চলুন একটি সামাজিক আর্ট গ্যালারি থেকে ঘুরে আসি।
সেই গ্যালারিতে ৫ জন ব্যক্তির ছবি ঝুলানো; এসএম সুলতান, হুমায়ূন আহমেদ, জেমস, সাকিব আল হাসান এবং উৎপল শুভ্র!
আপনি কিঞ্চিৎ বিভ্রান্ত বোধ করবেন, ৫ ব্যক্তির বিচরণের জগৎ সম্পূর্ণ আলাদা, এদের মধ্যে আন্তঃসংযোগ কীভাবে হলো জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে চোখ চলে গেল ছবির ক্যাপশনে –
‘কতিপয় বিখ্যাত বাঙালি INTP’!
বিখ্যাত বাঙালি বহুলচর্চিত হলেও ‘INTP’ কোডটির সাথে আপনার পরিচিতি থাকতেও পারে, নাও পারে।
না থাকলে নিশ্চিন্তে গুগলিং করলেই জেনে যাবেন যা জানবার।
ইন্টারনেটে পারসোনালিটি টেস্ট করবার সহজলভ্য টুলস রয়েছে অসংখ্য। তন্মধ্যে MBTI (Myers-Briggs Type Indicator) প্রসিদ্ধতম। আপনি কৌতূহলবশত নিজের ব্যক্তিত্ব জানবার পরীক্ষা দিলেন, ফলাফল পেয়ে চমকিত হলেন, ভাবলেন জ্ঞানী কোনো বন্ধুর সাথে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করবেন। সে আপনার উচ্ছ্বাসে কেরোসিন ঢেলে গুগল থেকেই বেশ কয়েকটা আর্টিকেল পাঠালো যেখানে বলা হয়েছে MBTI এক ধরনের ছদ্মবিজ্ঞান, একে সিরিয়াসলি নেয়া উচিত হবে না, তবে নিছক মজা হিসেবে টেস্ট দিয়ে দেখা যেতে পারে।
আপনি দোটানায় পড়ে অনুভূতি শেয়ার করার মতো উপযুক্ত কাউকে না পেয়ে শেষমেষ আমাকে বেছে নিলেন, যেহেতু আমিই আপনাকে গ্যালারিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।
‘খুব তো INTP মাড়াইলেন, আমার মহাজ্ঞানী বন্ধু প্রমাণ পাঠিয়েছে পারসোনালিটি টেস্টগুলো জ্যোতিষশাস্ত্রের মতো’—- সম্ভবত এই কথাটিই বলতে চাইছেন।
‘মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে করে গমন, সে পথে করিও বমন’— এটাই আমার চিরকালীন নীতি, সে আপনার শুনতে বা মানতে যতই খারাপ লাগুক।
MBTI ভুয়া নাকি ভায়াগ্রা তাতে কিছুই যায় আসে না, তবে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিসত্তা অনুসন্ধানে তারা যে ৪টি মৌলিক জিজ্ঞাসাকে ভিত্তি ধরে তাকে নৈতিকভাবে সমর্থন করি-
১. সে কীভাবে উদ্দীপ্ত হয়। বেশি মানুষের সংস্পর্শে, নাকি একাকী। কিংবা সে বড়ো গ্রুপে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, নাকি ওয়ান টু ওয়ান। কিংবা সে কি আলোচনা শুরু করে, নাকি কেউ শুরু করুক অপেক্ষায় থাকে। এখান থেকে E (Extroverted) অথবা I (Introverted) নির্ধারিত হয়।
২. তার চিন্তার ক্ষেত্রে কোনটি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়; আইডিয়া এবং কনসেপ্ট, নাকি ফ্যাক্টস এবং এভিডেন্স? এখান থেকে S ( observant, detail oriented) অথবা N (Intuitive, random) এর ফয়সালা আসে।
৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনটিকে প্রাধান্য দেয়; এমপ্যাথি এবং ইমোশন, নাকি যুক্তি এবং কারণ? এখান থেকে F(feeling, emotion) অথবা T ( thinking, reasoning) এর মীমাংসা হয়।
৪. কীভাবে কাজ করতে পছন্দ করে; অনেক বেশি পরিকল্পনা করে সাজিয়ে-গুছিয়ে, নাকি স্বতঃস্ফূর্ত আর তাৎক্ষণিক যা মাথায় আসে? কিংবা কোনো কাজ শুরু করলে তা শেষ করেই ছাড়ে, নাকি শুরুতে প্রচণ্ড উৎসাহ থাকে, এরপর উৎসাহ হারিয়ে সাধারণত শেষ করা হয়ে উঠে না। এখান থেকে J ( organized, methodological) অথবা P (Spontaneous, unorganized) সংক্রান্ত প্রেফারেন্স অনুমান করা যায়।
মানুষ যেহেতু যন্ত্র নয়, একই মানুষের মধ্যে ২ ধরনের প্রবণতাই থাকে। একজন ব্যক্তি কখনো আইডিয়া আর কনসেপ্টকে প্রাধান্য দিতে পারে, অনেক সময় ফ্যাক্টস-এভিডেন্সকেই মূখ্য ভাবতে পারে। কিন্তু ১০০ বারের প্রেফারেন্স যদি আমলে নেয়া হয় তখন যেটি সামান্য ব্যবধানে হলেও এগিয়ে থাকবে, সেটিকেই তার সহজাত ধরে নেয়া হয়।
আপনি আশ্বস্ত হয়েছেন কিনা বুঝবার পূর্বেই হয়ত অসহিষ্ণুতাবশত বলে বসবেন- ‘গুগল থেকে পড়ে নেব, আপনি আমাকে ছবির ক্যাপশন বুঝান। হুমায়ূন আহমেদ আর উৎপল শুভ্র এক হইলো কীভাবে। সাকিব বাংলাদেশের শীর্ষ ধনশালী ক্রিকেটার, এসএম সুলতান ছিলো পুরাই পাগল কিসিমের মানুষ। দুজনের মৌলিক প্রবণতায় আসমান-জমিন ফারাক। জেমসকেও দুই গ্রুপে ফিট করতে পারছি না’।
আমি অনেক কিছু বলতে চাই, শোনার ধৈর্য আপনার কম, টু দ্য পয়েন্ট উত্তর চান এবং যখনই ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি এবং এনালাইসিসে শব্দ বিনিয়োগ করি আপনি বা আপনারা অভিযোগ তুলেন আমার লেখায় অপ্রাসঙ্গিক কথা বেশি থাকে। দুটোমাত্র প্রবণতাতে নিবিষ্ট থাকি তাই।
প্রবণতা ১- নিয়ম, শৃঙখলা, প্রতিষ্ঠিত আদর্শ বা প্রথার সবচাইতে কট্টর সমালোচক হলো INTP প্রোফাইলের মানুষেরা। তাদের কাছ থেকে সব পেলেও প্রশ্নহীন আনুগত্য কখনোই পাবেন না, নিজস্বতা বোধ আর ফ্রিডম-ফ্লেক্সিবিলিটির চাইতে কোনোকিছুকেই তারা অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। আপনি দীর্ঘদিন বড়োদের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করতে হবে। তারা শুরুতেই প্রশ্ন করবে কেউ একজন আমার চাইতে আগে জন্মগ্রহণ করেছে এটা কি তার যোগ্যতা; জন্মগত এডভান্টেজের বলেই সে সম্মান কেন পাবে? কিংবা স্নেহ আদায় বা অর্জন করে নিতে হবে, ছোট মানেই তার প্রতি স্নেহ– এমন মুখস্থ ধারণার ভিত্তি কী?— সঙ্গত কারণেই এধরনের প্রশ্ন শুনে আপনি/আপনারা তাকে এরোগেন্ট, ইগোস্টিক, বেয়াদব, অসামাজিক, পাগল সহ নানারকম খেতাবে ভূষিত করবেন।
প্রবণতা২ – অন্যের অনুভূতি বা দৃষ্টিভঙ্গিকে খুব কম ক্ষেত্রেই বুঝতে পারে বা বোঝার চেষ্টা করে INTP রা, এবস্ট্রাক্ট বস্তু বা আইডিয়ার প্রতি প্যাশন বা আবেগে জীবন দিয়ে দিতে পারে বা নাওয়া-খাওয়া ভুলে থাকতে পারে, কিন্তু জীবন্ত মানুষ সারাদিন পাশে বসে থাকলেও কেমন আছেন জিজ্ঞাসাটুকুও না করতে পারে যদি তার কথা বা কাজ আকর্ষণীয় মনে না হয়। আপনি তার কথায় বা আচরণে আঘাত পাচ্ছেন সে টেরই পাবে না।
পৃথিবীর কোনো সমাজই এধরনের মানুষকে ব্যক্তিসম্পর্কের ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করে না। কীর্তিগুণে খ্যাতি পেয়ে গেলে সামাজিকভাবে ক্ষ্যাপাটে এক ধরনের ইমেজ প্রতিষ্ঠা পায়, আর লাখো লাখো INTP যারা সেই অর্থে খ্যাতিবান নয় তারা অনেকক্ষেত্রেই নিজস্ব পরিমণ্ডলে আত্মকেন্দ্রিক, অহংকারি আর অমিশুক ট্যাগ নিয়ে কলহময় বিস্বাদপূর্ণ এক জীবন পার করে।
আপনি যখন জানবেন পৃথিবীতে মাত্র ৩.৩% মানুষ INTP প্রোফাইলসম্পন্ন, এবং সর্বাধিক সংখ্যক (১৩.৮%) মানুষের প্রোফাইল ISFJ, আপনি ব্যতিক্রমী বা দুর্লভ শর্তে তাদের প্রতি কিছুটা নমনীয় হতে যাচ্ছেন, তখনই জানবেন INFJ(১.৫%), ENTJ (১.৮%), INTJ(২.১%) এবং ENFJ (২.৫%) প্রোফাইলের মানুষ তাদের চাইতেও দুষ্প্রাপ্য। তখন মনে হতেই পারে ‘INTP এর এত ফুটানি কিসের’!
দুষ্প্রাপ্য মানেই গুরুত্বপূর্ণ নয় সবসময়। পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা, বা উদ্ভাবনের প্রতি INTP দের যে স্বতঃস্ফূর্ত এবং সহজাত ঝোঁক বা দক্ষতা তাকে এড়াবেন কীভাবে?
আপনি এবার অবস্থান বদলে বলতে চাইছেন- ‘মানুষ চাইলেই নিজেকে বদলাতে পারে। সীমাবদ্ধতাকে মহিমাণ্বিত করে INTP কে গ্ল্যামারপূর্ণ বানানো আদিখ্যেতা। এরা গল্পের চরিত্র হিসেবে যতই লোভনীয় হোক, সোস্যাল ইন্টারেকশন প্রশ্নে এদের জবাবদিহিতার অধীনে আনা উচিত’।
আমি তখন আপনার সাথে গ্যালারির অন্য কোণ অভিমুখে হাঁটতে হাঁটতে বলবো- ‘সমাজের সাথে INTP এর সংঘাত অনিবার্য কেন সেই প্রশ্ন করুন। পৃথিবীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রোফাইলগুলো দেখুন ISFJ (১৩.৮%), ESFJ (১২.৩%), ISTJ ( ১১.৬%), ISFP (৮.৮%), ESTJ (৮.৭%), ESFP (৮.৫%) এবং ENFP (৮.১%)— অর্থাৎ পৃথিবীর ৭১.৮% মানুষের মধ্যে আপনি ৩টি প্রবণতা পাবেনই
১. তারা প্রমাণ চায় কনসেপ্ট নয়।
২. তারা নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং শৃংখলাকে ভালোবাসে। প্রশ্ন মনে জাগলেও প্রকাশের সাহস থাকে কদাচিত
৩. কথা বা কাজের দ্বারা অন্য কেউ আহত হচ্ছে কিনা সেটা মাথায় থাকে; সংযত হওয়া না হওয়া ভিন্ন ব্যাপার।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অভ্যাস, বিশ্বাস আর আচরণের সমন্বিত প্যাকেজ থেকেই যেখানে সমাজের সৃষ্টি, এবং উল্লিখিত ৩টি প্রবণতাই যেহেতু INTP এর মৌল ভিত্তির সাথে তীব্রভাবে সাংঘর্ষিক সমাজের সাথে সহাবস্থান কীভাবে সম্ভব। চাইলে এদের এন্টিসোস্যাল বা বিদ্রোহী বলা যায়। তবে যদি জিজ্ঞেস করেন বিদ্রোহটা কিসের আশায় যথার্থ জবাব দিতে পারব না’
এবং এই মুহূর্তে আপনি কাউন্টার দিয়ে বসবেন, ‘INTP এর সাথে সমাজের যদি এতটাই সংঘর্ষ লেগে থাকে হুমায়ূন আহমেদ আর জেমস এত বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা কীভাবে পায়! তাদের প্রতি আকর্ষণই যদি বোধ করে সমাজ, তাহলে সংঘাতটা থাকলো কোথায়’?
বিশ্বাস করুন যখন আমরা প্রবেশ করেছিলাম এই গ্যালারিতে সেই মুহূর্ত থেকেই প্রতীক্ষায় ছিলাম প্রশ্নটার। বুঝতেই পারছেন কতটা প্রেডিক্টেবল প্রশ্ন করেছেন। ব্যক্তি হুমায়ূন বা জেমসকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরির পূর্বে তাদের নাটক-সাহিত্য-সিনেমা বা গান (অর্থাৎ সৃষ্টিকর্ম) এর প্রতি আকর্ষণ জন্মেছিল, সেটাই উত্তরাধিকারসূত্রে স্বয়ং ব্যক্তির দিকে গেছে। এই সমীকরণটা সহজ। তবে আপনি যদি সংশয়ী হয়ে থাকেন তারা INTP কিনা তার ব্যাখ্যা একটু অন্যভাবে দিতে হবে। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তম দুই চরিত্র হিমু আর মিসির আলি। সাদা চোখে আপনি লজিক আর এন্টিলজিকের দ্বন্দ্ব দিয়ে এদের বুঝতে চাইবেন। আমি দেখি চরিত্র দুটো আদতে একই গন্তব্যপানে ধাবমান; এরা এমপ্যাথিশূন্য এবং এস্টাব্লিশমেন্টের প্রতি প্রশ্নশীল। তার নাটকের শিশুগুলোর চরিত্র কেমন, কিংবা কাজের বুয়াগুলো? সবচাইতে বড়ো কথা তার নাটকগুলোতে অভিনেতারা যেভাবে নাজেহাল হত (কাদা পানিতে ডোবাডুবি, মাটি গর্ত করে জ্যান্ত পুঁতে রাখা, মাথায় ডিম ফাটানো, গোলা ফুল চিবিয়ে খাওয়া প্রভৃতি) কেবল জোছনা আর বৃষ্টিবিলাসের দোহাই দিয়ে এবং বাবা-মেয়ের আবেগঘন সংলাপেই কি এন্টারপ্রেটেশন বদলে যায়? বরং বৃষ্ট-জোছনাবিলাসকে অনুভূতিশীলতার চাইতে নিজস্বতাবোধ ফ্যাক্টর দিয়ে মূল্যায়ন করতে চাওয়াটা কার্যকর বেশি হতে পারে। জেমস আর সাকিবের কেইস প্রায় কাছাকাছি। গত ৩৫ বছরে জেমস পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছে কয়টা, টেলিভিশনে গানের বাইরে সাধারণ কথা-বার্তা বলেছে কতটুকু, কনসার্টে দর্শকদের সাথে ইন্টারেকশন করে কতটুকু? সুতীব্রভাবে সংঘাতটির অস্তিত্ব জানান দিয়ে যায়। উৎপল শুভ্রের কেইসটা আরো ইন্টারেস্টিং; আজ থেকে ৩৫-৩৬ বছর আগে সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের মিডল ক্লাস পরিবারের এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে ক্রীড়া সাংবাদিকতা পেশার দিকে ছুটেছে, যেদেশে খেলাধুলার গণ্ডি নিজস্ব ভূখণ্ডের বাইরে ছড়ায়নি। এটাকে নিছক সাহসিকতা না বলে সামাজিক স্কেলে দেখতে চাইলে সুইসাইডাল মনে হতে বাধ্য। এটা কে ঝুঁকিও বলা যায় না, স্রোতকে চ্যালেঞ্জ জানানো। এবং সর্বশেষে ৫২ বছর বয়সে প্রথম আলোর নিরাপদ চাকরি ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছা অবসর, ভবিষ্যতের জন্য ব্যাক আপ প্ল্যান না করেই। পুরো প্রক্রিয়াটার মূলেই সামাজিক সংঘাত। আর এসএম সুলতানের মতো উদ্ভট জীবনচিন্তার মানুষ আগামী ১০০০ বছরেও জন্ম নিবে না নিশ্চিত’।
এই পর্যায়ে আপনার ধৈর্যচ্যুতি ঘটতে থাকবে, কৈফিয়ত চাওয়ার মতো করে বলবেন- ‘পারসোনালিটি প্রোফাইল কি জন্মগত, তবে যে আমরা শুনি ব্যক্তিত্ব তৈরি হয় পরিবেশ ও প্রতিবেশ দ্বারা’।
আমি তখন আপনাকে ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরণ দেব। আমরা ২ ভাই ১৪ বছর অবিকল একই পরিবেশে প্রতিপালিত হয়েছি, প্রতিটি ঘটনা বা অভিজ্ঞতাও কাছাকাছি, তবু আমাদের মধ্যে একজনের প্রোফাইল INFP, অন্যজনের INTP! আরো কার্যকর উদাহরণ হতে পারে আমার ৩ বছরের জমজকন্যা উনিশ আর তেইশ। জন্ম থেকেই ওদের মধ্যে সার্বক্ষণিক ভিন্নতা, যদিও বাহ্যিক ফ্যাক্টরগুলোতে ন্যূনতম পার্থক্য নেই। তবু বাহ্যিক ফ্যাক্টরগুলো ২ জন একভাবে গ্রহণ করছে না, কেন এই ভিন্নতা জানি না।
আপনার মধ্যে কৌতুক জাগতেই পারে হঠাৎ এবং বলতে পারেন, ‘খ্যাতিমান না হলে INTP রা অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে, এবং সামাজিক নিগ্রহ জুটতে পারে অহরহ। কিন্তু খ্যাতিমান তো হবে গোটাকয়েক মাত্র, আহারে বেচারা INTP’
আমি যথাসম্ভব নির্বিকারত্ব বজায় রেখে বলতে ভুলবো না, ‘যে যার কর্মফল ভোগ করবে। নিজে দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি সামাজিক নিগ্রহ বা অস্তিত্ব সংকটের প্রশ্নে যে সহানুভূতিটা দেখাচ্ছেন, যাদের প্রতি দেখাতে চাইছেন তারা এসবকে আদৌ গণনায় ধরে কিনা খোঁজ নিতে পারেন। দেখবেন সহানুভূতি সংক্ষুব্ধতায় বদলে না যায় যেন’!