আজকের তারিখটি ইউনিক; ২.২.২২, এবং এমন দিনে তেইশের সাথে একই ফ্রেমবন্দী হলেন সারাবন তহুরা!
ব্যতিক্রমী নাম রাখার কারণে জীবনভর কত শত তরুণ-তরুণীর আত্মীয়রা উপহার পেল আমার তরফ থেকে গুনে রাখলে কোথায় গিয়ে ঠেকত সংখ্যাটা কে জানে!
সারাবন তহুরার নাম যিনি রেখেছেন তিনি কি জীবিত এখনো?
হঠাৎ সারাবন তহুরা লেখার বিষয়বস্তু কেন; মোটিভ কী আমার!
গ্যাপশেডিং বইয়ের ২য় ফ্ল্যাপ যেখানে থাকে লেখকের ছবি এবং পরিচিতি, সেখানে প্রথম লাইনেই স্থান পেয়েছেন একজন চিকিৎসক, নাম সারাবন তহুরা।
বর্ণিত হয়েছে আরো অনেকের কথাই, তবু কেন সারাবন তহুরা পেলেন এতগুলো লাইন বরাদ্দ। ৭৯ বছর পরেও থেকে যেতে পারে গ্যাপশেডিং বইয়ের কোনো জীর্ণ কপি, বইয়ের সম্ভাবনা এবং সীমাবদ্ধতা, যাই বলি, দুটোই একই জায়গায়। একটা কিছু লিখে ফেলা মানে সিসিফাঁসের নিয়তিতে আটকে যাওয়া চিরজন্মের তরে!
কারো যদি কৌতূহল জাগে ইন্টারভিউ তথা মানুষের ব্যক্তিত্বের মাইক্রোস্পিক এনালাইসিসে সারাবন তহুরা কোত্থেকে এলো, কেনই বা এলো; প্রাসঙ্গিকতা কী!
দুর্ভাগ্যবশত সেই কৌতূহল মেটানোর জন্য ততদিনে ধরাধামের কোথাও জায়গা হবে না আমার। মানুষ অতি ক্ষীণজীবী এক প্রাণি, এটাই অদৃষ্টের পরিহাস।
না হলে নাই। আসল কথায় আসি।
সারাবন তহুরা বাচ্চাদের রেসপাইরেটরি সমস্যার বিশেষজ্ঞ। উনিশ-তেইশের এধরনের কিছু সমস্যা দেখা দেয়ায় ফেসবুকে সাময়িক স্ট্যাটাস লিখেছিলাম একজন ‘মাই ডিয়ার’ টাইপ চিকিৎসকের রেকমেন্ডেশন চেয়ে, সেখানে ৩ জন তার নাম বলেছিল।
ওটাই তার সাথে সংযোগের প্রারম্ভিকতা। সংযোগের মাত্রা প্রখর বলবার অবকাশই নেই, বরং হিমালয় নাম শুনলে আমাকে চিনবেন সেই সম্ভাবনা শূন্যের সামান্য বেশি, যেটুকু বেশি ওটুকুতেও আমার কৃতিত্ব বলতে কন্যাদের নাম উনিশ-তেইশ রাখা। এমন নামের শিশুদের মনে থাকতেই পারে। যদি নাম রাখা হতো মানহা-মানারা (যেটা আরিফার পছন্দনীয় নামযুগল), তাহলে বাড়তি সম্ভাবনাটুকুও শূন্যে বিলীন হয়ে যেত!
প্রসঙ্গে ফিরি।
ডাক্তার ‘সেলিব্রিটি’ হয়ে পড়লে সেটা একধরনের কালচারাল ক্রাইসিস। সেলিব্রিটি শব্দটাকে ব্র্যাকেটবন্দী করলাম, কারণ একে সংজ্ঞায়িত না করলে তৈরি হবে একরাশ ভুল বোঝাবুঝি। অন্য যে কোনো পেশাজীবীর মতো ডাক্তাররাও খ্যাতি, জনপ্রিয়তা পাক, পাওয়াই উচিত।
কিন্তু
যে ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়, কিংবা প্রভাবশালী কারো তদবির লাগে, কিংবা সকাল ৮টার ১ মিনিট পর হলেই আর লাইন পাওয়া যায় না, সমগ্রজীবনেই সেসব ডাক্তার এড়িয়ে চলেছি, এবং আগামীতেও চলবো, গ্যারান্টেড।
এই প্রবণতাটিকেই ‘সেলিব্রিটি’ তকমা দিয়েছি।
সারাবন তহুরা টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যান প্রায়ই, তার মানে নিজের অঙ্গনে তিনি আংশিক কিংবা পূর্ণমাত্রায় সেলিব্রিটি হলেও হতে পারেন। হলেই কী, না হলেই বা কী! ক্রিকেট খেলা বাদে টেলিভিশন নামক বস্তুটির অস্তিত্বই ভুলে যাই।
কিন্তু
আমার নির্ধারিত প্যারামিটারে তিনি একজন ‘এন্টারটেইনিং ডাক্তার’;
সুতরাং জীবাণুর সাথে চিরন্তন যুদ্ধের জার্নিতে খ্যাতিমান কিংবা অখ্যাত, স্ট্যাটাস যেটাই হোক, সারাবন তহুরার সাথে দেখা একদিন হতোই।
কেবল সময় আর স্থানটাই ছিল অজানা!
চিকিৎসক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমি ৩টি প্যারামিটারকে সবসময় প্রাধান্য দিই, এবং এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স-
প্রথমত, কেইস হিস্টরি মনোযোগ দিয়ে শুনেন। রোগী প্রশ্ন করুক বা না করুক নিজে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন। কারণ আমার পর্যবেক্ষণ বলছে ১০ জনের মধ্যে ৭ জন রোগীই সঠিকভাবে বলতে পারে না সে কী কী ধরনের সমস্যা বোধ করছে। সে সুস্থ্য নেই, সুতরাং ডাক্তারের কাছে যাই। আমি যেহেতু কনজ্যুমার বিহেভিয়ার ইনসাইট নিয়ে কাজ করি, রোগীও আদতে ডাক্তারের একজন কাস্টমারই। অন্য যে কোনো সেক্টরের কনফিউজড কাস্টমারের মতো রোগীরাও একই ধরনের কনফিউজড কাস্টমার। তার আসলে কী প্রয়োজন এই ব্যাপারটি যে ডাক্তার তাকে স্মার্টলি বুঝাতে সমর্থ হয়, সেই ডাক্তারকে আমি অধিক মূল্যায়ন করি।
দ্বিতীয়ত, যখন কোন প্যাথলজিকাল টেস্ট দেয়া হচ্ছে ব্যাখ্যা করে টেস্টগুলো কেন করানো হচ্ছে । উপসর্গ শুনে একজন ডাক্তারের অনেকরকম সংশয় আসতে পারে মনে, এবং সেগুলো নিরসনের জন্য প্রতিটির সাথে সংশ্লিষ্ট টেস্টই করাতে পারে। এটা একজন তরুণ ডাক্তার করলে মানানসই।। কিন্তু যখন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়, অসংখ্য কেইস তিনি ডিল করেছেন। তারও যদি এতরকম টেস্টের উপর নির্ভর করতে হয় সেটা কমার্শিয়াল ইন্টারেস্টটাই বেশি ফুলফিল করবে হয়ত। টেস্ট করাকে নিরুৎসাহিত করি না। তবে তারও একটা ক্রনোলজিকাল সিকুয়েন্স থাকা উচিত। এবং কোন ওষুধ কেন দেয়া হচ্ছে সেই ব্যাপারে ধারণা দেয়া। শরীরের উপর পূর্ণ অধিকার ব্যক্তির নিজের। সেই শরীরে আপনি একটা ওষুধ প্রবেশ করাচ্ছেন, অথচ শরীরের মালিক জানেই না এটা কী কাজ করবে; কেবলমাত্র রোগমুক্তিই তো যথেষ্ট নয়।
তৃতীয়ত রোগীকে মোরালি ডাউন করে দেন না। হয়তবা টেস্টের রিপোর্ট অত্যন্ত খারাপ এসেছে, দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়বে। ডাক্তার তাকে এই ফ্যাক্টটিই অন্যভাবে বলেন। ‘ভাই/আপু, রিপোর্ট বেশিরভাগই ঠিক আছে, একটা জায়গায় কিছুটা সমস্যা আছে। তবে ভয়ের কিছু নেই, কিছুদিন ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যাবে’। ফলস হোপও মানুষের মনোবল ঠিক রাখে অনেকদিন।
ডাক্তারের ভালো-মন্দ নির্ভর করে ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের উপর। চিকিৎসায় যে সুস্থ্য হয়েছে তার কাছে আপনি ভালো ডাক্তার, যে সুস্থ্য হয়নি সে বলবে ভুয়া ডাক্তার। সারা জীবনে একজন ডাক্তারের সাথে কতবারই বা সাক্ষাৎ ঘটে আমাদের। যে ব্যক্তি ক্রিকেট সম্বন্ধে কিছুই জানে না সে ৩ টা ম্যাচ দেখলো হঠাৎ, ৩টাতেই টেন্ডুলকার সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হলো, কিংবা ৩টার মধ্যে ২টাতেই ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি করলো। সেই ব্যক্তির জগতে টেন্ডুলকার হলো গলির ব্যাটসম্যান আর শ্রেষ্ঠতম প্লেয়ার ইমরুল কায়েস!
তাই আমি কখনোই কোনো ডাক্তারকে অতিমূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন করি না। কিন্তু ফ্রেমওয়ার্ক তো ব্যক্তি নিরপেক্ষ, অর্থাৎ আমি যে ৩টি প্যারামিটার দেখি সেটা তো সব রোগীর জন্যই সমভাবে প্রযোজ্য, এই প্রসেস যারা অনুসরণ করে আমি ঘুরে ফিরে সেসব ডাক্তারের কাছেই আশ্রয় প্রশ্রয় খুঁজি। সবার চিকিৎসায় যে উপকার পাই তা নয়, বরং ওষুধ কেন কাজে লাগছে না এ নিয়ে ডাক্তারের সাথে ক্রিটিকাল আলোচনা করি। তাতেও কাজ না হলে ২য় অপিনিয়নের জন্য অন্য কোনো ডাক্তার খুঁজে নিই।
সারাবন তহুরার কাছে উনিশ-তেইশযোগে যাওয়ার পূর্বেও প্রত্যাশা এটাই ছিল তিনি উল্লিখিত প্যারামিটারের অন্তত ২টি পূরণ করবেন।
প্রথম সাক্ষাতেই তার দুটো ঘটনা ভাবনায় রেখাপাত করে। প্রথমত, তার চেম্বারে বিভিন্ন বাচ্চাদের ড্রইং টাঙিয়ে রেখেছেন, এবং উনিশ-তেইশকেও বলেন তোমরা বাসায় ছবি আঁকলে এখানে দিয়ে যেও। দ্বিতীয়ত, প্রেসক্রিপশনের সাথে নিজের ভিজিটিং কার্ড দেন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের কোনোরকম অপশন থাকে না সাধারণত, একটা গণ নম্বর দেয়া থাকে যেটা আদতে সিরিয়াল নেয়ার প্রয়োজনে। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতিতে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে তার নম্বর চাইবেন হাসপাতালে, হেল্প ডেস্কে বসে থাকা কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ রোবটিক কণ্ঠে শুনিয়ে দিবে- ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত স্যার/ম্যাম, ডাক্তারের কোনো ইনফরমেশন আমাদের শেয়ার করতে নিষেধ আছে’।
গড় বাঙালির যে চরিত্র তাতে সময়ে-অসময়ে ফোন করে ডাক্তারের জীবন অতিষ্ঠ করার অনিবার্য সম্ভাবনা তো থাকেই, এবং যদি নারী ডাক্তার হয় ঝুঁকি আরো বেশি। এর মধ্যেও সারাবন তহুরার নিজস্ব কার্ড দেয়ার পলিসি আমার মনোজগতে বিশেষ অবস্থান অর্জন করে। চেম্বারে এত বাচ্চার বাহারি চিত্রকর্ম, এবং সর্বোপরি ‘সারাবন’ নাম, অবস্থানকে সুসংহত করবার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করে।
তার প্রতি কানেক্টিভিটি বোধ থেকেই চিন্তা এক্সপ্রেস বইটি উপহার দিই। ‘হিমালয়’ নামের বৈধতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন, অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ এর ‘হিমু’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হিমালয় নামটা নিজের রাখা কিনা এটাই ছিল মূল সংশয়ের পয়েন্ট। আরিফাকে ইনহেলার দেয়ার প্রক্রিয়াটা যেভাবে প্রশিক্ষণ দেন, পুরো ব্যাপারটা অত্যন্ত শিক্ষণীয়।
কত বয়স হতে পারে সারাবন তহুরার; ভোকাল টোন থেকে অনুমান করি ৪২ থেকে ৪৪ এর মধ্যে, অর্থাৎ সিনিয়র ডাক্তার বলা যায় না, আবার তরুণও নয়। এতদিনেও যেহেতু তরুণ ডাক্তারের উচ্ছ্বাস এবং হিউমার ধরে রেখেছেন, ৫৩ তে গেলে অনেক বেশি বদলে যাবেন, তা কি বলা যায়?
দেখা গেল, তিনি একজন জুনিয়র এসিসটেন্ট রেখেছেন, সে-ই যাবতীয় সমস্যা শুনে লিখিত ফাইল পাঠাচ্ছেন তার কাছে, তিনি শুধু ওষুধ লিখে দিচ্ছেন প্রেসক্রিপশনে। এটা একটা মহা কমেডি হয়ে যাবে তার জন্য! বরং আমি তো ভাবি উনিশ-তেইশ বড়ো হয়ে নিজেদের বাচ্চা নিয়েও তার কাছে যাবে, এবং সেই বাচ্চারা যখন তার চেম্বারে নিজেদের আঁকা ছবি রাখবে ওরা জিজ্ঞেস করবে- ‘আন্টি কার ছবিটা বেশি সুন্দর, আমার নাকি বাচ্চার; দেখা গেল ওদের বাচ্চারাও তাকে আন্টিই ডাকছে’! এমন হয় না মা-মেয়ে-নানী সবারই একই টিচার। সারাবন তহুরা এমন এন্টিক স্যাম্পল তো হতেই পারেন।
গ্যাপশেডিংয়ের প্রচ্ছদ তেইশ করেছে শোনার পর থেকেই সারাবন আপু ভীষণ উচ্ছ্বসিত, তাকে হোয়াটসআপ এ বইয়ের ছবি পাঠাই।।তিনি বলেন- ‘তেইশকে নিয়ে আপনারা আমার চেম্বারে আসুন। এপোয়েন্টেড রোগী হিসেবে নয়, ধরেন এটা একটা সোস্যাল ভিজিট। আমি এই লিটল জিনিয়াসের হাত থেকে বইটি সংগ্রহ করতে চাই’
তেইশ তার চেম্বারে ঢুকেই বলে- এই বইটা আমি করেছি। ৪ মাস ধরে যাতায়াত সত্ত্ব্বেও মাস্কের আড়ালের মানুষটিকে দেখা হয়নি, তেইশের এক চিত্রকর্ম সেই দেয়ালটিও যেন ভেঙ্গে দিল। বললেন- তেইশের সাথে আমার একটা ছবি তুলে দিন।
সারাবন তহুরার অনেক চিন্তাধারাই পপুলিস্ট ধাঁচের, আমার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক, অর্থাৎ আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন স্কুল অব থটের মানুষ। যেহেতু চিন্তার কোনো বিএসটিআই অনুমোদিত স্ট্যান্ডার্ড নেই, তাই ভিন্নতা কিংবা বিপ্রতীপ কোণে অবস্থান এটাই হয়তবা গ্রোথ তথা উৎকর্ষের জন্য মূল্যবান অনুষঙ্গ।
বদলে যাচ্ছে সামাজিক ডায়নামিক্স। মানুষের বাস্তবজীবনেই এত বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতা ঘটছে প্রতিনিয়ত, আলাদা করে ফিকশন লেখাটা মিনিংলেস হয়ে পড়ছে। তাই যাদের চিন্তাপ্রক্রিয়াকে মূল্যবান মনে করি এরকম মানুষদের সিরিজ অব ইন্টারভিউ করে সেগুলোকে চ্যাপ্টারভিত্তিক বিভাজনে অনুলেখকের সহায়তায় রূপ দিচ্ছি পূর্ণাঙ্গ বইয়ে। এটাকে নাম দিয়েছি ‘চিন্তা সংরক্ষণ প্রকল্প’ যার কেতাবি নাম ‘চিন্তাগ্রাফি’
ইতোমধ্যে ২ জন মানুষের চিন্তাগ্রাফি সমাপ্ত করেছি। ১ টি প্রকাশিত হয়েছে, অন্যটি হবে আগামী মাসে। পাইপলাইনে আছে আরো অনেকেই। সেই তালিকায় এই মুহূর্তে সারাবন তহুরা একজন রিসোর্সফুল সংযোজন। তিনি সেলিব্রিটি হোন বা না হোন তাতে আমার জন্য ম্যাটার করে না খুব, তবে ‘ইনফরমাল কমিউনিকেশন’ এর যে স্পিরিট তার মধ্যে লক্ষণীয়, এবং স্বল্প পরিসরের আলাপে তার জীবন ভাবনা, এবং যাপিত বাস্তবতার যে অবয়ব অনুমান করি, তাতে তার চিন্তার একটা আর্কাইভিং হলে সেই কনটেন্ট টি মেরিট সম্পন্ন হওয়াই ভবিতব্য লাগে।
কিন্তু তার প্রায়োরিটির সুদীর্ঘ সারণিতে চিন্তাগ্রাফি কি আছে আদৌ, বা থাকলেও ক্রমিক নং কত? এখনো জানি না। তবে সারাবন তহুরার চিন্তাগ্রাফি তৈরির তাড়নাটা যেভাবে স্থায়িত্ব পাচ্ছে, জেনেও যেতে পারি।
এবং সেজন্যই বললাম ২.২.২২ তারিখটা অনেক বেশি সুন্দর। জোড় সংখ্যাকে অসহনীয় লাগে, কিন্তু আমি কি ভুলে গেছি পৃথিবীর একমাত্র জোড় প্রাইম নাম্বার হচ্ছে ২!
কী আশ্চর্য, তেইশ আর তহুরা মিলেও তো ২ ই হয়!