গতকাল যুগপৎ দুটো ব্যাপার ঘটেছে। প্রথমত ব্লগার হাসান মাহবুব ওরফে কাকা জানতে চেয়েছে আফগানিস্তান এরকম যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবস্থা, শত শত প্রতিকূলকতার মধ্যেও ঝাঁকে ঝাঁকে কোয়ালিটি ক্রিকেটার কীভাবে প্রোডিউস করছে; বিপরীতে বাংলাদেশে কোনোকালেই সেই অর্থে কোয়ালিটি ক্রিকেটার তৈরি হয়নি; যখন বিপুল স্পন্সর ছিল না তখনো নয়, এখন স্পন্সর সত্ত্বেও হচ্ছে না; কারণটা কী?
দ্বিতীয়ত, ফেসবুকে ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলাম। প্রশ্নটা ছিল- নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজে ওপেনার হিসেবে কাদের দেখতে চান; লিটন-সৌম্য প্রুভেন ফেইলার, নাঈম শেখের ব্যাটিং টি২০ অনুপযোগী, তামিম ইকবাল মেয়াদোত্তীর্ণ! মোট ১৬৪ জন অংশ নিয়েছেন সে সমীক্ষায়। অপশন হিসেবে এসেছে অনুর্ধ্ব১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, গত বছর ঘরোয়া টি২০ খেলা আনিসুল ইমন, এবছর আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার খেলা মুনিম শাহরিয়ার। পুরনোদের মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত এর নাম বলেছে অনেকে, যদিও এবছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তুমুল সমালোচিত হয়ে কেবলমাত্র টেস্ট খেলছে। চলমান স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের মধ্যে আফিফ, শেখ মাহেদি, শামীম পাটোয়ারির নামও বলেছে অনেকে। যেসব অপশন এসেছে তারা বিসিবির বিকল্প দলগুলোর হয়ে খুব রিমার্কেবল কোনো পারফরম্যান্স করছে তাও নয়; তাদের সিলেকশন প্রস্তাব অনেকটাই অ্যাসাম্পশন নির্ভর, অর্থাৎ বর্তমানেরা যা খেলছে তাদের পক্ষে এর চাইতে খারাপ করা সম্ভব নয়, সুতরাং সুযোগ দেয়া হোক, যুক্তিতে।
টি২০ বাদ দিলাম; বাকি ২ ফরম্যাট ওয়ানডে আর টেস্ট নিয়েও যদি কাছাকাছি ধরনের প্রশ্ন করা হয় অপশন পাওয়া যাবে না, কারণ বিসিবির বিকল্প দলগুলোতেও টানা পারফর্ম করছে না কোনো ব্যাটসম্যান বা বোলার। এক অপরিমেয় নৈরাশ্যজনক স্থিরতা সর্বত্র!
প্রথম প্রশ্ন, কোয়ালিটি ক্রিকেটারের প্যারামিটার কী? যারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও পারফর্ম করার যোগ্যতা রাখে, এবং পিচ নির্ভরতা নেই। সেই নিরিখে বাংলাদেশে ২ লেয়ার মিলিয়ে কোয়ালিটি ক্রিকেটার আদতে কারা? প্রথম লেয়ারে থাকবে সাকিব, আশরাফুল, তামিম, মোহাম্মদ রফিক এবং ২০১১ পূর্ব মাশরাফি। দ্বিতীয় লেয়ারে মুশফিক, মুস্তাফিজ, মমিনুল, এবং এনামুল হক জুনিয়র। ২ লেয়ার এবং বিভিন্ন জেনারেশন মিলিয়েও ১১ হয় না; আশ্চর্যজনক লাগে না?
২২ থেকে ৩০, এই সময়টা একজন ক্রিকেটারের পিক বা সোনালি সময়। অন্যান্য দেশে এরপরও কারো কারো পিক থাকলেও ফুড হ্যাবিট এবং লাইফস্টাইলের কারণে বাংলাদেশীরা ৩০ পেরুলেই রিফ্লেক্স, ফিটনেস হারাতে শুরুতে করে। বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসলে তাই ভাবি ২০ থেকে ৩০ বয়সসীমায় সাকিব, আশরাফুল, তামিম বা মাশরাফির খেলা দেখে যে ফিলটা আসতো একই বয়সের এখনকার আফিফ, মিরাজ, শান্ত, নাইম শেখ,লিটন, সৌম্য, সাদমান, সাইফ, তাসকিনকে দেখলে সেই মানের ক্রিকেটার মনে হয় কিনা। একেবারেই না।
বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলা প্রচলনের ইতিহাস দীর্ঘ। সেই পঞ্চাশের দশকেও এখনকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে চারদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি অঞ্চলে ক্রিকেট না থাকলে সেখানে স্টেডিয়াম বা ক্রিকেট পিচ থাকার কারণ নেই (যদিও এমাঠে ক্রিকেট-ফুটবল ভাগাভাগি করেই খেলা হত), কিংবা রকিবুল হাসানরা স্বাধীনতার আগে থেকেই ক্রিকেট খেলতেন; সবকিছুই নির্দেশ করে ক্রিকেট এখানে আচমকা আসেনি। তবু কেন কখনোই কোয়ালিটি ক্রিকেটার জন্ম নেয়নি এখানে, প্রশ্নটা আরো গুরুতর হয়ে উঠে।
অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতা দলটিকে নিয়ে অনেকে আশাবাদী, প্রত্যাশায় আছেন ওই দলের সিংহভাগ ক্রিকেটার জাতীয় দলে ঢুকলে ফলাফল ইমপ্রুভ করবে। ওই দল বিশ্বকাপ জিতেছে প্রায় ২ বছর, ইত্যবসরে তারা খেলেছে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট এবং সিরিজ: সিগনিফিক্যান্ট পারফরম্যান্স কই! পারভেজ হোসেন ইমন ঘরোয়া টি২০ তে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করার পর উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স কী, কিংবা আয়ারল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে মাহমুদুল জয় প্রচুর রান করেছে ঠিকই, কিন্তু স্ট্রাইকরেট বেশিরভাগ সময় ৭০-৭৫ ঘোরাঘুরি করেছে; এরা যখন টপ লেভেলে বুমরা বা বোল্টকে খেলবে তাদের কাছে কী আশা করেন? আর যদি পৃথকভাবে দেখি, ওই দলের কোন প্লেয়ারটাকে দেখে মনে হয়েছে বহুদিন পর একজনকে পেলাম যে আগামী ১০ বছর বাংলাদেশকে অসংখ্য ম্যাচ জেতাতে পারবে? এবছরের অনুর্ধ্ব১৯ দলের অবস্থা আরো শোচনীয়, শ্রীলংকায় গিয়ে ৫-০ তে হেরে এসেছে। এই দলে আইচ মোল্লা নামের একজন ব্যাটসম্যান আছে, শোনা যাচ্ছে সে সে সম্ভাবনাময়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ভুলভাল বিশ্লেষণের তালিকায় শীর্ষে থাকবে সম্ভাবনায় ধারণাটি। এক-দুইটা পার্টিকুলার ডেলিভারি বা শটের মধ্যে সম্ভাবনা থাকে না, ওর নাম স্ফূলিঙ্গ; কিন্তু স্কিল আলাদা ব্যাপার; এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত টেম্পারমেন্ট। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মূল ঘাটতিটা স্কিলের, যে কারণে টেম্পারমেন্ট তৈরি হয় না।
স্কিলহীনতার জন্য মুখস্থ কিছু জায়গা আছে যেগুলোতে দোষারোপ বা অভিযোগ তোলা হয়। যেমন,বিসিবির দুর্নীতি, ঘরোয়া ক্রিকেট অবকাঠামোহীনতা, নিম্নমানের পিচ, পাতানো ম্যাচ, বয়সভিত্তিক দলে খেলোয়াড় বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতি, স্থানীয় কোচদের দুর্নীতি ও মেধাহীনতা প্রভৃতি। হ্যাঁ, অবশ্যই এগুলো ফ্যাক্ট, এর কারণে স্কিলফুল ক্রিকেটারের সংখ্যা কম হতে পারে সেটাও বিশ্বাসযোগ্য, কিন্তু একেবারেই নগণ্যসংখ্যক স্কিলফুল ক্রিকেটার পাওয়া কি তাতে জাস্টিফাইড হয়? কোনোক্রমেই না।
স্কিল তৈরিতে কালচার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, তবু স্কিল শেষপর্যন্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তেরই প্রতিফল। ক্রিকেট বাদ দিলাম, বাংলাদেশ কোন খেলায় স্কিলফুল? বিচ্ছিন্নভাবে একক খেলাগুলোতে কিছু সাফল্য আসে, সেটাও স্কিলের সামগ্রীক প্রতিচ্ছবি হয় না।
খেলাধুলা বাদে যদি সাহিত্য-সিনেমা-মিউজিক-গবেষণা সহ যে কোনো অঙ্গন ধরি, একই চিত্র। স্কিল নেই। স্কিলের জন্য প্রধান পূর্বশর্ত কমিটমেন্ট, যেখানে হাজার মাইল ব্যবধানে পিছিয়ে আমাদের যে কোনো অঙ্গনের যে কোনো মানুষ।
ধরা যাক, একটি অফিস। কর্মীদের বেশিরভাগই ফাঁকিবাজ; ম্যানেজমেন্ট শোষণ-নিপীড়ন চালায়-কাজের অবমূল্যায়ন হচ্ছে-কুকুর বিড়ালের মতো ট্রিট করা হয়, অভিযোগের সুদীর্ঘ তালিকা। কিন্তু গতবছর যতটুকু স্কিল ছিল পরের বছর স্কিলবৃদ্ধিতে স্পেসিফিক কী কী কাজ করেছেন জিজ্ঞেস করলে বাহানা অথবা মুখস্থ বুলি। কারো সাথে ১০টায় দেখা করার কথা মানে অবলীলায় সাড়ে দশটা বা এগারো হতে পারে।
স্পন্সরপূর্ব যুগের ক্রিকেটাররা কমিটেড হতে পারেনি, কারণ ক্রিকেট খেলে সামাজিক স্বীকৃতি ছিল না এবং এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের অবস্থাও শোচনীয়, যে কারণে শুধু ক্রিকেট নিয়ে পড়ে থাকা হয়নি। স্পন্সরপরবর্তী যুগের ক্রিকেটাররা কমিটেড হয় না, কারণ তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যতেই ঝামেলা; ওয়ার্ক এথিক্স অতি বাজে। তারা ক্রিকেটার হতে চায় মূলত অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়া, এবং রাতারাতি তারকাখ্যাতির লোভে; ক্রিকেট যে তাদের চাকরি, এবং নিজেকে ডেভেলপ না করলে চাকরিতে যেমন ইনক্রিমেন্ট হয় না, অনুরূপ ক্রিকেট মাঠেও যে পারফরম্যান্স আসে না সেই বোধ কাজ করে কম। যতই সিস্টেম, অবকাঠামো থাকুক, হাজার খানেক কোচ গুলিয়ে খাওয়ানো হোক, কমিটমেন্ট না থাকলে স্কিল তৈরি হবে না, গ্যারান্টেড।
এমনকি স্কিল থাকা সত্ত্বেও কমিটমেন্টে ঘাটতি থাকলে গ্রোথ হতাশাজনক হতে বাধ্য, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আশরাফুল। তার পর্যায়ের ব্যাটিং স্কিলসম্পন্ন ব্যাটসম্যান আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে খেলেনি, কিন্তু কমিটমেন্ট না থাকায় ২০-২২ ব্যাটিং গড় নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে হয়েছে।
কমিটমেন্ট তৈরি হয় মূল কোয়ালিটি সচেতনতা থেকে। আমরা মেলামেশার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি মানুষের সান্নিধ্যে কতখানি যাই, এবং তাদের সাথে কাটানো সময় থেকে লারনিং কী প্রশ্নটা উদিত হয় কিনা ভাবা হয় কি? একজন মানুষ কোয়ালিটিফুল কিনা বোঝা যায় সহজেই যদি তার কাজ-কর্ম বা চিন্তা আপনার মধ্যে প্রশ্ন জাগাতে সমর্থ হয়। খেয়াল করে দেখবেন যার বা যাদের সাথে সময় কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে অন্য দশটা মানুষের মতোই গতানুগতিক লাগবে, সময়ের উপযোগ খুঁজে পাবেন না। আপনি লিটন দাস বা সৌম্য সরকারকে জিজ্ঞেস করেন যাদের বিপক্ষে খেলে যেমন কোহলি, গেইল কিংবা কেইন উইলিয়ামসন—এদের কারো সাথে খেলা নিয়ে কথা হয় কিনা, বা কতটুকু ঘনিষ্ঠতা; খুবই সম্ভাবনা আছে এদের ফোন নম্বরই হয়তবা নেই। কিংবা আফিফ-মাহেদি নিজেদের খেলার বাইরে অন্যদেশ বা দলের খেলা কতটুকু মনোযোগ দিয়ে দেখে? সন্তোষজনক উত্তর পাবেন না। তাহলে কমিটমেন্টটা তৈরি হবে কীভাবে। সাকিব যতটুকু স্কিল নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে এসেছিল পরবর্তীতে সেখান থেকে কতটুকু উন্নতি করেছে? করেনি, কারণ দলে জায়গা নিয়ে কখনোই প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পড়তে হয়নি। তবে তার মধ্যে প্রথম থেকেই কোয়ালিটি সচেতনতা ছিল, যার কারণে অন্তত কাজের প্রতি কমিটমেন্টে ঘাটতি দেখা দেয়নি, অন্য যত বদনাম বা অপবাদই থাকুক।
কমিটমেন্ট কি জোর করে তৈরি করা যায়? ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, গতবছর করোনাকালীন বিভিন্ন শো-তে তামিম, আফতাব, রিয়াদ রা সেই প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার যে বর্ণনা দিয়েছিল তাতে এটা বোঝা গেছে চাপে রাখলে এদেশের মানুষ লাইনে থাকে। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দল এবং মূল দলে আর্মি স্টাইল প্রয়োগ করে দেখতে পারে পরীক্ষামূলকভাবে। এ মুহূর্তে মনে পড়ছে রিচার্ড ম্যাকিন্সের কথা। এই অস্ট্রেলিয়ান প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানেই বয়সভিত্তিক দলে গ্রুমড হয়েছিল সাকিব-তামিমরা। আবারো ম্যাকিন্সকেই আনতে হবে বলছি না, তবে ঢাকা শহরের যে কোনো অঞ্চল আর ডিওএইচএস এর ভেতরে গাড়ি চলাচল দেখলেই অনুমান করা যায় কঠোর শাসন কতটা ইফেক্টিভ।
তাতেই কি কমিটেড ক্রিকেটার তৈরি হবে? যতই দুর্নীতি হোক শেষ পর্যন্ত যারা দলে খেলে তারা ক্রিকেটারই। যারা সুযোগ পাচ্ছে না তারা নিজেরা কতটা কমিটেড সেই প্রশ্নটাও অবধারিতভাবে আসা উচিত। কিন্তু কমিটমেন্টবিহীন একটি জাতির কাছ থেকে সেই ভাবনাও অবান্তর ঠেকে।
তাহলে বাংলাদেশ কি ক্রিকেট থেকে হারিয়ে যাবে? মাত্র ১৮ বছর আগেও বাংলাদেশের তুলনায় কেনিয়া ছিল প্রবল প্রতিপক্ষ, আজ কোথায় তারা? কেনিয়ার টাকা-পয়সা ছিল না, পক্ষান্তরে ক্রিকেট এদেশে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকর পলিটিক্যাল টুলস। কিন্তু গ্লোবালাইজেশনের যুগে স্কিলহীন ক্রিকেটারদের মানহীন ডিসপ্লে দিয়ে কতদিন স্পন্সরদের আকৃষ্ট করা যাবে, কিংবা বিভিন্ন দেশের এ বা বি দলগুলোকে হারিয়ে দর্শককে ধোকা দেয়াটাও কি দিনকে দিন দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে না? এখনো পুরনো তারকাদের বেচেই দুটো পয়সা উপার্জন করছে মিডিয়া, নতুন তারকা উঠে আসছে না, এবং যা লক্ষণ তাতে তারকা পাওয়াটাও দুরূহ ঠেকছে। সবমিলিয়ে এফডিসির মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটের সূচকও নিম্নগামী; অবশ্য বাক্যটা ভুল বললাম। সূচক একই আছে; মাঝখানে সিস্টেম ত্রুটি হিসেবে ৬-৭ জন স্কিলফুল ক্রিকেটার পেয়ে গেছি, কিন্তু কমিটমেন্টহীনতার দরুণ তাদের সবার থেকে আউটপুট আসেনি। শেষতক এই অদ্ভুত দেশ শ্রমিক তৈরি করা আর কাকের মতো কোকিলের বাচ্চা পালনের দায়িত্ব পালনকেই পরম প্রাপ্তি ধরে নিবে। ক্রিকেট সেই নিয়তির একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র!