টাকার নোটের বায়োগ্রাফি লিখলে সেটা কেমন হত! ছোটবেলায় ব্যাকরণ বইয়ে ‘একটি দশ টাকার নোটের আত্মকাহিনী’ রচনা পড়েছিলাম। হাত বদল হওয়া, সুখ-দুঃখের অনুভূতির সাক্ষ্মী হওয়া, হিংস্রতার কারণ হওয়া, সর্বোপরি নিজস্ব কোনো চরিত্র নেই, এসবই ছিলো সেই রচনার মূল বক্তব্য। বাংলা ব্যাকরণে ভাবসম্প্রসারণ পড়তে হতো যাদের, ‘অর্থই অনর্থের মূল’, এই লাইনটি বোধহয় সবারই চোখে পড়েছে তখন, যেটিকে ইচ্ছেমতো টেনে বিবর্ধিত করতে হতো। ক্লাশ নাইনে ন্যাশনাল পর্যায়ে ডিবেট করতে গিয়ে যে টপিকটা ভাগ্য পড়েছিলো সেটাও ছিলো ‘অর্থই অনর্থের মূল’; প্রস্তাবের পক্ষে বলার রায় পেয়েছিলাম, এবং চিটাগাংয়ের একটা স্কুলের কাছে হেরে গোল্ডের পরিবর্তে সিলভার পদক পেয়েছিলাম; অর্থাৎ অর্থই সকল অর্থময়তার উৎস!

বুয়েটে হলে থাকার সময় এক বন্ধুর মুখে একটা মুভির গল্প শুনেছিলাম। থিমটা ছিলো এমন, একটা অদ্ভুত দেশ যেখানে একজন আরেকজনকে সময় উপহার দেয়, বা এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমও সময়। যেমন, কেউ একটা গাড়ি কিনবে, এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ বছর। আবার, কেউ বাড়ি বিক্রি করবে, যে কিনবে তাকে ২০ বছর সময় খরচ করতে হবে। বিনিময়ের একক সেখানে সময়!

খুবই চিন্তাশীল একটি প্লট। সিনেমার নামটা মনে নেই, পরে যে আবার দেখবো সেই সুযোগটাও হারিয়ে গেছে, এবং কোন্ বন্ধু সিনেমার গল্পটা বলেছিলো সেটাও মনে নেই, কারণ ক্যাজুয়াল মুডে আলাপ করছিলাম, গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি, ২০১২ সালে হঠাৎ একদিন আবার সেই প্লটটা মনে পড়ে যায়। এরপর মাঝে মাঝে বিরতি দিয়েই ভেবেছি, বিনিময় মাধ্যম হিসেবে সময় কতটা চমকপ্রদ এক ধারণা।

কিছুদিন আগে এক জুনিয়র হুট করে একটা কথা বলে। ‘ভাই ভেবে দেখলাম, ব্যাংক যদি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বিল গেটস আর আমার মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য থাকবে না। কারণ, এত কাড়ি কাড়ি টাকা তো কেউ বাসায় রাখতে পারবে না, শুধু টাকা রাখার জন্যই গুদাম ভাড়া করতে হবে। তখন যার যত টাকা সে শুধু খরচ করতে থাকবে। ধরলাম, ব্যাংকে ২০০ বিলিয়ন টাকা আছে, কিন্তু জীবন ধারণ করতে তো আর এতো টাকা লাগে না। সে জীবনভর শুধু জেনেই গেলো আমার ২০০ বিলিয়ন টাকা আছে, কিন্তু পুরো জীবন মিলিয়ে হয়তো কয়েক কোটির বেশি খরচ করতে পারলো না’। – ক্যাজুয়াল আমেজে এতো সিরিয়াস কথা বলা প্রকৃতই খুব কঠিন কাজ। তার বক্তব্যে অবশ্যই অসঙ্গতি আছে; যেমন, এতো বড় কোম্পানী চালায় সেটার খরচ, বিভিন্ন প্রোজেক্টে ইনভেস্টমেন্ট, এবং নিজের ফেসভ্যালু- এসব ফ্যাক্টরকে তো অস্বীকার করা যাবে না, কিন্তু বক্তব্যের ইনার যে এসেন্স সেটা খুবই যথার্থ।

টাকা আসলে কেন লাগে মানুষের? সহজ উত্তর হলো, জীবন ধারণের জন্য। পরের প্রশ্নটা আরেকটু জটিল, কত টাকা লাগে? আমি এ জীবনে প্রায় ১২০ জনের বেশি মানুষকে জিজ্ঞেস করেছি, আপনার বার্ষিক বা মাসিক আয় কত টাকা হলে আপনি আর টাকা চাইবেন না। ৭৫% এর বেশি অর্থাৎ প্রায় ১০০ জন এই প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। ২০-২৫ জন সুনির্দিষ্ট এমাউন্ট বলতে পেরেছে, কিন্তু যদি ব্যাক ক্যালকুলেশন করতে বলি, তখন আবার তালগোল পাকিয়ে ফেলে। যেমন, ১ জনের স্যালারি ছিলো ২৫ হাজার টাকা, সে বলেছিলো কখনো যদি ১ লাখ টাকা স্যালারি হয়, তার আর প্রয়োজন নেই। সম্পূরক প্রশ্ন ছিলো, ১ লাখ টাকা কত বছরের মধ্যে এচিভ করতে চান, এবং যদি ১ লাখ টাকায় পৌঁছে যান, তখন লাইফস্টাইল কীভাবে মেইনটেইন করবেন। কারণ ইনকাম বাড়ার সাথে সাথে এক্সপেন্সও বাড়বে; সেটার সাথে কীভাবে এডজাস্ট করবেন। এই প্রশ্নে সে আটকে গেছে। ফলে ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে, টাকা দরকার তাই ছুটছি, কিন্তু কত টাকা দরকার সেই সুনির্দিষ্ট জবাবটাই জানা নেই, বা ভাবাই হয়নি এই ভিউ পয়েন্ট থেকে।

জীবন ধারণ শব্দবন্ধটা খুবই কনফিউজিং। আপনার জীবনধারণকে ডিফাইন করুন আগে। যেমন, কারো জীবন ধারণের জন্য ফ্ল্যাট লাগে, গাড়ি লাগে, কেউবা ভাড়া বাসায় থেকেই জীবন পার করে দেয়, রিকশা আর পাবলিক ট্রান্সপোর্টই আজীবনের বাহন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে, দুই গ্রুপের জীবন ধারণ সংজ্ঞা কিন্তু এক নয়।

মৌলিক চাহিদার বাইরে আমাদের যাবতীয় প্রয়োজনই আরোপিত এবং আর্টিফিশালি ক্রিয়েট করা। এমনকি মৌলিক চাহিদা নিবৃত্তের ক্ষেত্রেও লেয়ার বা স্তর আছে। চিকিৎসার জন্য কেউ ফার্মেসির ছোট্ট খুপরিতে বসা ডাক্তারের কাছে যায়, কেউ সরকারি হাসপাতালে যায়, কিংবা কেউ ৩ মাস আগে সিরিয়াল দিয়ে ১৫০০ টাকা ভিজিট দিয়ে দামী হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। এখানেও পার্থকটা সেই টাকারই।

টাকার ব্যাপারে নির্বিকার থাকা মানে কিন্তু টাকার প্রয়োজনীয়তা উপেক্ষা বা অস্বীকার করা নয়। একটা সাধারণ মিসকনসেপশন হলো, কেউ যদি বলে, তার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নেই বা টাকা দিয়ে তাকে ফ্যাসিনেট করা যায় না, প্রায় ক্ষেত্রেই মন্তব্য আসে, তুমি গিয়ে বনে বসবাস করো বা বাউল হয়ে যাও। এই মনোভাবকে বলে ফান্ডামেন্টালিস্ট বা মৌলিবাদীতা। একটা জিনিস ভালো, আর মন্দ- এই দুটো চরম অপশনের বাইরেও তো ‘গ্রে অঞ্চল’ বলে একটা ব্যাপার আছে। এমনকি বাউলের জীবনেও কিন্তু টাকা সম্পৃক্ত। বাউল নিজে কোনো অর্থকরী পেশায় নিয়োজিত নেই, কিন্তু অন্ন-বস্ত্র বা বাসস্থানের চাহিদা সে কীভাবে পূরণ করে? কারো না কারো আনুকূল্য তো লাগে। ধরলাম, সে মানুষের বাড়ি থেকে চাল ভিক্ষা করে। যে মানুষটি ভিক্ষা দিলো, তাকে তো চাল কিনে আনতে হয়েছে। তাহলে বাউলের জীবনে অর্থনীতি নেই, এটা সর্বাংশে ভুল কথা।

টাকার চাহিদা কম থাকা বা টাকাকে কম প্রায়োরিটি দেয়া জীবনকে সিম্পল করে। ২০১৫ সালে এক বড় ভাই বলেছিলেন, ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালারা রাতের বেলা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না চাঁদাবাজদের ভয়ে’। এই কথাটার মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা আছে।
অন্যদিকে কিছুদিন আগে এক জুনিয়র বলেছিলো ‘ভাই আপনার একটা ক্যাশকাউ টাইপ বিজনেস থাকা দরকার ছিলো; তাহলে আপনি যত ব্যতিক্রমী বা ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে কাজ করেন, এগুলো আরও বেশি গতিশীল হতো। আপনি সিম্পল একটা উদ্যোগ নেবেন, সেটাও টাকার প্রশ্নে আটকে যাবে। পৃথিবীতে যারা চেঞ্জমেকার হয়েছে বা আমরা টিকিট কেটে যাদের সিম্পলিসিটি বা সাকসেস এর গল্প শুনি প্রায় বেশিরভাগেরই টাকার মেশিন আছে বা ছিলো’। এই মন্তব্যটা অনেক বেশি লিনিয়ার বা একরৈখিক, কিন্তু মূল ইনটোনেশনটা তাৎপর্যপূর্ণ। প্রচুর টাকার ধারক-বাহক না হলে নিজের বড় বড় স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা বা সেটাকে সাসটেইনেবল করা সত্যিই দুরূহ। আমার সঙ্গে ৫ জন মানুষ সবকিছু উজাড় করে কাজ করবে, কিন্তু আমি যদি তাদের জীবনচাহিদা পূরণের সামর্থ্য না রাখি, সে কীভাবে টিকে থাকবে? আমরা কারো স্বপ্ন পূরণের জন্য ছুটি, বিনিময়ে আমাদের কিছুটা স্কিল আর সময় তার স্বপ্নের পেছনে খরচ করি। নইলে খাবার আসবে না, পোশাক কিনতে পারবো না, বাড়িওয়ালা বাড়ি ছাড়ার নোটিশ ধরিয়ে দেবে। এভাবেই চলে চেইন….

সুতরাং বটমলাইন যা দাঁড়াচ্ছে, টাকার চাহিদা কম থাকা জীবনকে সিম্পলিসিটি দেয়; অন্যদিকে অনেক বেশি টাকা না থাকলে ক্ষুৎ-পিপাসার যোগান মেটাতে গিয়েই জীবন খরচ হয়ে যাবে। এই প্যারাডক্ম থেকে জীবনের মুক্তি কীভাবে মিলবে বা আদৌ মেলে কিনা, এই এক পাজলের জট খুলতে গিয়েই ৭০০ কোটি মানুষের আয়ুষ্কাল নির্বিচারে ক্ষয়ে যায়।

মাঝে মাঝে মনে হয়, ক্রাইসিসের ভয় থেকেই যাবতীয় টাকাভক্তির শুরু। মানুষ বোধহয় সকল প্রকার ক্রাইসিসকেই ভয় করে। সোশ্যাল, ইকনমিক, ইমেজ কত রকম ক্রাইসিস। বাসে ঝুলতে ঝুলতে বাড়ি ফেরা মানুষের একটা বড় অংশের মানুষ বীতশ্রদ্ধ হয়ে মনে মনে ভাবে, চাকরির কপালে ঝাড়ু; গেলাম না অফিসে। কিন্তু বাড়ি ফিরলেই স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে কিংবা মা-বাবা যখন চাহিদার ফর্দ হাতে ধরিয়ে দেয়, সে মন গুটিয়ে নিজেকে প্রবোধ দেয়, ঠিক আছে ২ বছর করি, তারপর নিজে কিছু একটা করবো। ২০ বছর শেষ হয়ে ২১ এ পড়ে, তবু সেই ২ বছর আর আসে না। যে চুরি করে সে ভাবে এবারই শেষ, এরপর ভালো হয়ে যাবো। এরপর আর কখনো আসে না। এটাই আমাদের অভ্যাস। আমরা ক্রমাগত নিজেকে প্রবঞ্চনা করি; একমাত্র মানুষই বোধহয় এই বিরল বৈশিষ্ট্যটি নিয়ে পৃথিবীতে আসে। ঘোড়া বা মুরগীর মনস্তত্ত্ব নিয়ে পড়ার সুযোগ পেলে বুঝতে পারতাম, তারাও এরকম কোনো দোটানায় ভোগে কিনা।

বিপদে পড়লে কেউ ৫ পয়সা দিয়ে এগিয়ে আসবে না, এই আপ্তবাক্য শুনে শুনেই আমরা বড় হই, এবং প্রায় ৯০% ক্ষেত্রেই এই বাক্যের সত্যতা মেলে। সুতরাং যত পারো টাকা জমাও। আমাদের অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক জীবনচেতনার নির্দেশক হিসেবে ব্যাংকের ব্যালান্স আমাদের ঘুমের স্বপ্নে ‘তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসোনি’- গান শুনিয়ে যায়, আর আমরা প্রত্যুত্তরে গানে গানে বলি, ‘আমি ডন, আমি আগুন, আমি তুফান, আমি এযুগের বীর সন্তান; নাম শুনে আমার চারদিকে হয়ে যায় খানখান’, কিংবা ‘কী যাদু করিলা, পিরিতি শেখাইয়া, থাকতে পারি না ঘরে তে প্রাণসজনী’।

টাকা জমানোটা অবশ্যই ভালো গুণ, একে এপ্রিশিয়েট করা উচিত। কিন্তু সঞ্চয়ের একটা সুনির্দিষ্ট পারপাস থাকা উচিত। ‘বিপদে কেউ এগিয়ে আসবে না, নিজের গতি নিজেকেই করতে হবে’- এটাই যদি কারণ বা পারপাস হয়, এটা সমগ্র জীবন ধারণার জন্যই লজ্জাজনক। একাকী ভালো থাকা মানেই কি বেঁচে থাকা? আমাকে আঁতেল বা ভাবুক ভাবার দরকার নেই, আমি চরম বস্তুবাদী প্রকৃতির মানুষ; তবু প্রশ্নটি ভ্যালিড। পরিচিত গণ্ডির অধিকাংশ মানুষ আপনার প্রয়োজনে পাশে এসে দাঁড়াবে না, এ ব্যাপারে শতভাগ কনফিডেন্ট থাকা মানে এটাই নির্দেশ করে, আপনি শুধু মানুষের সাথে কথাই বলেছেন, তার মনে জায়গা পাননি, এবং কেউ হেল্প করবে না, এ ব্যাপারে নিজেই মেনে নিয়েছেন। আপনার প্রয়োজন ১ লাখ টাকা; ৫০ জন মানুষ ২ হাজার করে দিলেই তো টাকাটা আসে আরামসে। তাদের বিপদে আবার আপনি দেবেন। এভাবেই রিলেশনশিপ চেইনটা কাজ করে। এক জীবনে ৫০জন নয়, ৫ জন মানুষও যদি না পান, যে আপনাকে হেল্প করতে পারে, সেটা ব্যক্তি হিসেবে আপনার চূড়ান্ত ব্যর্থতা। আমি জানি না আমার বিপদে সত্যিই ৫ জন মানুষ পাবো কিনা, তবু যদি না পাই সেটা আমারই ব্যর্থতা মেনে নেবো অবলীলায়। হয়তোবা চরম আত্মকেন্দ্রিকতার বলয় ভেদ করে বিশাল আকাশটা দেখার মতো পর্যাপ্ত বড় মনটি আমি এখনো গড়ে তুলতে পারিনি……

টাকা মানুষের পারচেজিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ায়। কন্ট্রিবিউট করার সুযোগও তৈরি করে। যেমন, ইদানিং প্রায়ই বলি, কোনো একদিন বিশাল বিলিওনিয়ার কোনো একজন মানুষের সাথে দেখা হবে, তখন থাকবে বইমেলা; সে আমার সাথে কথা বলার পর ‘কিছু কিনে খেও’ এই কথা বলে ৫০ লাখ টাকার চেক দিয়ে দেবে বখশিস । সেই টাকা দিয়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩ ট্রাকভর্তি বই কিনে একটা লাইব্রেরি বানাবো। যেহেতু বই কেনার জন্য জীবনে প্রচুর সংখ্যক মানুষ টাকা দিয়েছে, আমার জন্য এই ঘটনা সত্যি হয়েও যেতে পারে। মূল পয়েন্টটা হলো, ইনটেনশন। আমার যদি লক্ষ্য থাকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান পেলে গাড়ি কিনবো, জীবনে ৫০ টাকাও কেউ দেবে মনে হয় না, কিন্তু ইনটেনশনটা যদি থাকে গ্রেটার স্কেলে কিছু একটা করার ৫০ লাখ না হোক, ৫ লাখ টাকা দিতেও পারে। এজন্যই বললাম, টাকা দিয়ে কন্ট্রিবিউট করবেন, নাকি ভোগবিলাসে খরচ করবেন, সেই সিদ্ধান্ততেই আসলে টাকার উপযোগিতা। কিংবা, অনেক টাকা হলে থানার ওসি, এসপিও আমার কথা শুনে আসামী ছেড়ে দেবে, নামকরা ডাক্তারকে দেখাতে কোনো সিরিয়াল লাগবে না- অর্থাৎ ক্ষমতা চর্চা হয় লক্ষ্য, সেই টাকার উত্তাপ সহ্য করতে পারবেন কিনা, একটু ভেবে দেখিয়েন।

বিত্তসুখ আর চিত্তসুখ একসাথেই পাওয়া যেতে পারে, যদি টাকার উপযোগিতাকে ডিফাইন এবং স্পেসিফাই করা যায়। সেই জায়গাটিতে যথেষ্ট নজর দেয়া হচ্ছে কিনা সেটাই প্রশ্ন। ১টি ২০ টাকার নোট হয়ে ঘুরে না বেড়িয়ে, বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খান……..