মালেক আফসারি বা দেলোয়ার জাহান ঝন্টুকে যদি ১০০ কোটি টাকাও বাজেট দেয়া হয় তারা কি চৌধুরী সাহেব, সাপ আর তামিল-তেলেগু নকল ব্যতিরেকে ফিল্ম তৈরির সামর্থ্য বা যোগ্যতা রাখবেন? সম্ভবত না। কারণ বাজেট নয় সীমাবদ্ধতাটা তাদের মেধা-মনন- তথা প্রজ্ঞাজনিত।
বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখাকালে শামীম আশরাফ চৌধুরী আর আতহার আলী খানের ধারাভাষ্য সংক্রান্ত প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য চোখে পড়ে প্রায় নিয়মিতই। এবং প্রতিবারই টিভি স্ক্রিনে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মনতাজুর রহমান আকবরদের দাপাদাপি করতে দেখি।
শামীম আশরাফ আর আতহার আলীর কেইসটা তাই দাবি রাখে নিবিড় পর্যবেক্ষণ আর পর্যালোচনার।
শৈশবে শুধু টনি গ্রেগ, মাইকেল হোল্ডিং আর এলান উইলকিন্স এর ধারাভাষ্য শোনার নেশাতেই প্রচুর ক্রিকেট দেখেছি। ইংরেজি বুঝতাম না তেমন, তবু তাদের বাচনভঙ্গিতে ম্যাজিক রিয়েলিজম ছিল হয়তবা যার আবেশে আচ্ছন্ন থেকেছি।
সে যুগে বিটিভিতেও ঘরোয়া লীগের ম্যাচ সম্প্রচার করত, কিংবা সার্ক ক্রিকেট যেখানে ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলংকা এর ‘এ’ দল অংশ নিত, আর বাংলাদেশের জাতীয় দল। ধারাভাষ্য প্যানেলে থাকত খোদাবক্স মৃধা, মারুফ আহমেদ সুকর্ণ, চৌধুরী জাফরউল্লাহ সরাফত, আলফাজউদ্দিন আহমদ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। মাঝেমধ্যে অতিথি ভাষ্যকার হিসেবে রণজিৎ বিশ্বাস নামের এক কলাম লেখককেও দেখা যেত। এবং সেই ধারাভাষ্য প্যানেলে ইংরেজিতে বলতো শামীম আশরাফ চৌধুরী! আইসিসি ট্রফির ম্যাচগুলোর ধারাবিবরণী যখন রেডিওতে প্রচার করত তখনো শামীম আশরাফের জন্য স্লট বরাদ্দ থাকতো।
আমাদের ছোটবেলায় আরো দুটো ঘটনা খুব নিয়মিত ঘটতো। এক, মানিকগঞ্জ টাউন হল এবং নবীন সিনেমা হলে নতুন সিনেমা এলে রিকশায় সারা শহর চক্কর দিয়ে মাইকিং করা হতো। দুই, নানা ধরনের নির্বাচন হতো কিছুদিন পরপরই, তার প্রচারণাতেও অব্যর্থ কৌশল মাইকিং!
অতি অল্প বয়সে টনি গ্রেগের ধারাভাষ্য শোনার দরুণ প্রতিটি বাংলা ধারাভাষ্যকারকে ক্যানভাসারই মনে হত, খেলা দেখার আনন্দটাই নষ্ট হয়ে যেত। তার মধ্যেও বিরক্ত বোধ করতাম শামীম আশরাফের প্রতি, যদিও সে ইংরেজিতেই বলতো। কেন তাকে অযোগ্য এবং অথর্ব মনে হয়েছিল সেই শৈশবেই উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পরিণত বয়সে ইয়ান বিশপ, নাসের হুসেইন এর কমেন্ট্রি শোনার পর থেকে।
গ্রামে বা মফঃস্বলে ক্রিকেট-ফুটবল খেলা হলে একদা ধারাভাষ্য ছিল সাধারণ ব্যাপার। দর্শকদের আনন্দ দেয়া, উত্তেজনা তৈরি করাই থাকতো লক্ষ্য।
একটা খেলা যখন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয় সেখানে ধারাভাষ্যের উপযোগিতা আসলে কতখানি; কিংবা বলা ভালো একজন ধারাভাষ্যকারের কাছে দর্শক-শ্রোতার প্রত্যাশাটা কী?
তার পূর্বে জাফরউল্লাহ সরাফতের ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষের খণ্ডিত অংশ শেয়ার করা যাক:
‘বোলার সাইফুল ইসলাম আস্তে আস্তে তার বোলিং মার্কে ফিরে গেলেন, এই মাত্র ঘুরলেন। দৌড় শুরু করেছেন, ওদিকে প্রস্তুত ব্যাটসম্যান স্টিভ টিকোলো। অনেক উচুদরের খেলোয়াড় এই টিকোলো। বল করলেন; একটু খাটো লেন্থ এর, ব্যাটসম্যান কভার ড্রাইভ খেলতে চেয়েছিলেন, ঠিকমতো খেলতে পারলেন না, ফিল্ডার ছিলেন প্রস্তুত, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল থামালেন, কোনো রান হলো না’; দলীয় রান যা ছিল তাই; ১২২ দুই উইকেটে, কেনিয়া’!
একই কথাগুলোই শামীম আশরাফ আর আতহার আলী বলবে ইংরেজিতে। সবাই টিভিতে দেখতে পাচ্ছে কী ঘটছে, সেটাই যদি একঘেয়েভাবে বলে যাওয়া হয় বিরক্ত লাগাটাই কি স্বাভাবিক নয়?
আমরা উদিষ্ট সিনারিওটাকে নাসের হুসেইনের কমেন্ট্রিতে শোনার চেষ্টা করি:
‘স্টিভ টিকোলো এখনো পর্যন্ত সাইফুল ইসলামের বলে ৪ বার আউট হয়েছে। আজ কি পঞ্চমবার হতে যাচ্ছে? সাইফুল ইসলাম ১২৫-২৬ কিঃমিঃ/ঘন্টায় বল করে থাকে, পিচ এর স্লোনেস কাজে লাগিয়ে সে ছোট সুইং পায়; টিকোলো মূলত বটম হ্যান্ড প্লেয়ার, ট্রু পেস না হলে টাইমিংয়ে স্ট্রাগল করে। এধরনের পিচে ন্যাচারাল ইনস্টিংট রেখে খেলবে নাকি এডজাস্ট করবে সেই ডাউট কাজ করে, এজন্যই স্লো মিডিয়াম পেসে সে কিছুটা ভালনারেবল। সাইফুল কি সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে। অন্তত এই বলে সেটা পারলো না, শর্ট অব লেন্থ ডেলিভারিতে তার প্ল্যান কী এখনো শিওর না’!
এর ফাঁকে আমরা জানবো বোলারের গ্রিপ পজিশন, ল্যান্ডিং, কিংবা শট খেলার সময় ব্যাটসম্যান কতটুকু মুভ করছে, কিংবা একই লেন্থের বলে আগের ম্যাচে কী করেছিল সেই এনালাইসিস, কিংবা বোলারের ট্রাজেক্টরি পয়েন্ট। হঠাৎ ফিল্ডিং পজিশন কেন রদবদল হলো সে সংক্রান্ত অনুমান। এর মধ্যে সহধারাভাষ্যকারের সঙ্গে মতের অমিল দেখা দিবে, তা নিয়ে চলবে বিতর্ক কিছুক্ষণ।
আমরা ম্যাচের মধ্যে আরেক ম্যাচ দেখি। ধারাভাষ্যকাররা আমাদের মানসিকভাবে সম্পৃক্ত করে ফেলে। খেলা হচ্ছে বহু দূরের মাঠে, তবু টিভির সামনে বসে মনে হয় একদম নিজে মাঠে বসে খেলা দেখছি অথবা প্রতিটি দর্শক নিজ দলের কোচ; সমস্ত কৃতিত্বই ধারাভাষ্যের। আপনি স্রেফ সাউন্ড মিউট করে দিন, পুরো ম্যাচ দেখা রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
ধারাভাষ্যকাররাই দর্শক ধরে রাখে।
শামীম আশরাফ আর আতহার আলীর সীমাবদ্ধতাটাই এখানে। আতহার যদিও প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার, কিন্তু ক্রিকেট প্রজ্ঞা একেবারেই নেই। শামীম আশরাফের প্রজ্ঞা বহুদূর, ক্রিকেট বোঝাপড়াতেই তার ঘাটতি শোচনীয় পর্যায়ের।
ঘাটতি দূর করা যেত অনায়াসেই যদি প্রচুর ক্রিকেট ম্যাচ দেখত, এবং কমেন্ট্রি শুনে তার সঙ্গে নিজেদের পারফরম্যান্সের তুলনা করবার মানসিকতা থাকতো। সেসব ছাড়াই যেহেতু বাংলাদেশের খেলা মানেই তাদের দুজনের উপস্থিতি নিশ্চিত, ঘাটতি দূর করে হবেটা কী!
কোয়ালিটি কোনো ধারাভাষ্যকার যেমন হার্শা ভোগলে বা ইয়ান বিশপের সঙ্গে ধারাভাষ্যকালে শামীম আশরাফ আর আতহার আলীর কর্মকাণ্ড আনাড়িপনায় ভরপুর। হার্শা ভোগলে প্রশ্ন করলো- ‘লিটন দাস এত কনফিডেন্টলি ব্যাট করে, তাকে ৭ নম্বরে না খেলিয়ে উপরে উঠায় না কেন ম্যানেজমেন্ট’, আতহার কাউন্টারে বলবে- there is no shortage of talent, all he needs to do is to become little bit consistent. We all know how he played against India in Asia Cup final 2018, yes he opens in limited version, let’s see how he manages red ball cricket’
এটা একটা উদাহরণ মাত্র, এবং আতহারের কমেন্ট্রি মনোযোগ দিয়ে শুনলে দেখবেন কোনো একটি টেকনিকাল প্রশ্নের ন্যূনতম সেন্সিবল উত্তর দেবার সামর্থ্য তার নেই।
শামীম আশরাফ চৌধুরীর গেম সেন্স আরো নাজুক। ইমপ্রোভাইজেশন শট সম্বন্ধে তার ধারণাই নেই, বোলিংয়ে বোলার যেসব ভ্যারিয়েশন চেষ্টা করে সে সম্বন্ধেও পরিপূর্ণ অজ্ঞ। তাকে কাজ চালাতে হয় সুনির্দিষ্ট কয়েকটা ফ্রেজিংয়ের মাধ্যমে
– rush of blood, bye bye buddie, dalvat shot, scintilating shot, he is living dangerously, unnecessary shot
কোনোদিন কোনো ক্রিকেটারের স্ট্রেন্থ-উইকনেস বিষয়ে তার কাছে মন্তব্য পাওয়া গেছে? পেতে হলে তার নিজের এ সংক্রান্ত ধারণা থাকতে হবে আগে। তা কি আছে?
বাংলাদেশ মূলত ফাপরবাজদের দেশ। মেধা-যোগ্যতা এখানে বায়বীয় ধারণা। ফাঁপরবাজি এবং লবিংয়ে যে যত দক্ষ এবং যোগ্য সে-ই এখানে সফলকাম। তার একটা প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠা অজস্র ডায়াগনস্টিক সেন্টার। দুনিয়ার এমন কোনো রোগ নেই যার বিশেষজ্ঞ ওইসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাওয়া যায় না, নানা ধরনের অপারেশনও হয়। এবং কিছুদিন পরপরই অভিযান চালিয়ে ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া ক্লিনিক সনাক্ত করা হয়।
তবু কি থেমে থাকে ফাপরবাজদের দৌরাত্ন্য?
কিংবা হিরো আলম, অনন্ত জলিল টাইপ আরেক শ্রেণির ফাতরার আবির্ভাব ঘটেছে, যাদের কোনোরকম যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র পাবলিক শেমিং আর ট্রলিং সহ্য করেই পেয়ে গেছে তারকাখ্যাতি। এবং অযোগ্য উৎপাতগুলোর সমালোচনা করলে ফ্রিডম অব চয়েজ এ আঘাত হানা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মগজবিহীন একটা অংশ!
শামীম আশরাফ আর আতহার আলীর কেইসটাকে ফাঁপরবাজি সংস্কৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। শুরুতে যাদের নাম বললাম তাদের অনেকেই প্রয়াত, বাকিরা মার্কেট আউট। শামীম টিকে গেল কীভাবে, আতহার আলীই বা নির্বাচক প্যানেল থেকে কোন যোগ্যতায় কমেন্ট্রিতে?
এই বাংলাদেশে অন্তত ১০০ জন ক্রিকেট পর্যবেক্ষক পাওয়া যাবে যারা ফ্লুয়েন্ট ইংরেজিতে উচ্চমানের কমেন্ট্রি দিতে সক্ষম। কিন্তু তাদের একজনকেও দেখা যাবে না; কেন তা বুঝতে হলে বাংলাদেশের সরকারি অথবা বেসরকারি কয়েকটা অফিসে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে, বিশেষত পারচেজ তথা প্রোকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া সম্বন্ধে অবগত থাকা আবশ্যক।
ধরা যাক, আপনি অমুক কোম্পানিতে লাইট সরবরাহ করবেন। আরো ৩-৪টা কোম্পানিও স্যাম্পল আর কোটেশন জমা দিয়েছে। কোয়ালিটি, প্রাইসিং গৌণ, পারচেজ অফিসারকে যে বেশি কমিশন দিবে তার ভাগ্যের শিকে ছিড়বে। এবং এমন সিস্টেম ডিজাইন করা হবে ভবিষ্যতে সেই কোম্পানি ব্যতীত অন্যরা কোটেশন দেয়ারও সুযোগ পাবে না।
কমিশন আর সিন্ডিকেট আবহমান বাংলার চিরন্তন সংস্কৃতি। ক্রিকেট তার থেকে মুক্ত হবে, এও কি সম্ভব!
এফডিসি সিন্ডিকেট থেকে বেরিয়ে ফ্রিল্যান্স ফিল্ম মেকাররা যেমন নিজস্ব কাজ করছে, ক্রিকেটে সেই সিন্ডিকেট ভাঙ্গাটা আদৌ সম্ভব কিনা সংশয়টা রয়েই যায়। আমি মনে করি একটা সিরিয়াস সোস্যাল মিডিয়া মুভমেন্ট হওয়া উচিত ‘We Want Quality Commentary’ টাইটেলে। এক-দেড় লাখ মানুষ যদি একটা ক্যাম্পেইন করে, এবং শামীম চৌধুরী আর আতহার আলী কেন স্মার্ট ক্রিকেটে অচল যুক্তি আর রেফারেন্স সহ লিখে যায়, পপুলিস্ট চিন্তাধারায় চালিত বাংলাদেশ এদের অব্যাহতি দিলেও দিতে পারে।
লবিং, সিন্ডিকেটবাজি চলুক, কিন্তু ন্যুনতম যোগ্য লোকেরা আসুক ফাইনাল প্রোডাক্ট হিসেবে।
বিকল্পহীনতা সমকালীন বাংলাদেশের প্রধান বিষফোড়া কিনা এটাও আমলে নেয়ার যোগ্য। কোথাও কারো রিপ্লেসমেন্ট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তামিমের রিপ্লেসমেন্ট নেই, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেই, এমনকি রিপ্লেসমেন্ট নেই ইমরুল কায়েস বা মোহাম্মদ মিঠুনেরও। কী আশ্চর্য, শামীম চৌধুরী আর আতহার আলীও রিপ্লেসের উর্ধ্বে উঠে গেল!
এমনকি জিম্বাবুইয়েতেও ৫-৭ জন ধারাভাষ্যকার রয়েছে, তন্মধ্যে পমি এম বাঙ্গোয়া বড়ো ইভেন্টেও ডাক পায় নিয়মিত। বাংলাদেশ এখানেও পিছিয়ে কেন!
এদেশের ক্রিকেটের পুঁজিই তো দর্শকরা, মাঠে চিরকালই ছুচো ইঁদুর মানের দল। ধারাভাষ্য দিতে জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার হতেই হবে এমন কঠোর নিয়মের যৌক্তিকতা কী! শামীম চৌধুরী কি জাতীয় দলের প্লেয়ার ছিলেন কখনো? এদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই ইংরেজিতে সমস্যা, যারাওবা কিছুটা শিক্ষিত তারা কথা বলে ভাংতি ইংরেজিতে। শাহরিয়ার নাফিস উচ্চশিক্ষিত হয়েও ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্সি নেই কোনোরকম। মেহরাব জুনিয়র মোটামুটি সম্ভাবনাময় হতে পারত হয়তবা, কিন্তু সে কানাডা অভিবাসী। সাম্প্রতিককালে মাজহারউদ্দিন অমি চেষ্টা করছে; তার টেকনিকাল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভোকাল টোন আর বাচনভঙ্গি আরো পরিশীলিত হওয়া প্রয়োজন। তবু শামীম বা আতহার এর তুলনায় এখনই তাকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে বিপুল ব্যবধানে।
একটা স্পোর্টস চ্যানেলের জন্য দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ছিল জনতার। টি-স্পোর্টস সেই চাহিদা পূরণ করেছে। আশা করা যেতেই পারে, যুগের সাপেক্ষে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়া শামীম আশরাফ আর আতহার আলীর ঘেরাটোপ ভেদ করে দূরবর্তী কোণে থাকা কোয়ালিটি ধারাভাষ্যকার সংযুক্ত করতে তাদের প্রচুর কাঠ-খড় পোড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
স্পোর্টস এর জন্য রুচি অত্যন্ত সংবেদনশীল শর্ত। রুচিহীনদের উৎখাত না করা অবধি স্পোর্টসের চাষাবাদ অসম্ভব। কোথাও না কোথাও শুরু হোক সেই উচ্ছেদ অভিযান!