সমকালে লিটন দাসের ৫ পর্বের ধারাবাহিক ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর ৭ম বছরে সিরিয়াস ইন্টারভিউ প্রথমবার। আমার ফিকশনাল ননফিকশন বইগুলোতে লিটন যেহেতু ক্যারেক্টার হিসেবে নিয়মিতই থাকে তার মানসিক বিবর্তনগুলোর ট্র্যাকিং রাখতে হয় ডিরেক্টর’স ইন্টারেস্ট থেকেই।
লিটনকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমরা পেয়েছি প্রচণ্ড ইন্ট্রোভার্ট একজন ক্যারেক্টার রূপে। মনে পড়ে ২০১৯ এ এক খ্যাতিমান ক্রীড়া লেখকের সাথে লিটন প্রসঙ্গে আলাপচারিতায় বলেছিলেন- ‘ও আসলে আদৌ বেশিদূর আগাতে পারবে কিনা কনফিউজড। টিমমেটদের সাথেও কথা বলে না। আপনার ভেতরে যেসব এনার্জি জমা হচ্ছে সেগুলো কোথাও নির্গত না করলে পারফর্ম করাটা খুবই ডিফিকাল্ট’।
লিটন ইন্ট্রোভার্টেড, তবে সে কথা বলে না এটা মনে হয়নি কখনো। ধারণা করেছিলাম সে আসলে কথা বলার জন্য কোয়ালিটি লোক খুঁজে পায় না। যা বলতে চায় ভুল বুঝবে বেশিরভাগ লোকই। তার চাইতে চুপ থাকা ভাল, বোবার শত্রু নেই। বাংলাদেশের ক্রিকেট কালচার যেরকম দূষিত সেখানে একদম এক্সেপশনালি ট্যালেন্ট না হলে ঝরে পড়বে যে কেউ।
স্যাম্পল হিসেবে রনি তালুকদার, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম শেখ আর নাজমুল শান্তকে নেয়া যেতে পারে। স্কিলওয়াইজ এদের মধ্যে পার্থক্য উনিশ-বিশ লেভেলের। ফলে এদের মধ্যে যার লবি জোরালো সে সুযোগ পাবে, যার লবি নাই পাবে না। একে স্বজনপ্রীতি বলা যায়, কিন্তু যারা সুযোগ পেল না তাদেরও দুর্ভাগা বলার সুযোগ দেখি না। মিজানুর রহমান ঘরোয়াতে প্রায়ই পারফর্ম করে, কোনোদিন সুযোগ পায়নি। রনি তালুকদার ২০১৫ পাকিস্তান এবং সাউথ আফ্রিকা সিরিজে দলে ছিল, ওয়ানডেতে সুযোগ পায়নি, ১টা টি২০ তে নামানো হয়েছিল ৭ বা ৮ নম্বরে (সে আদতে ওপেনার), এরপর বাদ চিরতরে। খুটির জোর থাকলে হয়তবা চান্স পেত, অন্তত নাজমুল শান্ত-মিঠুন-নাঈম শেখের চাইতে অবশ্যই স্কিলে এগিয়ে।কিন্তু শুরুতেই বলেছি, তর্কাতীতভাবে এগিয়ে নয় যে তাকে নিতেই হবে।
লিটন, আফিফ, আগের প্রজন্মে আশরাফুল-মাশরাফি-সাকিবরা এই পয়েন্টটাতে উত্তীর্ণ হওয়ায় টক্সিক কালচারেও নেপোটিজম লাগেনি।
লিটন ২০১৬ এর পুরোটা এবং ২০১৭ এর বেশিরভাগ সময় জাতীয় দলের বাইরে কেন ছিল আজও অজানা লাগে। বিশেষত টেস্টে তার পারফরম্যান্স কখনোই শোচনীয় ছিল না। ৫টা টেস্টে ওপেন করানো হয়েছিল, সেই ইনিংসগুলো বাদ দিলে লিটন প্রথম থেকেই টেস্টে প্রমিজিং; হয়ত ইনিংস বড় হচ্ছিল না, কিন্তু ৩০-৩৫ করছিল প্রায়ই, ফিফটিও ছিল গোটাকয়েক৷ অভিষেক টেস্টেই তো ৪১+ করেছিল।
মূলত মুশফিক গোয়ার্তুমি করে কিপিং না ছাড়ায় এবং কোনো পারফরম্যান্স ছাড়াই ৯ বছর মাহমুদুল্লাহকে ক্যারি করায় লিটনের জন্য টেস্ট টিমে স্লটটাই ফাঁকা ছিল না।
লিটনের মূল স্ট্রাগলটা ছিল ওয়ানডেতে, এবং পরবর্তীতে টি২০তে, যদিও সে লাইমলাইটে এসেছিল দুটো টি২০ ইনিংসের বদৌলতেই (নিদহাস ট্রফিতে শ্রীলংকার ২১৫ চেজ করা ম্যাচে ১৯ বলে ৪৩ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী টি২০ তে ৩২ বলে ৬১)
আমি এখনো মনে করি টি২০ তে লিটনের তেমন কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ নেই, যদি না সে ফিটনেস আর শট রেঞ্জ নিয়ে কাজ না করে। সে প্রায় সব ধরনের শট খেলতে পারে, কিন্তু আউট হওয়ার ভয়ে স্পেসিফিক কয়েকটা শটের বাইরে অন্যগুলো ট্রাই না করতে করতে স্কুপ আর লফটেড খেলতে গেলেই আউট। টি২০ তে ফিফটি, এভারেজ, এংকরিং মূল্যহীন; একটাই গিয়ার- বলের বিপরীতে রানের ম্যাক্সিমাইজেশন।
তবু বাংলাদেশের বাকি ব্যাটসম্যানদের অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে স্ট্রাইকরেটে এখনো সে শীর্ষে!
গত বছর থেকে লিটনের পারসোনালিটিতে স্পষ্ট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ মাঠে সে এগ্রেসিভ, প্রতিপক্ষের কেউ স্লেজিং করলে সেও তেতে উঠছে, আম্পায়ারদের সাথে তর্ক করছে সিদ্ধান্ত অন্যায্য মনে হলে, প্রেস কনফারেন্সে বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দিচ্ছে।
এর কারণ কি সে পারফর্ম করছে বলে পাওয়া কনফিডেন্স? আমার হাইপোথিসিস তা বলে না। গত টি২০ বিশ্বকাপের আগে থেকেই টি২০ তে যাচ্ছেতাই অবস্থা ছিল, তবু শ্রীলংকান পেসারের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে জরিমানা আর ডিমেরিট পয়েন্ট গুনেছিল।
নানা সময়ে দেয়া সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউতে লিটন ২০২০ জিম্বাবুয়ে সিরিজের রেফারেন্স দিয়ে বলে- ‘সেই সিরিজের পরে রিদম পেয়েছিলাম, এরপর করোনার কারণে অনেকদিন বসে থাকায় রিদম পেতে সমস্যা হয়েছে’। সেই সিরিজের একমাত্র টেস্ট ইনিংসে ফিফটি, ৩ওয়ানডের দুটোতে সেঞ্চুরি (এর মধ্যে একটা দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ওয়ানডে ইনিংস), দুই টি২০ তেই ফিফটি। সেই সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ করে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পরে প্রেস কনফারেন্সে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ডাবল সেঞ্চুরি মিস করার চিন্তা এসেছিল কিনা, লিটনের জবাব- ‘ফিফটিই করতে পারি না, ডাবল সেঞ্চুরির কথা চিন্তাতেও আসেনি’। বিশেষত ২০১৯ নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে ৫ ইনিংসের ৪টাতেই ১ রানে আউট হওয়ার পরে নিজের এবিলিটি সম্বন্ধে বড়সড় সংশয় তৈরি হওয়ার কথা।
প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়ে যতই ফেলনা হোক সেই সিরিজটা লিটনের জন্য নিজেকে পুনরাবিষ্কারের। মূলত সেখান থেকেই সে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে তার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় রান করা সম্ভব। যে ব্যক্তি বাহুতে ট্যাটু আঁকতে পারে তার পক্ষে আর যাই হোক নির্জীব মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। তার ব্যক্তিত্বে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে অসংখ্য লেয়ার৷ পুনরাবিষ্কারের পর থেকে সে বলা যায় লেয়ারগুলো আংশিক উন্মুক্ত করতে আরম্ভ করেছে৷
কিছুদিন পূর্বে ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছিলাম- ‘ভারতে একটা লেগাসি ছিল৷ গাভাস্কার পুরনো হতে না হতেই শচীন, তার বাটন ক্যারি করছে কোহলি, এরপরে আসবে অন্য কেউ। বাংলাদেশে সাকিবই কি একমাত্র এবং শেষ গ্লোবাল ক্রিকেটার? আমি বলছি না সাকিবের মতো অলরাউন্ডারই হতে হবে। সমকালীন ক্রিকেটের টপ নচ ব্যাটসম্যান বা বোলার, এরকম কেউ হলেই চলবে। লিটন বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ডে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান, তামিম বা মুশফিকের চাইতে অনেক কম ম্যাচ খেলেই সেঞ্চুরি সংখ্যা ওদের চাইতে বেশি হবে যদি ইনজুরিপ্রবণতা কমে, তবু নির্মোহ মূল্যায়ন করলে লিটন কি কোহলি, রুট বা বাবর আজমের অর্ধেক মানেরও ব্যাটসম্যান? তাহলে লেগাসি রক্ষাটা কীভাবে হলো’!
জীবনের কোনো এক পর্যায়ে লিটনের সাথে দেখা বা আলাপ হওয়া উচিত আমার। সেই আলাপ যদি ১১ ঘন্টাব্যাপীও হয় অক্রিকেটিয় বিষয়ই প্রাধান্য পাবে।
মিডিয়ার প্রশ্নগুলো জনরুচির চাইতে জনচাহিদাকে তুষ্ট করার দিকেই নজরপাত করে। তাই এসব ইন্টারভিউয়ে আগ্রহ বোধ করি না। তবু লিটনের ইন্টারভিউটা কাটা-ছেড়ে করে বুঝতে চাইলাম বাঙালির মিডিওক্রিটি ফেটিশ বিষয়ে তার ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি কী। যেহেতু তার বিচরণ ক্রিকেটে, মিডিওক্রিটি সংক্রান্ত রেফারেন্সগুলো সে ক্রিকেট থেকেই নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি রেফারেন্স হতে পারে-
১. ব্যাটসম্যান মাঠে নামলে স্ক্রিনে যে ইনফো দেখায় সেটাই তার ক্যারেক্টার৷ নিজেকে ভিত্তি ধরেই বলেছে আমি লিটন যখন ওপেন করতে নামি মাথায় থাকে স্ট্রাইকরেট ১৩০, যদি ১৮০ তে ব্যাট করি সেটা ২-১ ম্যাচে হতে পারে, সবসময় নয়।
২. সিক্স হিটিংয়ের সামর্থ্য সহজাত না হওয়ায় স্কিল বাড়াতে হবে অন্য পন্থায় রান বের করার।
৩. বাংলাদেশ দলে ৪০ বলে ৪২ করার মতো অসংখ্য প্লেয়ার আছে, ১৭ বলে ৪৩ করার কেউ নেই।
স্টেটমেন্ট ৩টিকে সমন্বিত করলে ইন্টারপ্রেটেশন হয় এরূপ:
আধুনিক টি২০ খেলার যোগ্যতাতে বাংলাদেশীদের যোগ্যতায় ঘাটতির বিষয়টি স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। স্বীকার করে নেয়া মানে প্রকারান্তরে আত্মসমর্পণ করা, লিটন তা করেনি। বরং বিকল্প স্কিল দিয়ে এডাপ্ট-এডজাস্ট এর প্রতি জোরারোপ করেছে।
এই অংশে মিডিওক্রিটি ডিলেমা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
অন্য আঙ্গিকে যদি দেখতে চাই-
১. মিরপুরে খেলা না খেলা একই কথা৷ মিরপুরে খেললে বরং স্ট্রোকপ্লেয়ারদের এবিলিটি নষ্ট হবে।
২. ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে বেশি বেশি খেলা উচিত। তাহলে বাইরের দেশের নামী খেলোয়াড়দের চিন্তাভাবনা জানার সুযোগ ঘটবে। বিপিএল এ নামী বিদেশী ক্রিকেটার না এলে ঘরোয়া লীগের সাথে পার্থক্য থাকবে না। মিরপুরের পিচ কোনোদিনও বদল হবে না এটা ইউনিভার্সেল ট্রুথ।
৩. ঘরোয়া লীগ না খেলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উচিত কম পারিশ্রমিকে হলেও কাউন্টিতে খেলা। তাতে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
মিডিওক্রিটিক ডিলেমা কেটে গিয়ে মিডিওক্রিটিকে বরণ করে নেয়ার প্রবণতা পুরোমাত্রায় লক্ষণীয়। ৩টি পয়েন্টই ইতোপূর্বে মাশরাফি-সাকিব-তামিম বলেছে। আমি খুবই কৌতূহলী বিসিবি কি কোনোদিন বুয়েটের সিভিল ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করেছে মিরপুরের মাটির সমস্যাটা সনাক্ত করতে? যুগ-যুগান্তর ধরে একটা মাঠের পিচকেন্দ্রিক সমস্যা শোনা যাচ্ছে, সেটা কি নিরাময় অযোগ্য,নাকি ইচ্ছাকৃত পিচ এমন বানিয়ে রাখা হয় যাতে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ২-১টা ম্যাচ জেতার কাছাকাছি যায় বা ঘটনাচক্রে জিতেও ফেলে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ খেলা নিয়ে যত উচ্চকিত সবাই, লীগগুলো কি বাংলাদেশী প্লেয়াদের আদৌ প্লেয়ার মনে করে? আইপিএল বা বিগব্যাশে বাংলাদেশের কোনো প্লেয়ারকে কেন নিবে। সাকিবকে একসময় নিত কারণ সে ৪ ওভারে ২৫-২৬ রান টাইপ নিরাপদ বোলিং করে দিতে পারত, ব্যাটিংয়ে টেলএন্ডার হিসেবে সাপোর্ট দিত। কিন্তু লিটন, আফিফ বা রাব্বিকে কেন নিবে, ওদের লোকাল প্লেয়াররাই এর চাইতে বেটার কন্ট্রিবিউটিং। তবু লিটন সিপিএল এ দুটো ম্যাচ খেলেছিল মূলত উইন্ডিজের বিপক্ষে ২৯ আর ৩২ বলে দুটো ৬০+ ইনিংস এবং বিশ্বকাপে ৬৯ বলে ৯৪ এর কল্যাণে। লিটনের সেই টি২০ ব্যাটিং কি আর দেখা গেছে শেষ আড়াই বছরে? আফিফ কিছু রান করে বটে, কিন্তু স্ট্রাইকরেট ১২৫ এর কম।
লিটন কাউন্টিতে খেলার কথা বলছে। চাইলে তো ভারতের ঘরোয়া দলগুলোর বিপক্ষেও এ দল নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারে। ‘এ দল’ এর তেমন কোনো এক্টিভিটিই তো নেই। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে খুলনায় ম্যাচ খেলে আউটকাম কী!
তাই লিটনের রেসিপিতে এমন কিছু পেলাম না যেটা এক্সক্লুসিভলি তার উপলব্ধি, আগের জেনারেশনের ধ্যান-ধারণাকেই বহন করা মাত্র।
তবে অন্যান্য ক্রিকেটারদের ইন্টারভিউগুলো এত বেশি গুবলেটপূর্ণ যে সেগুলোর সাপেক্ষে লিটনের কথাগুলোকে মনে হচ্ছে অমৃত। কিন্তু সিটি গোল্ড যে কখনো গোল্ড হয় না, বাঙালি সেই বোঝাপড়াতেও ৩৭৯ বছর পিছিয়ে থাকবে।
কিছুদিন পূর্বে প্রথম আলোতে এক আর্টিকেল চোখে পড়লো। অন্যান্য খেলাকে উপেক্ষা করে কেবলমাত্র ক্রিকেটেই বিনিয়োগের বিরোধীতা করে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা প্রসব করেছেন জনৈক বুদ্ধিজীবী। ভেবেছিলাম লেখাটির সমালোচনা লিখব, কিন্তু কিছুদূর লিখবার পরে উপলব্ধি করি মূল লেখার চাইতে সমালোচনার কলেবর বড় হয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেট সম্বন্ধে ন্যূনতম জানাশোনা ছাড়াই যেরকম থিসিস লিখেছেন, এটা দেখে বুঝেছি বাংলাদেশের লোকজন এসবই ডিজার্ভ করে। অধ্যবসায়, নিবেদন, স্যাক্রিফাইস, রিজেকশনের প্রয়োজন নেই, টুকলিফাইং আর প্রেজেন্টেশন দক্ষতা থাকলেই মার্কেট রেডি।
লিটনের ইন্টারভিউয়ের সাথে বুদ্ধিজীবীর আর্টিকেলের সংযোগটা এত কাকতালীয় যে, ভেবে দেখলাম কম ঝুঁকিতে বেশি প্রাপ্তিই সমাজের মূল ঠিকাদারি।