প্রশ্ন বিষয়ক একটা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানালাম। ডোমেইন কেনা হয়েছিলো গত মাসে; ঘনিষ্ঠ সহচর তুহিন এবং শাওনের অপার আন্তরিকতায় সাইটটি আজ প্রাথমিকভাবে চালু হয়ে গেলো। সময়ের পরিক্রমায় হয়তোবা আরো পরিমার্জনা যুক্ত হবে। সাইটের ঠিকানা ask777.net ; প্রশ্নের মহাসমুদ্রে চা খেতে খেতে নাবিক হওয়ার কাল সমাগত হলো তাহলে।
কেন প্রশ্ন? জীবনভর আমি কেবল ইন্টারভিউ নিয়েছি আর বিভিন্ন মানুষকে নির্বিচারে ইমেইল/চিঠি লিখেছি। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রচুর পরিমাণে প্রশ্ন করার দক্ষতা তৈরি হয়েছে ঠিকই, তবে আমি যে বোধ ধারণ করি তার সঠিক বিকাশ তখনই সম্ভব, যখন প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেও সময় বিনিয়োগ করা হবে। প্রশ্ন করায় সাধনার ৫৯% সাধিত হয়, উত্তর থেকে আসে বাকি ৪১%!
জৈবিক মানুষমাত্রই প্রত্যাশা দ্বারা তাড়িত এবং চালিত। প্রত্যাশাবোধ আমারও সুতীব্র; তবে বস্তুগত প্রত্যাশা সামান্যই; যে কোনো মানুষের প্রতি প্রত্যাশা মাত্র দুটো: প্রশ্ন, অথবা/এবং বিরোধীতা। এই দুটো প্রত্যাশা যারা যতো বেশি পূরণ করে, আমার কল্পজগতে তারা ততো বেশি মূল্যবান। যারা এর একটাও পূরণে সমর্থ নয়, কেন জানি না তাদের প্রতি ততোটা আগ্রহ কাজ করে না। হিজল গাছের মতোই নিষ্প্রাণ লাগে তাদের। এটা ব্যক্তি আমার প্রোডাক্ট ডিজাইন ত্রু টি!
মানুষে মানুষে পার্থক্য আদতে প্রশ্ন আর প্রশ্নহীনতায়। ২০১৮ এর ২৩শে ডিসেম্বর নাগাদ ৫৩৮৯টি প্রশ্নের উত্তর লিখবার টার্গেট নিলাম। যে টার্গেট পূরণ হয় না আমি তাকে বলি শখ। ২টা প্রশ্ন চলে এসেছে ইতিমধ্যে। বাকি রইলো মাত্র ৫৩৮৭টি!
প্রশ্নের কোনো বাছবিচার নেই। তবে বিসিএস ভাইভা টাইপ প্রশ্ন না করাই সমীচীন, কিংবা প্রিয় মাছ, প্রিয় সিনেমা জাতীয় প্রশ্নগুলোও কম আকর্ষণীয় লাগে। তবু প্রশ্নের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাই না; প্রশ্নের কাঁধে সওয়ার হয়ে পাড়ি দিতে চাই ৫৯৭১ কোটি মাইল পথ….
আমি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি নিজের পাণ্ডিত্য জাহিরের নিমিত্তে নয়, উপরন্তু নিজের শিক্ষানবিস সত্তাটিকে আরো একাগ্র করতে।
বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।
লাইনটা খুবই মিনিংফুল।
প্রশ্ন চাই, প্রশ্ন, হয়তোবা আপনারাই একেকজন প্রশ্নমানুষ।