তোমার যা আছে সেটাকে বাড়িয়ে তোলে ইন্সপাইরেশন আর তোমার যা নেই সেটি আয়ত্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত ঘ্যানরঘ্যানর করার নাম মোটিভেশন।

মোটিভেশন ব্যাপারটা অনেকটা ছিদ্রযুক্ত বালতিতে পানি ঢালার মতো। যতক্ষণ বেগের সাথে পানি ঢালা হবে বালতিতে পানির কমতি থাকবে না। পানি ঢালা বন্ধ, বালতিও খালি। পানি ধরে রাখার জন্য যে ছিদ্র বন্ধ করতে হবে এটাই বুঝে আসে না। আর যাদের আসে তাদের মোটিভেশনও লাগে না।

.

পড়তেছিলাম Himalay পাই এর ‘হিউম্যান ল্যাব (মৌন মানুষ মানসে)’ বইটা। যদিও এটা কোন মোটিভেশনাল বই না বরং হিউমার মিশ্রিত একটা বিজনেস ফিকশন। তাও পড়তে পড়তে এক জায়গায় থেমে গেলাম- “বেকারত্বের একমাত্র এবং কেবলমাত্র কারণ- অলসতা আর স্কিল ডেভেলপমেন্টের অনীহা।” এই লাইনটা দিয়ে বিচার করলেই দেখা যাবে, গত ছয় মাস বা এক বছরে যাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি- তাদের কেউ-ই, তাদের অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য সিগনিফিক্যান্ট স্কিল ডেভেলপ করার এফোর্ট দেয়নি।

.

হিউম্যান ল্যাব বইটা মূলতঃ লেখকের জীবন আর তার বিচক্ষণ বান্ধবীর বিজনেস এনালাইসিস এর গল্প। গল্পের তালে তালে বিভিন্ন মাঝারি লেভেলে বিজনেস বা এন্টারপ্রেনারদের এমপ্লয়ী রিলেশন, হায়ারিং, কার্স্টমার এনালাইসিস, বিজনেস স্ট্রাটেজি এর সমস্যা ও পদক্ষেপ নিয়ে গভীর চিন্তা করার বই। তাই কারো বিজনেসে আগ্রহ না থাকলেও শুরুর দিকের গল্পটা ভালো লাগবে। আর যারা মাঝারি লেভেলের কোম্পানি চালায় বা সেখানে চাকরি করে এবং সেখানে ইন্টাররেস্টিং বা ইফেক্টিভ লেভেলের পরিবর্তন আনতে চায় তাদের জন্য বইয়ের শেষের দিকের বড় পরিসরের স্টেজটা ভালো লাগবে।

.

বই পড়ে একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে আমার অনুভূতি হচ্ছে- হিমালয় পাই এর আগের বইয়ের চাইতে এই বইটা সহজ পাঠ্য। আর সবচেয়েও বড় উপলব্ধি হচ্ছে- লেখক কোন সুপারহিরো না। সেও মানুষ। তারও লাইফ আছে। সংসারে টানা-পোড়েন আছে।

আগ্রহীরা রকমারি থেকে ‘হিউম্যান ল্যাব’ বইটা সংগ্রহ করতে পারে। (রকমারি লিংক কমেন্টে)