সঙ্গীতা দত্ত আদতে ২ জন ব্যক্তি, একজন বাস্তব অপরজন ইমাজিনারি। বাস্তব সঙ্গীতা দত্ত এর স্বল্পসংখ্যক উপাত্ত নিয়ে ডিকনস্ট্রাক্ট করি ইমাজিনারি সঙ্গীতাকে, সেই ২০০৬ থেকেই চলমান। যে কারণে ভার্সিটি ছাড়ার ১৩ বছর পরও সঙ্গীতা দত্ত এর সঙ্গে কানেকশন ছুটে যায়নি। বিনির্মিত সঙ্গীতা দত্তের প্রয়োজনেই।
সঙ্গীতা আপুকে সঙ্গীতা দত্ত হিসেবে লিখলাম কর্পোরেট অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ারের অংশ হিসেবে। দেখা গেল সে বলছে, মাহফুজ সাহেব আপু-টাপু কোনো কর্পোরেট ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, প্লিজ বিহেভ ইয়রসেলফ। সে হয়ত একটা লেখার ২-৫ লাইন পড়বে, বাকিটুকু পড়ার ধৈর্য হবে না। এজন্য শুরুর কেতাবি এপ্রোচ, পরের অনুচ্ছেদগুলোতে চিরায়ত ইনফরমাল সঙ্গীতা আপুই গল্পিত হোক।
বুয়েটের মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমিক এবং প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে আমাকে একদম কিছুই দিতে পারেনি। তবে কয়েকজন মানুষ উপহার দিয়েছে যারা আমার মনন শার্পিত করতে অমানবিক পর্যায়ের অবদান রেখেছে, কল্পনাকে করেছে সুতীব্র। আরমান, 41, জনি ভাই, নিশাত আপু, সঞ্চিতা দে, ইমু, এবং আরো একজন যার নাম উল্লেখ করা যাচ্ছে না অনিবার্য কারণে।
এরা প্রত্যেকেই ডুয়েল আইডেন্টিটি বহন করে আমার মনোপৃথিবীতে। মেটালার্জি এবং আমি দুই মেরুগামী হলেও উল্লিখিত ব্যক্তিদের প্রতি কানেকশন তথা সংযোগ বোধ করার প্লাটফরম হওয়াহেতু মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে আমি বলি ‘ইমাজিনেশন কালচারিং স্টেশন’।
সঙ্গীতা আপুর সাথেও আমার দেখা হয়ছিল কথিত এই ইমাজিনেশন কালচারিং স্টেশনেই। একাডেমিকালি ২ বছরের সিনিয়র ছিলেন।
তবে উল্লিখিত বাকিদের সাথে সুস্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে তার। তারা কেউবা বন্ধু, কেউ অবসেসন। কিন্তু সঙ্গীতা আপু প্রথম দিন থেকেই একজন বড় বোন যার সাথে সিরিয়াস আচরণ আসে না, প্রতিটি কথাকেই ফান এ কনভার্ট করার ইচ্ছা জাগে। একটা বিষয়কে কয়েকটা এঙ্গেল থেকে ব্যবচ্ছেদ করার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে এটি ডেভেলপ করার ক্ষেত্রে ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপুর সিগনিফিক্যান্ট অবদান রয়েছে। সেসূত্রে তাকে আমার ক্রিটিকাল এনালাইসিস বিকাশের গ্রুমার বা মেন্টরও বলা যায়।
তবে সঙ্গীতা আপুর সন্ধান পেয়েছিলাম খুবই পিকুইলিয়ার উপায়ে। ফার্স্ট ইয়ারে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল শিহাব, কলেজেও একই গ্রুপে ছিলাম আমরা। বুয়েট ক্যাফেতে প্রতিদিনই প্রচুর চা নিধন করতাম, আর উদ্ভট-আজগুবি সব বিষয়ে গল্প করতাম। আমার কল্পনা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠার ক্ষেত্রে শিহাবও একজন বিনিয়োগকারী। একদিন কথা প্রসঙ্গে বলে ”03 ব্যাচে একজন আপু আছে, চুল খুব সুন্দর’। আমার প্রতিক্রিয়া ছিল, উনার চুল সুন্দর, তেল বা শ্যাম্পু কোম্পানির জন্য দরকারি তথ্য হতে পারে, আমি এটা জেনে কী করব’। ওর ভাষ্য ছিল- তুই তো মানুষের ভোকাল টোন নিয়ে কিউরিয়াস, ভাবলাম চুল-টুল নিয়েও কিউরিসিটি থাকতে পারে’।
সঙ্গীতা আপুর সাথে আলাপ হয় সেই ঘটনার প্রায় দেড় বছর পরে। বুয়েটের একটা কালচার আছে; প্রতিবছর বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট কোনো এক সেমিস্টারে ৩-৪ দিন ব্যাপী প্রোগ্রাম করে, সেটাকে বলা হয় ডিপার্টমেন্টাল ডে বা ফেস্টিভাল। যেসব ডিপার্টমেন্টে স্টুডেন্ট বেশি যেমন ইলেকট্রিকাল, সিএসই, সিভিল, মেকানিকাল, কেমিক্যাল প্রভৃতি এই ফেস্টিভাল বেশি করত। স্টুডেন্ট সংখ্যা কমওয়ালা ডিপার্টমেন্টে হত অনিয়মিতভাবে, তখনো পর্যন্ত মেটালার্জি একবারও করেনি। প্রথমবারের মতো এমএমই ডে আয়োজনের তোড়জোর শুরু হয়, আমরা জুনিয়রতম ব্যাচ হলেও প্রায় ৭-৮ টা স্ক্রিপ্ট লেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল আমাকে। সেসূত্রেই বিভিন্ন ব্যাচের ভাই-আপুকে চিনি, সঙ্গীতা আপুর সাথে আলাপটাও সেভাবে। এবং তাকে দেখার পরে শিহাবের সেই মন্তব্যটা মনে পড়ে যায়, তবে বেশিক্ষণ স্থায়িত্ব পায় না, কারণ প্রোগ্রামসূত্রেই জেনে গিয়েছিলাম তিনি নাচ এবং গানে দক্ষ। পারফর্মিং আর্ট এ যাদের এক্সপার্টাইজ থাকে, তাদের প্রতি এমনিতেই সম্মান কাজ করে। ফলে সঙ্গীতা আপুর সাথে আমার প্রারম্ভিক জার্নির উপকরণ ছিল ‘সম্মান’, সেটা যে ১৫ বছর পরেও ক্যারি করব জানা ছিল না। মেটালার্জিতে 01 থেকে 09 পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাচেই অসংখ্য মানুষ পরিচিত ছিল, ঘনিষ্ঠতাও ছিল কয়েকজনের সাথে, কিন্তু কালের পরিক্রমায় তাদের প্রায় সবাই ঘোলাটে রোদ হয়ে গেছে, এমনকি নিজের ব্যাচে যে ৩৮ জন তাদেরও ২-৩ জন বাদে অন্যরা নেটওয়ার্কের বাইরে।
কিন্তু যাদের প্রতি সংযোগ বোধ করতাম তার লেগাসি ১ যুগের বেশি সময় ধরে প্রবহমান।
বুয়েট হাইপার ক্যারিয়ারিস্টিক একটা জায়গা। ক্যারিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত নিরাসক্ত মানুষের জন্য এখানে সারভাইভ করাটা বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হওয়ার কথা। আমার ক্ষেত্রেও ঘটেনি অন্যথা। ফলে সঙ্গীতা আপুদের মতো সেমি-সিরিয়াস মানুষদের সাথে উল্লেখযোগ্য মেমরি ক্রিয়েশন হয়নি। ওল্ড একাডেমিক ভবন (OAB) এর ২০৯-১০ নম্বর রুমে ক্লাস হত আমাদের, টিচার না থাকলে পুরোটা সময় কাটতো করিডোরে পায়চারি করে। সঙ্গীতা আপুদেরও ক্লাস হত আশপাশের কোনো রুমে, তিনি সেই পথে যাতায়াত করতেন, দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম- ‘কী অবস্থা আপু’, উনি কখনো উত্তর দিতেন, কখনোবা খেয়াল করতেন না। বুয়েটজীবনে সঙ্গীতা আপুর সাথে ঝলমলে স্মৃতি বলতে এটাই, এবং এতবছর পরও সঙ্গীতা আপুকে আমি বুয়েটের সেই করিডোরেই হেঁটে যেতে দেখি। সেই প্রভাব পড়ে বুয়েটজীবনে আমার নির্মিত দুটো টেলিফিল্ম- মনীষী সিনড্রোম আর একদা-একসময় এ।
সঙ্গীতা আপুর ততদিনে গ্রাজুয়েশন সমাপ্ত, তবু ক্যাম্পাসে তার আসা পড়ত। মনীষী সিনড্রোম এ অভিনয়ের প্রস্তাব দিলে সহজেই রাজি হয়ে যান, আগেরদিন রিহার্সেলও করেন।
এবং একদা-একসময় এ ‘নীতু আপু’ চরিত্রটিও সরাসরি তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সৃষ্টি করা। দুটো টেলিফিল্মের স্টোরিলাইন সম্পূর্ণ আলাদা, কিন্তু দুজায়গাতেই একজন বড়ো বোন থাকে যার সাথে ভাইয়ের অথবা ভার্সিটি জুনিয়রের খুনসুটি লেগেই থাকে।
সঙ্গীতা আপুর সাথে পরবর্তীতে আর দীর্ঘদিন দেখা হয়নি কোথাও, কিন্তু লেখালিখির সুবিধাই এটা যে কাউকে ধারণ করতে যোগাযোগ আবশ্যিক কোনো শর্ত নয়। তাই সঙ্গীতা আপুকে ভুলা হয়নি আর।
বইটই লিখতে যখন প্রচণ্ড টাইট স্ক্যাজুয়াল থাকে, দিন-রাতের হিসাবে লাগে গোঁজামিল সেই সমস্ত বিধ্বস্ত মানসিক অবস্থায় কমিক রিলিফের আশায় অতর্কিত মনে পড়ে সঙ্গীতা আপুকে। ফোন করি বা বার্তা পাঠাই ফেসবুকে। বেশিরভাগ সময়ই আপু ফোন ধরে না বা মেসেজ দেখে না (ফেসবুকে এক্টিভ না সম্ভবত), তবু একপাক্ষিক ওইটুকু যোগাযোগের ভিত্তিতেই ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপুর সাথে ঘন্টাখানেক ঠাট্টা-মশকরায় এনার্জাইজড হই।
কয়েক বছর পূর্বে এক পিএইচডি হোল্ডার মন্তব্য করেছিলেন- ‘তোমার সাইকো এনালাইসিস করালে আমি নিশ্চিত বাই পোলার ডিসঅর্ডার ধরা পড়বে’
মন্তব্যটা সত্য হবার সম্ভাবনা পর্যাপ্ত। বিশেষত বিভিন্ন মানুষকে যেরকম ডুয়েল আইডেন্টিটি দিই, বা ইমেজ ডিকনস্ট্রাক্ট করি, এটা সুস্থ্য মানুষের বৈশিষ্ট্য নাও হতে পারে। এতে মোটেই বিচলিত নই আমি। মূল বিষয় আনন্দে থাকা, বা ঘুরিয়ে বললে অনুশোচনা-পরিতাপে না ভুগা। বাই পোলার ডিস অর্ডার যদি সেই শর্ত পূরণ করে- লেট ইট হ্যাপেন!
তবে আমার ডুয়েল আইডেন্টিটির মানুষদের নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায় সেইসব ব্যক্তি যারা আমার লেখার সূত্রে তাদের একটা ইমপ্রেসন তৈরি করে নেয়। পরবর্তীতে তারা যখন বাস্তব আইডেন্টিটির ব্যক্তিটির সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এবং ইমাজিনারি আইডেন্টিটির সাথে অমিল খুঁজে পায়, কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ে। এজন্য কি আমাকে দায় দেয়া যায়? ধরা যাক, পার্কে একটি বেঞ্চ বসানো , তার সামনেই ৩১ তলা বিল্ডিং, ৩ তলা থেকে দেখলে বেঞ্চটিকে যেমন দেখাবে, ১১ বা ২৩ তলা থেকে দেখলে নিশ্চয়ই অন্যরকম লাগবে। আমি কীভাবে বলবো সে কোন তলা থেকে বেঞ্চটাকে দেখছে!
গ্যাপশেডিং বইয়ের প্রচ্ছদ করেছে আমার কন্যা তেইশ। বইমেলায় বই প্রকাশে অনীহা কাজ করলেও শুধুমাত্র তেইশের কারণে গ্যাপশেডিংকে বইমেলাতেই দেখতে পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। পাণ্ডুলিপি তৈরি করতে শেষ ১০-১২ দিনে অমানুষিক পর্যায়ের খাটুনি যাচ্ছিল। যথারীতি কমিক রিলিফের উদ্দেশ্যে ফোন করি সঙ্গীতা আপুকে। ধরে না সে, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যায় ইমাজিনারি আপুকে দিয়ে। অপ্রত্যাশিতভাবে কয়েকদিন পর মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠায় সে-‘হিমু তুই কি ফোন দিছিলি কয়েকদিন আগে? ওই নম্বরটা আমার কাছে থাকে না আর, অনেকেই পায় না সেজন্য’।
যখন বলি আপনারে মনে পডলো হঠাৎ, আপুর কোনো কারণে মায়া হয়, বাসায় দাওয়াত দেয়, এবং ঘটনাক্রমে সেটা বছরের শেষদিন সন্ধ্যায়। থার্টি ফাস্ট নিয়ে সমগ্র জীবনেই কোনো স্পার্ক তৈরি হয়নি, হবে না আগামীতেও, তবু বাস্তব সঙ্গীতা আপুর বাসায় প্রথমবার নিমন্ত্রিত হবার ক্ষেত্রে তারিখটা ইউনিক। ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপুর সাথে এ নিয়ে প্রচুর রঙ্গ-রসিকতা চালানো যাবে।
গেলাম আপুর সাথে গল্প করতে, তার বৃহত্তম অংশই ব্যয়িত হলো রান্না আর আপ্যায়নে। খাওয়া-দাওয়া জীবনের বহু মূল্যবান স্মৃতি তৈরির ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা। তবে খাওয়াকে এড়াই ই বা কীভাবে! নইলে তো অমৃত স্বাদের বেগুনি খাওয়াটা হত না আর। আপুর বাসায় খেয়েছি রীতিমত হাড়-হাভাতে মুডে, কিন্তু বেগুনিটা আমাকে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে গিয়েছিল সাময়িক। ঠাকুরগাঁওয়ে কী কী খেতে চাই প্রায়ই তালিকা বানাই, গতকাল সেখানে সর্বশেষ সংযুক্ত হলো বেগুনি। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে সঙ্গীতা আপুর বাসা নেই, বেগুনিটা তৈরি হবে অন্য কারো রেসিপিতে। এজন্য কনফিউশনে ভুগছি কিঞ্চিৎ!
মেমরি ক্রিয়েট প্রকল্পের একটা অংশ ফটোগ্রাফি। সঙ্গীতা আপুর সাথে সেই আনুষ্ঠানিকতা সারার মুহূর্তে আচমকা তার মনে পড়ে যায় মনীষী সিনড্রোম নাটকের এক দৃশ্যে সে ছোটভাই ইমুর কান টেনে ধরেছিল। ফটোগ্রাফির অন্তিম মুহূর্তে বাস্তব সঙ্গীতা দত্তকে হয়তবা কিছুক্ষণের জন্য হরণ করেছিল ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপু, যার সাক্ষ্মী হয়ে রইলো আমার নিরীহ কানদ্বয়!
এবছর আমি চিন্তা সংরক্ষণ প্রকল্প শুরু করেছি। যাদের চিন্তা ভাবনা ইন্টারেস্টিং এবং ভ্যালুয়েবল মনে করি তাদের কোয়ালিটিভিত্তিক বায়োগ্রাফি লিখি। এই প্রকল্পে ওই ব্যক্তির সিরিজ অব ইন্টারভিউ নিই, সেগুলো অডিওতে রেকর্ড করে একজন অনুলেখক, তারপর প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয় বই। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের বই আসছে, যার বিষয়বস্তু সেলসম্যানশিপ। কাজ চলছে এমপ্যাথি বিষয়ক বইয়ের। পাইপলাইনে আছে এরোগেন্স, ইনফরমালিটি, স্পিরিট বিষয়ক বই। সঙ্গীতা আপুর কোয়ালিটেটিভ বায়োগ্রাফি যুক্ত হবে পাইপলাইনে। বিষয়টা এখনো চূড়ান্ত করতে পারিনি। তবে মূল কনফিউশন অন্যত্র; সেখানে বাস্তব সঙ্গীতা দত্ত নাকি ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপু, কে যে প্রমিনেন্ট হবে বুঝতে পারছি না।
কানেক্টিভিটি একটি মিউচুয়াল রেসপন্স। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি যাদের প্রতি কানেক্টেড বোধ করি অপরপ্রান্ত থেকে সেই ইনটেনসিটিটা আসে না, আমার অপ্রকৃতিস্থ স্বভাব একটা কারণ হতে পারে। যে কারণে বন্ডিংটাও জমাট বাঁধে না।
তাতে কী ই বা এলো গেল! শেষ পর্যন্ত আনন্দটাই সত্যি আর স্থায়ী বলে ইমাজিনারি সঙ্গীতা আপুর সাথে হিউমার অনুশীলন করার রসদ যোগাতে হুটহাট বিরক্ত করি কর্পোরেট ম্যানেজার সঙ্গীতা দত্তকে। এজন্য স্যরি বলা উচিত হলেও বলবো না। যা থাকে কপালে
তিনি ইয়াহু মেসেঞ্জারে everfresh নামে আইডি ব্যবহার করতেন৷ আমি ফোনে প্রত্যেক মানুষকেই সংরক্ষণ করি সাংকেতিক কোডের মাধ্যমে। সেকারণে গত ১৫ বছর ধরেই ”03 everfresh’ সংকেতে সঙ্গীতা আপু প্রাসঙ্গিক।
আপু, আপনার ফ্রেশনেস এ ফরমালিন না মেশা পর্যন্ত জীবিত থাকুন, তারপর সময় বুঝে সামাজিক মানুষদের ভিড়ে মিশে যাইয়েন।