বিজনেস ট্যালেন্ট শব্দবন্ধটা দিয়ে কী বোঝাতে চাইছি? বিজনেস নিয়ে ভাবতে, প্রসেস, সিস্টেম ডেভেলপ করতে ক্লান্ত বোধ করে না এমন তরুণ/তরুণী। সমগ্র বাংলাদেশেই বিজনেস আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের অবস্থা জঘন্য। বিজনেসের ইন্টারপ্রিটেশন এখানে দোকানদারি, ফাটকাবাজি, ট্রেডিং অথবা অভিনব প্রতারণা। যে কারণে ‘বাণিজ্য’ শব্দটাকে আমাদের মিডিয়া, মননে এত নেগেটিভলি রিপ্রেজেন্টেড হয়। কিন্তু চেঞ্জমেকারমাত্রই চ্যালেঞ্জ পছন্দ করে, আমরা চ্যালেঞ্জ জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতেই নতুন একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছি, যেখানে ইন্টেলিজেন্ট, ক্রেজি এবং রিস্ক টেকিং মানসিকতার তরুণ/ তরুণীদের বুদ্ধির চারণক্ষেত্র গড়ে উঠবে। একটাই শর্ত, তোমার বিজনেস সেন্স প্রখর হতে হবে।
বাংলাদেশের বিজনেস স্কুলিং সম্পর্কে আমি যথেষ্ট অবগত নই। তবু জীবনে প্রায় ১০৯৭ এর কাছাকাছি জব ইন্টারভিউ নেয়াসূত্রে অসংখ্য বিজনেস গ্রাজুয়েটের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি, এবং তাদের কনসেপ্ট, থিংকিং, আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে অখুশি হবার পর্যাপ্ত কারণ খুঁজে পেয়েছি। ‘বুকিশ’ শব্দটার যথার্থ প্রয়োগ কতখানি হওয়া সম্ভব, তাদের মনোজগতে ঘুরলে স্পষ্ট হয়ে উঠে।
তবু আমি মানি, আমার দেখার বাইরেও বিশাল পৃথিবী ছিলো যাদের সাথে আমি কানেক্টেড হতে পারিনি কিংবা আমার এপ্রোচ যাদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। এজন্য একটা ওপেন এন্ডেড উদ্যোগ শুরু করতে চাই, যেখানে বিজনেস সেন্সসম্পন্ন যে কোনো ট্যালেন্টেড তরুণ/ তরুণী আমাদের সাথে ইন্টার্ন মডেলে কাজ করতে পারবে। কাজ করে যদি আমাদের সে পছন্দ করে অথবা তাকে আমরা পছন্দ করি, একটা ব্যতিক্রমী জার্নি শুরু হতে পারে। ইটস এ গেম, চ্যালেঞ্জটা কে কে নেবে, দেখার বিষয় সেটাই।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইন্টার্ন শব্দটা প্রহসন হয়ে উঠেছে, অধিকাংশ কোম্পানীর ইমপ্যাথিশূন্য পলিসির কারণে ইন্টার্ন সিস্টেমের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে ‘ বেগার খাটা’। এই চর্চাকে আমি চরম আনএথিকাল বলি, যেখানে এথিক্স নেই, সেখানে আমিও নেই। তাই ইন্টার্নদের জন্য আমরা সম্মানীরও ব্যবস্থা রেখেছি, পরিমাণটা ট্যালেন্টের লেভেল অনুযায়ী নির্ধারণ করতে চাই। নিশ্চয়ই সাকিব আল হাসান আর ইমরুল কায়েস একই স্কেলে বিচার্য হওয়া উচিত নয়।
ট্যালেন্ট ম্যানেজের প্রধান শর্ত ফ্লেক্সিবিলিটি, ছাঁচে ফেলে গড়পড়তা মেধার মানুষই তৈরি হবে, ব্যতিক্রমী মেধার মানুষেরা নিজেরা ছাঁচ বানায় নিজেদের জন্য। সবার জন্য একই নীতি, এটা জড় মেধার লক্ষণ। স্পেশাল ট্যালেন্টকে স্পেশালভাবেই ট্রিট করতে হয়। ফলে বিজনেস ট্যালেন্ট প্রোগ্রামে যারা আমাদের সাথে ৩ মাসের জার্নিতে অংশ নিবে, তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য টার্মস কন্ডিশন বানিয়ে নিক, এটাই চাইবো আমরা।
২৩+ বয়সের যে কোনো মানুষই আবেদন করতে পারবে। সিভিকে আমি বলি সার্কাস, কোনোদিনই কারো সিভি দেখিনি, দেখার রুচিও নেই। আমার সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া ও প্যারামিটার নিজস্ব। আমাদের এই প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে মাত্র ২টি প্রশ্নের উওর দিতে হবে।
প্রশ্ন১: বিজনেস বলতে কী বুঝো? ( কোনো বুকিশ সংজ্ঞা নয়, নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও ভাবনা লিখতে হবে)
প্রশ্ন২: তুমি কেন ও কীভাবে নিশ্চিত হলে তুমি একজন বিজনেস ট্যালেন্ট?
প্রশ্ন দুটির উত্তর লিখে ইমেইল করতে হবে himalay777@gmail.com এ; ইমেইলের সর্বশেষ সময় ১৫ই জানুয়ারি, ২০১৮।
প্রাপ্ত ইমেইলের ভিত্তিতে শর্টলিস্ট করে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকার পরিকল্পনা। চিন্তায় চিন্তায় কথা হবে, ইনোভেশনে হবে কর্মযোগ। আলোর রেখায় চলবো বলেই আমরা মানুষ খুঁজি, মানুষ বুঝি।।।