিল্ম দেখা উচিত। জানি না দেখব কিনা, কারণ অপাত্রে খরচ করার মতো পর্যাপ্ত সময়ের মজুদ থাকে না।
জাওয়ানও শাহরুখের চিরচেনা ছক মেনে গঠিত। গল্পের টেনশন-ক্রাইসিস-ক্লাইম্যাক্স এর মূল ফোকাল পয়েন্টে নারী, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে নারী ব্যাটেলিয়ন— তবু সিনেমা শেষে হল থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আপনার মাথায় থাকবে কেবলমাত্র শাহরুখ!
উপমহাদেশের সিনেমায় নায়িকার ভার্জিনিটি পরম লোভনীয় বস্তু ছিল দীর্ঘদিন। বিধবা কিংবা ডিভোর্সড চরিত্রেও নায়িকা দেখেছি, সেই নায়িকার সন্তানসহ নায়কের সঙ্গে ২য় বার বিয়ে হতেও। তবে অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান জন্ম দেয়া নায়িকা, উপমহাদেশের কালচার এবং সামাজিক অনুশাসন ধারণার সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
সামাজিক ধ্যানধারণা বদলাচ্ছে, ইনডিভিজুয়াল স্পেস, যৌন ফ্রিডম-ফ্লেক্সিবিলিটি নিয়ে বহু আলাপ হচ্ছে, প্যারালেল বা অফট্র‍্যাক ফিল্মগুলোতে এসব বিষয় বহুল চর্চিত হলেও ধুন্ধুমার বাণিজ্যিক সিনেমায় নায়িকার ধরাবাঁধা বৈশিষ্ট্য বজায় রাখা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কারণ ম্যাস অডিয়েন্সের মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলাটা ঝুঁকিপূর্ণ।
জাওয়ান দেখার একমাত্র অনুপ্রেরণা ছিল নয়নতারা। তার ক্যারেক্টারাইজেশন যথারীতি উচ্ছ্বসিত করলো। তামিল-তেলুগু বা বলিউড, ইন্ডাস্ট্রি যেটাই হোক প্রেম-পিরিতি আর কিছু ফরমুলা সিকুয়েন্সের বাইরে নায়িকার ভাগে থাকে না তেমন কিছুই৷ নয়নতারার ব্যতিক্রমিতা এখানেই যে, সে চিরায়ত নায়িকা রোল পালন করে সামান্যই। শাহরুখের সঙ্গে তার মিথস্ক্রিয়ায় রোমান্টিকতার চাইতে কনফ্লিক্ট বেশি।
তার ক্যারেক্টারাইজেশনও অসম্পূর্ণ। ইন্টারমিশনের পূর্বে যেভাবে বিল্ড আপ হচ্ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে তার ক্যারেক্টার পুরোপুরি হারিয়ে গেল কিংবা বলা যায় প্রতিস্থাপিত হলো শাহরুখের ৬ জনের ব্যাটেলিয়নের একজনের দ্বারা৷ মেগাস্টারের বিপরীতে কাজ করলে এরকম নিয়তিই অবধারিত।
তবে এর মধ্যেও বলিউড পলিটিক্স খুঁজে পাওয়া যায়। দীপিকা পাডুকন গেস্ট এপিয়ারেন্স, তবুও তার ক্যারেক্টারকে যেভাবে পোরট্রে করা হয়েছে, সিনেমার একজন মাত্র নারী চরিত্র চিন্তা করলে বেশিরভাগ সময় তাকেই মনে পড়বে। নয়নতারা আপাত লিড রোল হয়েও এমন কোনো সিকুয়েন্স বা সংলাপ পায়নি যার কারণে তার উপস্থিতি মনে রেখাপাত করতে পারে। এটা বলিউড বনাম সাউথ স্নায়ুযুদ্ধের ফলাফল হলেও হতে পারে। আমাদের সাধারণ বোধ যেখানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে, বৃহৎ পলিটিক্সের সূচনাপ্রান্ত সেখান থেকেই।
সঞ্জয় দত্তের প্রতি অপার আগ্রহ কাজ করে ছোট বয়স থেকেই। ফিল্মের চাইতে ক্যারেক্টার হিসেবে। ক্যামিও চরিত্রে সঞ্জয়ও তেমন ফুটেজ পায়নি, যেটুকু দেয়া হয়েছে ওটা সঞ্জয় দত্ত ব্রান্ডটা ব্যবহারার্থে।
আমার বন্ধু আরমান প্রায়ই বলে তোর বই বা ফিল্ম প্রতিক্রিয়া পড়ে বোঝা যায় না বই বা ফিল্মটা তোর ভালো লেগেছে নাকি বিরক্ত হয়েছিস।
জাওয়ান দেখার আগের রাতে ইউটিউবে দেখছিলাম অপারেশন সুন্দরবন, বাংলাদেশি সিনেমা। জাওয়ান দেখাকালীন অবধারিতভাবেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল, বাংলাদেশি সিনেমা মানুষ কেন দেখবে। দীপিংকর দিপন বা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি বা যে কোনো বাংলাদেশি পরিচালককে যদি ২০০ কোটি টাকা বাজেট দেয়া হয় তারা কি ধামাকা টাইপ সিনেমা নির্মাণ করতে পারবে? ৯৯% ক্ষেত্রেই আমার উত্তর ‘না’। স্টোরিটেলিং দক্ষতাই তো তৈরি হয়নি। আর্ট ডিরেকশন অতি এমেচার প্রকৃতির। এরপরে যদি ড্যান্স কোরিওগ্রাফি আমলে নেয়া হয়, আমাদের আর্টিস্টদের লেভেল ধরা পড়ে যায়। কেবলমাত্র স্বদেশিকতার কারণে এসব প্রোডাক্ট কনজিউম করাটা কঠিনই।
বাজেট অবশ্যই আমাদের এখানে প্রতিকূলতা, তবে মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিকে যদি রেফারেন্স হিসেবে নেয়া যায় স্বল্প বাজেটেও স্টোরনির্ভর সিনেমা নিয়মিতই তৈরি হয় সেখানে। আমাদের ১ নম্বর সমস্যা মেধার তারল্য এবং ২ নম্বরে চাটুকারবৃত্তি।
ওটিটি প্লাটফরমের উত্থানে সিনেমা হল টিকবে কিনা আশংকাটাও অবান্তর মনে হলো। মোবাইলের ছোট্ট স্ক্রিনে বা বাসার টিভিতে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে যতই আয়োজন করা হোক, হলে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনীয় নয় কখনোই। ওটিটি কোনোভাবেই হলের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়।
নয়নতারা না থাকলে জাওয়ান হলে দেখবার একটাও কারণ ছিল না। দেখাই যেহেতু হয়েছে, সেই আলোকে বলবো জাওয়ান কালচারালি রিফিউজি একটা সিনেমা। এটা না হতে পেরেছে সাউথিয়ান, না ধরে রাখতে পেরেছে বলিউডি ইমেজ। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানো বা দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়ার অসংখ্য সিনেমা সাউথে নির্মিত হয়েছে। সেগুলোর বিল্ড আপ প্রক্রিয়ায় আরো অনেক সাসপেন্স এবং ক্লাইম্যাক্স থাকে, সাউথের মুভিতে টিভি মিডিয়া বরাবরই শক্তিশালী রোল পায় এবং দেখা যায় সর্বস্তরের মানুষ সেসূত্রে এনগেজড হয়ে পড়ে।
জাওয়ানে কোনো ইন্টেলিজেন্ট বা স্মার্ট ক্রাইসিস পাইনি, তাই সমাধানগুলোও আটপৌরে। বরং সেতুপাতিকে আয়োজন করে ফাঁসি দেয়াই যদি হয় অন্তিম দৃশ্য, অনুমান করে নেয়া যায় নানা বেশভূষায় আর কর্মকাণ্ডে শাহরুখ ফেটিশে ভুগতে ভুগতে সিনেমার স্টোরিলাইনটাই মনোযোগ পেয়েছে সবচাইতে কম।
তবে হলভরতি দর্শক, সাউন্ড, একশন মিলিয়ে পপকর্ন প্রজেক্ট হিসেবে জাওয়ান উপাদেয়ই।
শ্যামলি হলে জাওয়ানের যতগুলো পোস্টার, সবখানে একচ্ছত্র শাহরুখ। হুট করে মনে হবে সিনেমাটা বোধহয় শাহরুখের একক প্রদর্শনী, ২য় কোনো অভিনয়শিল্পী নেই। ২০২৩ সালেও মানুষ এই প্রক্রিয়াতে চিন্তা করে, তাতে আপাত অনুসিদ্ধান্ত হলো টেকনোলজি আর মূল্যস্ফীতিতে মানুষের বাহ্যিক খোলসটাই কেবল পাল্টেছে, মননে তাদের এখনো বসবাস ১৯৮০ তে!