প্রতিবার বিসিএস এর রেজাল্ট দেয় আর আমি পারিবারিকভাবে নিগ্রহের মুখোমুখি হই। জীবনে একবারও বিসিএস পরীক্ষায় বসলাম না, অথচ লাস্ট ৫ বছর ধরে এই একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, সার্টিফিকেট অনুযায়ী আরও ১বছর লাগবে বয়স ৩০ বছর হতে, সুতরাং আরও ১টি বিসিএস এর রেজাল্ট দিবে এবং একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে আমাকে। আমি তো বিসিএস কখনো দিই-ই নি, তবু আমি নিগৃহীত হই কেন? কারণ, এক ধরনের ক্ষোভ আর আফসোস পরিবারের মানুষদের পেয়ে বসে। বিসিএস এর চাকরি হওয়া মানে নিরাপদ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা, পারমানেন্ট সামাজিক স্ট্যাটাস , প্রশাসনিক ক্ষমতা; এইসব কিছুর জন্য চেষ্টা না করে আমি ক্যারিয়ার নিয়ে এক জুয়া খেলার আসর বসিয়েছি, যার কোনো মসৃণ পথ নেই, সামাজিক কোনো মর্যাদা নেই এবং সর্বোপরি রেফারেন্স দেয়ার মতো কোনো ইনফ্লুয়েন্স নেই। আমার যে বন্ধুরা বিসিএস এ ঢুকেছে, আজ থেকে ১০ বছর পরে তারা কোন্ অবস্থানে থাকবে, আর কোথায় আমি। অথচ স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে ওদের চাইতি কম প্রমিজিং ছিলাম, এমনটা তো বলা যাবে না। এই মিডলক্লাশ ক্রাইসিসের মধ্য দিয়ে সম্ভবত বিপুল সংখ্যক তরুণকেই যেতে হয় যারা কখনো বিসিএস দেয়নি বা দিয়েও চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। সোসাইটিতে স্ট্যাটাস এবং ইনফ্লুয়েন্স এই দুটো ফ্যাক্টর একজন মানুষের ভ্যালু নির্ধারণে নিয়ামক হয়ে উঠে। মিডলক্লাসের মনের ভেতরে বসবাস করে এক রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে সে একটি হোমড়াচোমড়া পজিশন অধিকার করে থাকে, সে ডিপিএস এর টাকা জমায়, সঞ্চয়পত্র কেনে, জমি কেনে, সমবায় সমিতি করে, কারণ বিপদের সময় টাকা লাগবে। অনেকের সমগ্র জীবন কেটে যায় কখন বিপদ আসবে সেই অপেক্ষায়, অধিকাংশেরই আসে, ভাগ্যবান কারো কারো হয়তো আসে না। বিপদে টাকা লাগবে, না থাকলে মানুষের কাছে হাত পাততে হবে। কিন্তু বাস্তবতা বলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপদ এলে যে পরিমাণ টাকা লাগে সেই পরিমাণ সঞ্চয় মধ্যবিত্তদের থাকে না সাধারণত; তবু কিছু না থাকার চাইতে কিছু থাকা ভালো এই সান্ত্বনাবাক্য তো মিথ্যে নয়। বই পড়ে সেটাই জেনেছি।
পিঁপড়া আর ঘাসফড়িংয়ের একটা গল্প আছে। পিঁপড়া আর ঘাসফড়িং ছিলো দুই বন্ধু। গ্রীষ্মকালে পিঁপড়া যখন কঠোর পরিশ্রম করে খাদ্য সঞ্চয় করে রাখছিল, ঘাসফড়িং তখন ওড়াওড়ি করে সময় পার করছিলো। এরপর যখন শীত এলো, পিঁপড়া জমানো খাবার খেয়ে টিকে রইলো, আর ঘাসফড়িং অভাবে ধুঁকতে ধুঁকতে মারা গেলো। গড় মধ্যবিত্তের জীবনযাপন ও ভাবনা গল্পের ওই পিঁপড়ার মতো, যারা অতি সতর্ক, টাকা জমিয়ে ফ্ল্যাট কিনে, কেউ কেউ গাড়িও কিনে ফেলে, তবু যাপিত জীবনে পিঁপড়ার মতো অতি সতর্ক। মিডল ক্লাশের মধ্যেও ঘাড়ফড়িং থাকে, যারা ছন্নছাড়া এবং আয়-উন্নতিহীন এক বর্ণশূন্য জীবন অতিবাহিত করে।
বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিসিএস এর চাইতে গ্লোরিয়াস চাকরি হওয়া সম্ভব নয়। আরেকটু থিওরিটিকালি বললে, তারা সরাসরি দেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ পায় (যদিও, রিয়েলিস্টিকালি চিন্তা করলে, সরকারি চাকরি সহজে যায় না- এই মনোভাবই মূখ্য ভূমিকা পালন করে)। কিন্তু কিছু মানুষ তো এমন থাকতেই পারে যারা সেফটি, স্ট্যাটাস, পাওয়ার, কমফোর্ট প্রভৃতি ব্যাপারগুলোতে আনন্দ পায় না, বরং চ্যালেঞ্জ, রিস্ক, সেলফ এক্সপ্লোর প্রভৃতিতেই আনন্দ খুঁজে পায়। এই আনন্দ তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য প্রযোজ্য, পরিবারের কথা চিন্তা করলে তার সাথে তার পরিবারটিও এই রিস্ক এর মধ্য দিয়ে যায়, কিন্তু পরিবারকে রিস্ক এর মধ্যে ফেলে দেয়ার অধিকার তার নেই। সবই সত্যি, কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও কেউ যদি এভাবেই চলতে চায়, সেটা কি দোষের? পৃথিবীতে কারো জন্য কি কিছু থেমে থাকে? পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি মারা গেলেও তো সেই পরিবারটি টিকে থাকে, ধ্বংস হয়ে যায় না। দিন একভাবে ঠিকই বয়ে যায়।
বিসিএস হয়েও সবাই যে খুব খুশি তাও নয়। তখন ক্যাডারকেন্দ্রিক বিভাজন। যেমন, ফরেন, এডমিন বা পুলিশ ক্যাডারের প্রতি মানুষের যতটা ফ্যাসিনেশন, শিক্ষা বা অন্য ক্যাডারগুলোতে তা তুলনামূলকভাবে কম। এরকম দৃষ্টান্ত প্রচুর পাওয়া যাবে, আগেরবার কোনো একটি ক্যাডার পেয়েছে কিন্তু উল্লিখিত ক্যাডার তিনটির একটিতে ঢুকার জন্য পরেরবার পুনরায় পরীক্ষা দিচ্ছে। তার মানে, শুধু বিসিএস হলেই চলবে না, কোন্ ক্যাডার পেলাম সেটাও বিবেচ্য। এই অতৃপ্তির শেষ কোথায়! আমার বিসিএস ক্যাডার যে বন্ধুটি ২ বছর পরে সরকারি গাড়ি পাবে, সরকারি খরচে বিদেশে ভ্রমণ করবে, তার স্ত্রী নানান বাহারি গল্প বলে আসর জমাবে, তার মা ছেলে কোন্ দেশে গেছে সেই ছবি দেখাবে পাশের বাসার খালাম্মাদের, সে সময় আমি হয়তোবা মাস শেষে সংসার খরচ নিয়ে টানাটানিতে থাকবো, আমার স্ত্রী এক্সাইটিং গল্প বলার কনটেন্ট খুঁজতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কোন ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং করেছি এই টাইপ কিছু একটা উপস্থাপন করবে, আমার মা পাশের বাসার খালাম্মাদের সাথে রান্না-বান্নার গল্প করেই কাটিয়ে দেবে, এক ফাঁকে আমার বেতন বেড়েছে এই তথ্যটুকু ঢুকিয়ে দিবে, কিন্তু খালাম্মাদের চোখেমুখে কোনো উজ্জলতা লক্ষ্য করবে না- এইসব অপ্রাপ্তি পূরণের দায় আমি যদি না নিতে চাই সেজন্য কি আমি পরিবারদ্রোহী আখ্যা পাবো? নিশ্চিত জীবন গড়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত, মধ্যবয়সে আর্থিক সংকটে পড়লে সেখান থেকে উত্তরণের দায়িত্ব কেউ তুলে নিবে না, এই সবকিছু মেনেও যদি কেউ নিজের ট্র্যাকে জীবন গড়তে চায় এটা কি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত?
আমি কেন বিসিএস দিইনি কখনো? ছাত্রজীবন থেকেই আমি একটি স্টার্ট আপ অর্গানাইজেশনের সাথে ইমোশনালি এটাচড হয়ে পড়ি। ছাত্রজীবন যতদিনে শেষ হয়েছে ততদিনে আমার কাজের অভিজ্ঞতা ২ বছর হয়ে গেছে। নিত্যনতুন প্রজেক্টের সাথে ইনভলভ হয়েছি, নিজে নানানরকম উদ্যোগ নিয়েছি, এইসব করতে গিয়ে ঘাসফড়িংয়ের মতো শুধু ওড়াওড়িতেই ব্যস্ত থেকেছি। শুকনো পাতার মতো কখন শরীরের বয়স ঝরে পড়েছে টের পাইনি। বিসিএস দাও এরকম কথা ওড়াওড়ির দিনগুলোতে বহুবার শুনেছি, কিন্তু আমি ফ্লাইং ফড়িং হয়ে থাকতেই পছন্দ করেছি, নতুন করে এইট-নাইনের বই, জব সল্যুশন গাইড নিয়ে পড়তে বসতে মন চায়নি। ২য়ত, ৫৫% কোটা সিস্টেম আমি কখনোই মানতে পারিনি। বাংলাদেশের মতো আন্ডার ডেভেলপড একটি দেশে যেখানে জব সেক্টর এখনো বিকশিত নয়, সেখানে সরকারিভাবে জনশক্তি নিয়োগের একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বেই অর্ধেকের বেশি সংখ্যক আসন সংরক্ষিত থাকবে জন্মগত, লৈঙ্গিক অথবা ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে পাওয়া সুবিধার ভিত্তিতে, এই বিলাসীতা একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামগ্রীক উন্নতির পথে জুলুম। নিজেকে আমার কখনোই সেই পর্যায়ের মেধাবী মনে হয়নি যে অবশিষ্ট ৪৫% এর মধ্যে জায়গা করে নেয়ার মতো পর্যাপ্ত যোগ্যতা আমার আছে। সম্ভবত আমার মতো মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমন পরিস্থিতিতে ৫৫% কোটা পাওয়া মানুষেরা বাকি ৪৫% আসনের জন্য লড়াই করা মানুষদের ঘৃণার পাত্র হতে শুরু করেন। দুর্ভিক্ষের সময় খাবার নিয়ে মানুষে মানুষে কখনোবা মানুষে-জন্তুতেও টানাটানি চলে টিকে থাকবার প্রয়োজনে। অনার্স পাস করা একজন তরুণ বা তরুণী তো আদতে একটি দুর্ভিক্ষ কবলিত পরিস্থিতির মধ্যেই পড়ে। ৩য়ত, বিসিএস এর সিলেকশন পদ্ধতি দীর্ঘদিন পর্যন্ত পছন্দ ছিলো না আমার। সাইন্স,আর্টস, কমার্স যে যেখানেই পড়াশোনা করুক তাকে যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে অংশ নিতে হয় তার প্রশ্নপত্র ব্যক্তির দক্ষতার চাইতে মুখস্থশক্তিরই পরীক্ষা নেয় বেশি। এটা কোনো যৌক্তিক ফিল্টারিং প্রসেস হতে পারে না। পরে অবশ্য বুঝেছি, রাষ্ট্র তার ডিজাইন করা সিস্টেমের জন্য কর্মী খুঁজছে, স্পেশালিস্ট নয়। কর্মীর বৈশিষ্ট্য, সে সব ব্যাপারেই ভাসা ভাসা জ্ঞান রাখবে। ভূগোল, রাজনীতি, সাহিত্য, অর্থনীতি, বিশ্ব পরিস্থিতি, দেশের ইতিহাস সব ব্যাপারেই অবগত থাকা মানে সুষম মানুষ। এই সুষম মানুষের মধ্যে পারসেপশন তৈরি হলো কিনা বা সে গভীরে ঢুকতে পারলো কিনা এটা টার্গেটই নয় কর্মীর ক্ষেত্রে, টার্গেট হলো সে লক্ষ্যপূরণে লেগে থাকতে পারলো কিনা। সেই বিচারে, ফিল্টারিং প্রসেস ঠিকই আছে হয়তোবা। এই প্রসেস এর মধ্য দিয়েই কয়েকজন মননশীল মানুষ বেরিয়ে আসবে, সেটা তো প্রোবাবিলিটির সূত্র খাটালেই বুঝা যায়। ৪র্থত, বিসিএস এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘকালব্যাপ্ত। এটা খুবই সমস্যা। ৩৫ তম বিসিএস এর ভাইভাতে অংশ নিয়েছিলো ৬ হাজারের বেশি ক্যান্ডিডেট, সেখান থেকে ক্যাডারের জন্য সুপারিশ হয়েছে ২১৫৮ টি পোস্টের জন্য, অর্থাৎ ৩৩% নিয়োগ পেয়েছে, বাকি দুউ-তৃতীয়াংশ তারাও তো নিয়োগপ্রাপ্তদের মতোই একইরকম আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থেকেছে, অনেকের বিয়ে আটকে ছিলো নিয়োগের অপেক্ষায়। তো, এই দুই-তৃতীয়াংশের অপেক্ষার দাম কিসে পরিশোধ হবে?
একটা ডাটা শেয়ার করি। ৩৫ তম বিসিএস এ পরীক্ষা দিয়েছিল ২ লাখের বেশি ক্যান্ডিডেট, প্রিলিতে টিকেছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি, রিটেন থেকে ভাইভা দিয়েছে ৬ হাজার, সেখান থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছে ২১৫৮ জন, এদের মধ্যে কয়েকজন আবার পুলিশ ভেরিফিকেশন বা স্বাস্থ্যপরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো একটি জটিলতায় গেজেট প্রাপ্ত হবে না। তার মানে সরলীকৃত করলে দাঁড়াচ্ছে, মাত্র ১% প্রার্থী চাকরির জন্য মনোনীত হচ্ছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশে বাকি ৯৯% তাহলে যাবে কোথায়? আবারো পরীক্ষা দিবে, দিতেই থাকবে? তবু তো প্রতিবার ওই ১-২%ই চাকরি পাবে, বাকিদের একোমোডেট করা তো সম্ভব নয়। বিকল্প পথ কী তাহলে?
বিসিএস এর রেজাল্ট শেষে কোন ভার্সিটি থেকে কতজন কোন ক্যাডারে নিয়োগ পেল তার স্ট্যাটিসটিক্স হিসাব করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এই সংখ্যাটা খুবই সামান্য। কিন্তু প্রতিটি ভার্সিটিরই যে কত অগণিত স্টুডেন্ট প্রিলি বা রিটেন স্টেজ এ বাদ পড়েছে সেই হিসাব জানা আছে কারো? তাদের দীর্ঘশ্বাস, অপেক্ষা আর আক্ষেপের গল্পগুলো নিয়োগ পাওয়া ক্যাডারদের গল্পের চাইতে কি অনেক বেশি আবেগপূর্ণ নয়? যে ছেলে বা মেয়েটি রিটেন এ উত্তীর্ণ হয়নি, প্রিলিতে সেও তো এফোর্ট দিয়েছে, যে ভাইভাতে বাদ পড়লো, রিটেন এর ধকল তাকেও পার করতে হয়েছে। ২ লাখ অনার্স পাশ মানুষের মধ্য মাত্র ২ হাজার জন মেধাবী, এই পরিসংখ্যান কি হাস্যকর নয়? যোগ্য মানুষ হয়েও যোগ্যতার এই অসম দৌড়ে টিকতে পারবে না বহু মানুষ। সেই মানুষগুলোর আবেগকে আমরা বুঝতে চাই না, কারণ দিনশেষে তারা অসফল। রাষ্ট্রে কন্ট্রিবিউশন কাদের বেশি, ১% এর নাকি ৯৯% এর? এর উত্তর খোঁজার প্রয়োজন নেই, কমন সেন্স দিয়েই যে যার মতো বিচার করে নিক।
এইজন্য আমার উপসংহার হলো, বিসিএস এ সুযোগ পাওয়া অবশ্যই ভাগ্যের ব্যাপার (মেধার চাইতেও ভাগ্যকে একটু এগিয়ে রাখবো), তবে এটার প্রতি প্যাশন না থাকলেই তার সোশ্যাল স্ট্যাটাস, জীবনের মূল্য এসব আরোপিত বিষয়াদি নিয়ে চিন্তিত হতে হবে এর কোনো মানে নেই। আমরা বরং একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি ব্যাপারটা, যে ৯৮% ক্যান্ডিডেট সৌভাগ্যের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হলো, তাদের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটা অংশের এমপ্লোয়মেন্ট সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েও তো কিছু স্বেচ্ছাসেবী মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা বরং স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার একটা বনের মোষ তাড়ানোর প্রকল্পে জীবন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিই। নাই বা হলো স্ট্যাটাস, নাই বা হলো সমৃদ্ধি, পাশের বাড়ির খালাম্মাকে অন্য কেউ গল্প শোনাক নাহয়। নিতান্তই গল্প করতে মন উদ্বাহু হয়ে উঠলে সেই সময়টুকু টেলিভিশনে তামিল সিনেমা দেখে হেসে কাটিয়ে দিক আমাদের পরিবারের সদস্যরা।