একজন রিসোর্সফুল ব্যক্তির ভাবনা আর দর্শন উপলব্ধির উৎকৃষ্টতম পন্থা তার নিজের লেখা বই বা ব্লগ পড়া, অথবা তার ভাবনা বিশ্লেষক অন্তত ৪-৫ জনের বই পড়া।

তবে

শর্টকাটে সীমিত ইনপুটে সারফেস লেভেলের ধারণা তৈরির একমেবাদ্বিতীয়তম পদ্ধতি রয়েছে, তা হলো তার লেকচার বা লাইভ ইন্টারভিউ শোনা।

পড়া পরিশ্রমসাধ্য কাজ, শোনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ মূলত মনোযোগ ধরে রাখা, যদিও মনোযোগ ছাড়াও শুনতে পারবেন; পড়বেন বা দেখবেন কিনা ব্যক্তির চয়েজ, শব্দ শোনাটা স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া। মাইকিং হলে বা উচ্চশব্দে গান বাজলে কানে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না গ্রহণ করা ব্যতীত তা শোনা এড়ানো অসম্ভব।

লেকচার শোনাকে কেন শর্টকাট পন্থা বলছি? এখানে সম্পাদনার সুযোগ থাকে না, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েও বলবার সময় অনেক কিছুই রিফ্লেক্সবশত বলা হয়ে যায়। লেকচার অনেকটাই রেন্ডম ভাবনা যা অডিয়েন্সের প্রভাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সামান্য পরিমার্জিত সংস্করণ। লেকচারকে আপনি শনপাঁপড়ির সঙ্গে উপমিত করতে পারেন, খেতে সুস্বাদু কিন্তু পুষ্টিগুণ কম।

সেই একই ব্যক্তি যখন বই লিখেন তাকে অনুসরণ করে না কোনো চোখ, ক্ষণে ক্ষণে অনুপ্রবেশ করে না ৩য় পক্ষ, তিনি ব্যক্তিগত নির্জনতায় ভাবনাকে বিন্যস্ত করেন, লেখা শেষে সম্পাদনা করেন। এমনকি যদি তিনি না লিখেন, তার ইন্টারভিউ করেছিল অন্য কেউ, সেটিও প্রকাশের পূর্বে তাকে পড়তে দেয়া হলে কিছু না কিছু সম্পাদনা করবেনই। মনে হবে বলবার সময় কিছু জিনিস ঠিকঠাক উঠে আসেনি।

আপনার চাহিদাটা কী; তার প্রজ্ঞা বোঝা, নাকি তার অপুষ্ট প্রজ্ঞাকেই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে নিজেকে ছদ্ম প্রজ্ঞাবান হিসেবে সেলেবল বানানো!

ধরা যাক, একজন বিত্তশালী যার বার্ষিক রেভিনিউয়ের পরিমাণ ৭ হাজার কোটি টাকা, তার সঙ্গে দেখা বা কথা বলার সুযোগ পেলেন আপনি। ২০০ জনের মধ্যে ১৯২ জনই তার সমুখে ভক্তিতে সমর্পিত হবে, তার আনুকূল্য প্রত্যাশা করবে, এবং কোনোভাবে ৫ মিনিট সময় কাটানোর সুযোগ মিললে বাকি জীবনের গল্প হয়ে থাকবে।

ধরে নিচ্ছি আপনি পুঁজিপতিদের ঘৃণা করেন, তারা মানুষকে বিচার করে সামাজিক স্ট্যাটাস আর সম্পদ দিয়ে, টাকার বাহাদুরি দেখায়। ৭ হাজার কোটি টাকার মালিকের সঙ্গে কথা বলার রুচিই নেই!!

একজন বিদ্বান বা জগদ্বিখ্যাত বুদ্ধিজীবীর সংস্পর্শে যাওয়ার সুযোগ মিললো। তিনি জ্ঞানের মহাসমুদ্র, তার পাশে নিজেকে মনে হয় ইদুর। বিত্তশালীর ক্ষেত্রে যে-ই আচরণ, অবিকল তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে।

এবং নির্মোহভাবে চিন্তা করলে আবিষ্কার করবেন যেসব মানুষ সারাক্ষণ বিষয়-সম্পদ নিয়ে আলাপ করে, জীবনে জ্ঞান বা শিল্পচর্চার স্থান বরাদ্দ নেই, অপরিমেয় কনজাম্পশনে কাটিয়ে দিচ্ছে তাদের প্রতি জাজমেন্টাল বা ঋণাত্মক মনোভাব তৈরি হয়ে যাচ্ছে।

এবার বলুন তো, ধন অথবা জ্ঞান যে লাইনেই বিচরণ করেন, উভয়ক্ষেত্রেই সোস্যাল হায়ারারকি অনুসারে আচরণের তারতম্য একেবারেই নেই— ব্যাপারটা নিতান্তই কাকতালীয়, নাকি প্রাকৃতিক?

তবে যে লাইনের সোস্যাল হায়ারারকিতেই থাকেন, একদম উপরের দিকে থাকা কর্তৃপক্ষ আচরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিবে না আপনি এই হায়ারারকির তলানীতে অবস্থান করেন। তাদের অনুচরবৃত্তি বা পাইক-পেয়াদার ভূমিকা পালন করবে হায়ারারকির মধ্যস্বত্বভোগী গোষ্ঠী; তারাই সামষ্টিকভাবে বিবিধ উপায়ে আপনাকে বাধ্য করবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের প্রতি একান্ত বাধ্যগত থাকতে, তাকে দেখলে বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে কিংবা আরোপিত শ্রদ্ধা সমাবেশ করতে।

সম্মান, শ্রদ্ধা বা মূল্যায়ন ধারণাগুলো নৈর্ব্যক্তিক। সোল এজেন্সির মাধ্যমে যেমন বৃদ্ধি করা যায় না, কারো আপাত অসম্মানে তা হ্রাসও পায় না।

হায়ারারকিজনিত সামন্ততান্ত্রিক কনফ্লিক্টের উৎস কোথায়?

জানি না।

কিন্তু

হঠাৎ এসব আলাপের হেতু কী? ফেসবুকসূত্রে জানলাম রিপন নামের এক তরুণ নোয়াম চমস্কি এর সঙ্গে ফেসবুক লাইভের একটি সেসন আয়োজন করেছিল, সে সম্ভবত দেরি করেছিল, চমস্কি তাকে অন্য আরেকদিন শিডিউল করার প্রস্তাব দেন, সেটা মান্য করতে সে ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় নেয়, এবং আচরণগত কিছু শিষ্টাচারহীনতা দেখায়।

তার ভিত্তিতে ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষদের অসংখ্য মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য দৃষ্টিগোচর হলো।

একটা সামাজিক এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন ১৫ থেকে ২৫ বয়সী তরুণীদের বিভিন্ন সার্কেল মিলিয়ে আনুমানিক ২৫০ জনকে স্যাম্পল নিয়ে। প্রতিটি সার্কেলের সবচাইতে সুশ্রী অথবা কাজে-কর্মে চৌকষ তরুণীর মধ্যে যারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে তার প্রেমিকদের প্রোফাইল তৈরি করুন। একটা পর্যায়ে দেখবেন ১০০ জনের মধ্যে ৬০-৭০ জনই সামাজিক স্কেলে লোফার কিংবা গাঞ্জুট্টি কিংবা ফাঁপড়বাজ প্রকৃতির; কিছুতেই মেলাতে পারবেন না এই মেয়ে এরকম একটা ছেলের খপ্পরে পড়লো কীভাবে!

কিন্তু এধরনের ছেলেদের লাইফস্টাইল বিশ্লেষণ করলে কমন যে প্যাটার্নটা পাবেন তারা চূড়ান্তরকম আত্মসম্মানবিবর্জিত, নিঃশর্ত মনিবভক্তি তাদের একমাত্র মূলধন, সেটাকেই এরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখে, এবং লক্ষ্য পূরণ করে। একটা আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন ছেলে মেয়েটার রিকশার পেছন পেছন দৌড়াবে না, তাকে মুগ্ধ করতে সারাদিন বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে না একঝলক দেখবার আশায়, কিংবা অন্তহীন গুণকীর্তনও জপতে থাকবে না৷ অনেকসময় মায়া বা করুণাবশতও এ ধরনের ছেলেদের প্রতি পজিটিভ হয়।

তাছাড়া সর্বক্ষণ নিজের প্রশংসা শুনলে বা পোষা একটা প্রাণী পেলে নিজের ব্যাপারে এক্সট্রিম ক্রিটিকাল না হলে এরকম ফাঁদ বা প্রলোভন বাঁচিয়ে চলা চূড়ান্ত দুরূহ সাধনা।

প্রশ্ন হলো, লেগে থাকার অবিচলতাকে কি অধ্যবসায় হিসেবে এপ্রিসিয়েট করা উচিত? সেক্ষেত্রে হিরো আলমকেও প্রশংসা করতে হবে, এবং যোগ্যতাহীনতাই হবে যোগ্য হওয়ার মূল শর্ত। আপনি বাসার ছাদে এক নাগাড়ে ২০ বছর ক্রিকেট অনুশীলন করলেন প্লাস্টিকের বল দিয়ে, এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে কেন নেয়া হচ্ছে না আপনাকে সে সংক্রান্ত জনমত তৈরি করলেন— হিরো আলম আর রিপন নামের ওই তরুণের কেইসটাকেও এই ফিল্টারের মধ্যে ফেলা উচিত নির্দ্বিধায়।

কিন্তু যে এপ্রোচে রিপনের সমালোচনা হচ্ছে তার মধ্যে সেই সামন্ততান্ত্রিক সোস্যাল হায়ারারকিজনিত পলিটিক্স মারাত্মকভাবে বিদ্যমান।

চমস্কি একজন লিভিং লিজেন্ড, জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী, ২০ বছর ধরে পড়াশোনা করে তারপর চমস্কির সাথে বসা উচিত ছিল, ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি কেন, সমগ্র বাঙালি জাতিকে সে অপমানিত করেছে— এ ধরনের স্টেটমেন্টের মাধ্যমে চমস্কিকেও আদতে একজন বুদ্ধিবৃত্তিক সামন্ত প্রভু হিসেবেই বিমূর্তায়ন করা হচ্ছে। যদি ১০ হাজার জন এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় তাদের মধ্যে ৯ হাজার জনই চমস্কির কোনো একটি বই পুরোটা,পড়েনি বাজি ধরে বলতে পারি। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা বা ওয়াজকারীর ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তার সমর্থকেরা যেমন ঝাঁপিয়ে পড়ে সহিংসতায়, এক্ষেত্রেও চমস্কির ভাবমূর্তি রক্ষাটা ঈমানি দায়িত্ব হয়ে উঠেছিল অনেকটা।

দুজন ব্যক্তির মধ্যে ইনফরমাল আলাপ হচ্ছে, যাদের একজন প্রতিষ্ঠিত স্কলার অন্যজন নবিশ— এই আলোচনার পারপাস এবং অবজেক্টিভ কী?

শাহেদ জাতীয় লোকেরা যেমন ক্ষমতাশালীর সঙ্গে ছবি তোলাটাকে ক্রেডিবিলিটি এবং পোর্টফোলিও ভারি করার এজেন্ডা হিসেবে নেয়, এই তরুণের লিংকড ইন প্রোফাইলও কাছাকাছি বার্তাই দিচ্ছে। জ্ঞানতৃষ্ণা নয়, শর্টকাটে প্রতিষ্ঠা বাসনাই যেখানে মূখ্য। সে যদি অর্গানিক রিচ এর উপর নির্ভরশীল হত, বুস্টিংয়ের ধার না ধারতো তবু কি চমস্কির সঙ্গে তার সেসনের সংবাদ ভাইরাল হতো না কনটেন্টের জোরে?

মানুষের সঙ্গে গল্পচ্ছলে ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করি ৭-৮ বয়স থেকে। বিখ্যাত ক্রিকেটার আর লেখকদের ইন্টারভিউ নেয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকি। টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, ওয়ার্ন থেকে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, বিরূপাক্ষ পাল কতজন ছিল আগ্রহের তালিকায়। সেমি-বিখ্যাত অনেকের সাক্ষাৎকার নেয়াও হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছি শুধু এ উদ্দেশ্যেই। কিন্তু সেমি-বিখ্যাতদের ইন্টারভিউ নেয়ার অভিজ্ঞতা বিড়ম্বনাপূর্ণ; আমি কোন পত্রিকায় কাজ করি, তার ব্যাপারে কী কী জানি সহ অসংখ্য প্রশ্ন।

এই মানসিকতা চূড়ান্ত অপছন্দ করি প্রথম থেকেই। সে ডাক্তার নাকি ব্যারিস্টার, এরও আগে সে একজন মানুষ। ব্যক্তি হিসেবে জীবনকে সে কীভাবে দেখে, বা কীভাবে যাপন করতে চায়— এটা নিছক গল্প, শুরুতেই তাকে উচ্চাসনে বসিয়ে নিলে সেটা গল্প থাকে, নাকি পরিণত হয় তোষামুদিতায়? ২০১২ তে লেখক শাহাদুজ্জামানের ইন্টারভিউ নেয়ারকালে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়, আমার ফিলোসফি পছন্দ করেন তিনি। সেবছরই সিলেটে যাই শুধুমাত্র জাফর ইকবালের ইন্টারভিউ গ্রহণের উদ্দেশ্যে। প্রায় দেয়ার ঘন্টা স্থায়ী সেই আলাপে বিরক্ত বোধ করি যারপরনাই। হয় তিনি প্রশ্নই বোঝেন না, অথবা ইচ্ছাকৃত পপুলিস্ট উত্তর দেন। ফিরতি পথে আত্মগ্লানিতে ভুগি খানিকটা— এর ইন্টারভিউ নেয়ার প্ল্যান করেছিলাম শৈশবে!

২০১২ তেই আরেকজন লেখক আনিসুল হকের সঙ্গে পরিচয় হয়। যেহেতু তিনিও বুয়েটিয়ান, এবং আমি ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পালিয়ে লেখালিখি করছি ইজম থেকে কয়েক মিনিট বেশি কথা বলা হয়ে যায়। তার ইন্টারভিউ নেয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করি, তবে এও জুড়ে দিই-‘আপনি জীবনে ৫০-৬০ বা তারও বেশি ইন্টারভিউ দিয়েছেন, সবই লেখক বা সাংবাদিক হিসেবে। ধরেন আমাদের দেখা হলো কাওরানবাজারের চায়ের দোকানে, আপনাকে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি, মন চাইলে আপনিও করতে পারেন আমাকে। আপনি লেখক নাকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কিছুই জানি না, কথাপ্রসঙ্গে নেশা-পেশা আসতেও পারে, নাও পারে। কিন্তু শুরুতেই আপনাকে আনিসুল হক ধরে নিয়ে যেসব প্রশ্ন শুনতে চাইছেন সেগুলোই ডেলিভার করলাম, এটা আমাকে টানে না। আপনি কি রাজি’? তিনি উত্তরে জানিয়েছিলেন-‘পরিচয় আরো গাঢ় হোক, তারপর দেখা যাবে’।

এরপরই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করি বাকিজীবনে বিখ্যাত কোনো মানুষকে ইন্টারভিউয়ের জন্য এপ্রোচ করবো না।

বরং অখ্যাত অথচ রিসোর্সফুল বহুজনকে এপ্রোচ করি, তারা আমাকে অপেক্ষায় রাখে, পাত্তা দিতে চায় না, অথচ আমি অনুনয় করেই চলেছি— ব্যাপারটার মধ্যে ইগো স্যাটিসফাইং উপকরণ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

যেমন বুয়েটের এক সিনিয়রকে শেষ ১২ বছরে অন্তত ১৫ বার অনুরোধ করেছি, সে আজ-কাল করে আর দেয়নি। একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘ভাই এই জীবনে আমি ছাড়া অন্য কেউ কি আপনার ইন্টারভিউ নিতে চেয়েছে? তাহলে এমন করছেন যে’

সে বলে- ‘চাইলেই শুধু ভাব নিতে হবে, চায় না বলে ভাব নেয়া যাবে না এটা কেমন কথা!তুমি আমাকে প্রায়োরিটি দিয়ে তো বলতে পারো না আমি কিন্তু আপনাকে প্রায়োরিটি দিলাম। এটা ছোটলোকি’!

গত ৩ বছর ধরে পাপড়িকে ইন্টারভিউতে রাজি করানোর চেষ্টায় আছি। কিন্তু এই ইন্টারভিউ তার জীবনে কেন ও কীভাবে ভ্যালু যুক্ত করবে, প্রশ্নের সদুত্তর না দিতে পারায় হলো না আজও!

চমস্কি রিপন নামের ছেলেটিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, এটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ একটা সূচক হতে পারে তার বর্তমান মানসিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার ক্ষেত্রে। সর্বশেষ ২ বছরে তিনি কী কী গুরত্বপূর্ণ কন্ট্রিবিউশন রেখেছেন, তার অবসর কাটছে কীভাবে, যাদের সঙ্গে সর্বাধিক মিথস্ক্রিয়া ঘটে তাদের প্রতি সাম্প্রতিক মনোভাব কী, যে কাজগুলোর জন্য তিনি প্রসিদ্ধ সেগুলো কত বয়সসীমার মধ্যে নিষ্পন্ন হয়েছে, প্রতিটি ইমেইল নিজেই পড়েন, নাকি পড়া আর উত্তর দেয়ার জন্য সহযোগি রাখা আছে, তারা সারমর্ম পাঠায়— আরো অজস্র প্রশ্ন কাঠামো থেকে তার কোনো ভালনারেবিলিটি আবিষ্কার করার সম্ভাবনা পর্যাপ্ত। চমস্কির বই বলতে আমি চমস্কিয় ব্যাকরণ, এবং ফেইল্ড স্টেট– এ দুটি পড়েছি। তবে রিপনের ঘটনার পরে উপলব্ধি করলাম তার ব্যক্তিগত লাইফস্টাইল সম্পর্কিত লেখা বা কয়েকজনের ক্রিটিকের লেখা পড়তে হবে। নইলে রিপন কেইসটার সন্তোষজনক এনালজি দাঁড় করানো অবাস্তব কল্পনাই রয়ে যাওয়ার সকল লক্ষণ বর্তমান!