একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের কাছে একতরফাভাবে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। এতে ক্রিকেট দর্শকেরা ক্ষুব্ধ। স্পোর্টস সমর্থকদের বৈশিষ্ট্যই এটা, হারলে ক্ষুব্ধ হবেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলে হয়তোবা ক্ষুব্ধতা কিছুটা কম, আফগানিস্তান বা আয়ারল্যান্ডের কাছে হারলে সেটা অনেকখানি বেশি। ২০১০ পর্যন্ত যে কোনো দলের বিপক্ষে টেস্টে হারলেই ক্ষুব্ধ হতাম, কিন্তু ২০১০ এর পর থেকে টেস্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে নির্বিকারত্ব বজায় রাখতে পারি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতবে অনুমান করেছিলাম, নিজেদের কৌশলগত ভুলে হেরে গেছে। ‘কৌশলগত ভুল’ হাইপোথিসিস বোঝার ক্ষেত্রে একটি ক্রোনোলজিকাল পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ক্রোনোলজি১- টেস্ট পরিভ্রমণের ২ দশকের বিভাজন
বাংলাদেশের আমরা যারা ১৯৯৭ সালের সেই আইসিসি ট্রফি বিজয়েরও আগে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করি ( যখন সার্ক ক্রিকেট নামে টুর্নামেন্ট হয়েছিল; ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা তাদের ‘এ’ দল পাঠালেও বাংলাদেশের মূল দলই খেলেছিল), তারা টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির প্রেক্ষাপট নিশ্চিতভাবেই মনে রয়েছে। সেই সময়ে ক্রিকেটারদের ফ্যাসিলিটি, ফিটনেস লেভেলও বিস্মৃত হইনি নিশ্চয়ই। প্রথম দশকে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের জন্য দুটো কমন ব্যাপার ছিল- ১. ইনিংস ব্যবধানে হারা ২. বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়া উচিত, এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন দেশের মিডিয়াতে নিউজ প্রকাশ।
তবু এরকম প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রথম দশকে টেস্টে বাংলাদেশের মধ্যে ডিটারমিনেশন লক্ষ্য করা যেত। পাকিস্তানকে মুলতানে দুর্ভাগ্যের কারণে হারাতে পারেনি, অনভিজ্ঞতার কারণে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতার সুযোগ হাতছাড়া করেছে, ১৪২ ওভার ব্যাটিং করে জিম্বাবুইয়ের সাথে ড্র করেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ড্র করেছে। তখনকার ক্রিকেটারদের স্কিল, ফ্যাসিলিটি এবং অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক নিয়ামকের বিবেচনায় সেই ডিটারমিনেশনকে এপ্রিসিয়েট করা যায়।
পরের দশকে টেস্টজয়ের সংখ্যা বেড়েছে, ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ হয়েছে, কয়েকজন পারফরমার পাওয়া গেছে; তবু যদি ফ্যাসিলিটি, ফিটনেস, বিনিয়োগ প্রভৃতির বিপরীতে প্রাপ্তির হিসাব করা হয়, আশ্চর্যজন হলেও প্রথম দশক এগিয়ে থাকবে, যা পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে না। ‘ডিটারমিনেশন’ ফ্যাক্টরে পরের দশক পিছিয়ে পড়বে, এবং এই ট্রেন্ড দেখে যদি ৩য় দশকের অবস্থা নিয়ে অনুমান করতে বলা হয়, সেটা আরো হতাশাজনক ইনসাইট সামনে নিয়ে আসবে।
ক্রোনোলজি২- আমরা কি স্পোর্টসপ্রিয় জাতি?
আমাদের গড় বাঙালির শারীরিক গড়ন এবং গঠন এথলেটিক নয়। নানা ধরনের খেলাই আমাদের জনপদে সবসময় প্রচলিত ছিল, কিন্তু বিশ্বাঙ্গনে ধারাবাহিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার মতো যোগ্যতা কখনোই ছিল না। কলোনিয়াল স্পোর্টসগুলো (ফুটবল, ক্রিকেট, হকি প্রভৃতি) আমরা গ্রহণ করেছি, সমর্থনও করেছি, কিন্তু সেগুলো কখনোই স্পোর্টসপ্রিয়তার সনদ হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না, যেহেতু বৈশ্বিক মানদণ্ডে পারফরম্যান্স ছিল না। আমাদের স্পোর্টসপ্রিয়তা বলতে ছিল বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা নিয়ে তর্কাতর্কি, আবাহনী-মোহামেডান ইস্যুতে বিতর্ক, এবং ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে তর্ক। তখন ফেসবুক না থাকায় তর্কগুলো নিজেদের গণ্ডির বাইরে বেরুত না। ক্রিকেটে বাংলাদেশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া, বিশেষত প্রথম আসরেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়ার দরুণ, জনপ্রিয়তায় ক্রিকেট কিছুটা এগিয়ে যায়মাত্র। আশরাফুল, মাশরাফি, সাকিব, তামিম প্রমুখ ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত কিছু পারফরম্যান্স এবং ওয়ানডেতে মাঝেমধ্যে পাওয়া জয়ে ক্রিকেটে আগ্রহটা জিইয়ে থাকে, এবং অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে সাকিবের ১ নম্বর হওয়াটা একটি বড়ো ঘটনা হয়ে উঠে।
টেস্টের দর্শক বাংলাদেশে সবসময়ই খুবই কম ছিল। এখনো যদি, ক্রিকেট নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়া মানুষদের জিজ্ঞেস করা হয় ‘ফলো অন কী’, ‘ইনিংস ডিক্লেয়ার কী’, ‘ওয়ানডে আর টেস্ট ব্যাটিংয়ের পার্থক্য কী’- এদের উল্লেখযোগ্য অংশই গুগলিং করা ছাড়া সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। বা যারা টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে কথা বলে বেশিরভাগই একটা সেশনের কিছু অংশ দেখে, কিছুটা ক্রিকইনফোতে খবর নিয়ে, এবং বাকিটা হাইলাইটস দেখে তার উপর নির্ভর করে।
স্যাটেলাইটের সহজলভ্যতা, ফেসবুকের বিপ্লব প্রভৃতি ধারাবাহিকতায় একটি প্রিভিলেইজড শ্রেণির উদ্ভব ঘটেছে। আমাদের যাদের বয়স ১৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে, ঢাকা বা তুলনানূলক অগ্রসর শহরে থাকি, কিংবা উচ্চশিক্ষার্থে বস কর্মসূত্রে বিদেশে গিয়ে সেখানেই স্থায়ী হয়েছি, তারা মিলে এই প্রিভিলেইজড শ্রেণিতে বিলং করি। আমরা একটি বাবোলের মধ্যে অবস্থান করি। সেই বাবোলের মধ্যে সেই সমস্ত ঘটনাপঞ্জি বা বিষয়বস্তু আমাদের নজরে আসে যা আমরা দেখতে চাই, এবং তার ভিত্তিতেই আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়।
আমাদের সেই বাবোলে ক্রিকেটের বাইরে ইউরোপিয়ান ফুটবল লীগও ঢুকে পড়েছে, যেসব আলামত দেখে আমরা আশ্বস্ত হই নিজেদের স্পোর্টসপ্রিয়তার ব্যাপারে। কিন্তু সমগ্র জাতির শ্রেণীগোষ্ঠীর নিরিখে আমাদের বাবোলের ব্যাসার্ধ অত্যন্ত ক্ষুদ্র, সেই বাবোলের বাইরে যে বিশাল গোষ্ঠী, সেখানে স্পোর্টস খুব গুরুত্ব বহন করে না।
সুতরাং আমরা স্পোর্টসপ্রিয় জাতি এটি একটি নিছক মিথ। আমাদের সামাজিক এবং রিয়েল লাইফ মিথস্ক্রিয়ার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে, আমরা মাল্টিপল পারসোনালিটি বহন করছি, ভারচুয়াল যোগাযোগে আমাদের কনটেন্টের প্রয়োজন হয়। কনটেন্টের চাহিদা পূরণে কেউ সিনেমা, রাজনীতি, সাহিত্যের দ্বারস্থ হচ্ছে, কেউবা স্পোর্টস এর, আরো সংকীর্ণভাবে বললে ক্রিকেটের। এর বাইরে কিছুই নয়।
ক্রোনোলজি৩- টেস্টে বাংলাদেশ পিছিয়ে কেন?
এ বিষয়ে বহু টেকনিকাল আলোচনা হয়, আমি সমগ্র ব্যাপারটাকে মনস্তাত্ত্বিক জায়গা থেকে দেখি, এবং তার ভিত্তিতে আমার অনুসিদ্ধান্ত হলো, টেস্টে বাংলাদেশ পিছিয়ে, এর প্রধান কারণ বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্রিকেটার টেস্ট খেলতে অনাগ্রহী।
প্রথম দশকে যারা টেস্ট খেলেছে, তাদের প্রায় প্রত্যেকের ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছে ২০০০ সালের পূর্বে। সে সময়ে যারা ক্রিকেটকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতো, সাধারণত তাদের সামাজিক এন্টারপ্রেটেশন ছিল, পড়তে ভালো লাগে না, খেলাতেই যেহেতু সময় নষ্ট হয়, এটা দিয়েই উপার্জন হোক। তবু খেলাটাকে তারা তুলনামূলক বেশি ভালোবাসতো। ২০০০ সালের পরে যাদের ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছে, এদের বেশিরভাগই ক্যালকুলেটিভ। ক্রিকেট খেললে বিদেশ ভ্রমণ করা যায়, টিভিতে মুখ দেখানো হয়, রোজগারও খারাপ নয়, সুতরাং ক্রিকেটের ফিউচার মন্দ নয়। বিসিবি যখন দামী স্পন্সর পেতে শুরু করলো, এবং বাংলাদেশ কিছু ম্যাচ জিতলো, ক্রিকেটে টাকা আছে কথাটা শুনতে থাকি। নাদিফ চৌধুরী নামের এক ক্রিকেটার বয়সভিত্তিক দলের নিয়মিত সদস্য ছিল, ঘটনাক্রমে সে মানিকগঞ্জের এবং আমার সমবয়সী। বয়সভিত্তিক দলে খেলাসূত্রেই তার উপার্জনের যেসব গল্প শুনতাম লোকমুখে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের উপার্জন তাহলে কিরকম হতে পারে, চিন্তা করতাম। ২০০৪-০৫ এর কথা বলছি। তার মানে বিসিবির কাছে তখনই টাকা আসতে শুরু করেছে, অবশ্যই এখনকার পরিমাণে নয়।এই রেফারেন্স টানার কারণ, ২০০০ এর পরে যারা ক্রিকেট শুরু করেছে, তাদের সামাজিক এন্টারপ্রেটেশন ক্রিকেট খেলায় খ্যাতি আর অর্থ দুটোই পাওয়া যাবে যদি জাতীয় দলে ঢোকা যায়।
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার প্রথম ধাপ বিসিবির অন্যান্য দলগুলোতে পারফর্ম করতে হবে, অথবা ঘরোয়া লীগে। সেই ঘরোয়া লীগ আসলে কোনটা? প্রিমিয়ার ডিভিশন লীগ, এবং ২০১২ এর পর থেকে বিপিএল। একটা ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট, অন্যটা টি২০; জাতীয় দলের কোন ক্রিকেটার কি ফার্স্ট ক্লাস খেলে, বা যারা খেলে তাদের পারফরম্যান্স ভালো না কেন? কারণ ‘ফার্স্ট ক্লাসে টাকা নেই’
টেস্ট খেলতে যে পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয়, বিপরীতে যতটুকু খ্যাতি আর অর্থ পাওয়া যায়, ওয়ানডে আর টি২০তে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ পরিশ্রম করে বহুগুণ বেশি খ্যাতি আর অর্থ আসে। টেস্ট স্কোয়াডের তাইজুল আর মমিনুলের যতটুকু খ্যাতি, তার চাইতে অনেক বেশি পরিচিত দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এনামুল হক বিজয়, কিংবা আল আমিন হোসেন, কারণ তারা ওয়ানডে দলের সদস্য।
বাংলাদেশের সিংহভাগ ক্রিকেটারের গড় মনস্তত্ত্ব দিনমজুর ধরনের। ক্রিকেটকে তারা পেশা হিসেবে দেখতে পারেনি। একজন চাকরিজীবী প্রতিনিয়ত স্কিল বাড়ানোর চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকে; অন্যদিকে দিন মজুরের সেই ভাবনা নেই। সে মার্কেটে বের হবে, তারপর কখনো রাজমিস্ত্রির সাথে যোগালদারি করবে, কখনো মাল উঠানো-নামানোর কাজ করবে; যখন যা পাবে সেটার মাধ্যমেই উপার্জন করবে। দিন মজুরের কখনো ঔনারশিপ গ্রো করে না, যতটুকু শক্তি আছে সেটুকুই সে বিক্রি করে মাত্র।
আমাদের ক্রিকেটাররা বয়সভিত্তিক দলে যতটুকু স্কিল নিয়ে খেলে, সেই স্কিল দিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে চায়; নিজেকে আপগ্রেড করার কোনো তাড়না তাদের মধ্যে কাজ করে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুধফিক, তামিম আর মাহমুদুল্লাহ ব্যতীত কোনো ক্রিকেটারকে দেখিনি যে নিজের স্কিল বাড়াতে কাজ করেছে, এমনকি সাকিবও নয়। শুরুর দিকে তার যা ব্যাটিং স্কিল ছিল সেখান থেকে খুব বেশি আপগ্রেড করেনি নিজেকে, বোলিংয়ে সামান্য উন্নতি করেছিল, কিন্তু প্রচুর পরিমাণে টি২০ খেলার কারণে বোলিংয়েও চোখে পড়ার মতো এডাপ্টেশন নেই; তার সাফল্যের অনেকটাই মেন্টাল টাফনেস নির্ভর, স্কিলের দিক থেকে তার খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।
এরা কি কেউ নিয়মিত ফার্স্ট ক্লাস খেলে? না। কেন খেলে না?
তাদের পরের ব্যাচে যেসব খেলোয়াড় এসেছে তারা তো আরো স্কিল ডেভেলপমেন্টে অনাগ্রহী। নেট প্র্যাক্টিস করলে সেটার ছবি ফেসবুকে দিবে, বা ম্যাচে একটা ফিফটি করলে বা ৩ উইকেট করলে সেটা নিয়ে পড়ে থাকবে; এই ছেলেগুলোর মননে ক্রিকেট কোথায় এবং কতখানি? বিসিবি বাধ্য করলে বিসিএল খেলে, নয়তো খ্যাপ খেললে এর চাইতে বেশি উপার্জন করা সম্ভব।
টেনিস বলে যারা পাড়ায় ক্রিকেট খেলে তারাও নিজেদের মধ্যে বাজিতে ম্যাচ খেলে, টুর্নামেন্টে এন্ট্রি ফি দিয়ে ম্যাচ খেলে, সেখানেও বহু ছেলে সুন্দর বোলিং-ব্যাটিং করতে পারে; তাদের কি আমরা ক্রিকেটার বলি? তারা এমেচার। তাদের জীবনযাপনে ক্রিকেট ওইটুকু সময়েই বিচরণ করে। বাকি সময়ে তারা কেউ ছাত্র, কেউ চাকরিজীবী; তাদের ভাবনায় সেসবই প্রাধান্য পায়।
কিন্তু যাদের একমাত্র কাজই ক্রিকেট খেলা, তাদের জীবনেও যদি মাঠের সময়টুকু আর কিছু রুটিন অনুশীলনের বাইরে ক্রিকেট না থাকে, তাদের সাথে এমেচারদের পার্থক্য কোথায়?
টেস্ট পছন্দ করে কেবলমাত্র এমন ক্রিকেটারদের দলে নেয়া হবে, বিসিবি যদি এরকম শর্ত আরোপ করে কখনো, একাদশ গঠন করতে গেলেও অন্তত ৫-৭ জন খেলোয়াড় কম পড়বে। শূন্যস্থান পূরণ করতে মজুর নিয়ে আসা হবে। চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশেই যদি এই শর্ত আরোপ করা হয়, তাইজুল বাদে প্রত্যেকেই ধাপে ধাপে এলিমিনেট হয়ে যাবে।
আপনি কোনোকিছু পছন্দ করেন তখনই বলতে পারবেন যখন তার পেছনে প্রচুর সময় দিয়েছেন, এবং স্যাক্রিফাইস করেছেন।
মোসাদ্দেক বা মাহমুদুল্লাহ মুখে বলছে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দীর্ঘদিনের, কিন্তু যদি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়, টেস্ট খেলার জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন, এবং কীরকম স্যাক্রিফাইস করেছেন, সন্তোষজনক উত্তর পাবেন না। কিন্তু বিপিএল বা প্রিমিয়ার লীগে দল পাওয়ার জন্য, একাদশে সুযোগ পাওয়ার জন্য কী করেছেন, প্রশ্ন করলে যা উত্তর পাবেন, ইমপ্রেসড হতে বাধ্য।
বিপিএল বা প্রিমিয়ার লীগ কে প্রায়োরিটি দেয়া দোষের নয়, কিন্তু বিসিএল কে এড়াতে চাওয়াটা দোষের। আপনি ফ্যাসিলিটিসের প্রশ্ন তুলবেন? একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে পারেন। বিসিএল এর টাকার পরিমাণ বিপিএল বা প্রিমিয়ার লীগের সমান বা কাছাকাছি করে দিন, তবু দেখবেন পরিস্থিতি খুব বদলাচ্ছে না। কারণ ৩ বা ৭ ঘণ্টার একটা ম্যাচ খেলে লাখ টাকা পাওয়া, আর ৪ দিন খেলে তার চাইতে কিছু বেশি পাওয়া, দুয়ের মধ্যে প্রথম অপশন বেশি প্রফিটেবল। এতে পরিশ্রম কম।
জাতিগতভাবে বাঙালি অলস এবং শ্রমবিমুখ; শর্টকাট তাদের পরম আরাধ্য।
তাহলে টেস্ট খেলার দরকার কী?
নিতান্তই আইসিসির চাপে পড়ে খেলতে হয়। টেস্ট স্ট্যাটাস না থাকলে হংকং, ওমান লেভেলের দল হিসেবে বিবেচিত হতে হবে, তাতে অর্থের যোগান কমে যাবে।
ক্রিকেট অবকাঠামোর দোষ দিবেন, প্রশাসকদের দুর্নীতির কথা বলবেন?
আফগানিস্তান তো নিজেদের দেশে খেলতে পর্যন্ত পারে না, বিশ্বকাপ চলাকালে খেলোয়াড়রা মাঠের বাইরে কতরকম কাণ্ড করলো, তাদের প্রাক্তন কোচ ফিল সিমন্স প্রকাশ্যে বোর্ডের সমালোচনা করেছে, গুলবাদিন নায়েব সরাসরি সিনিয়র খেলোয়াড়দের দোষারোপ করেছে; সেসব তো মাত্র কয়েক মাস আগের কথা, স্মৃতিতে তরতাজা থাকা উচিত। এরকম বিশৃংখল এবং সার্কাস্টিক দল সব ফরম্যাটে আমাদের চাইতে এগিয়ে যাচ্ছে কেন? স্রেফ ইনডিভিজুয়াল ব্রিলিয়ান্সের উপর ভর করে।
শ্রীলংকান ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরে কী চলছে খবর রাখলে জানার কথা।
তবু বারবার বিসিবিকেই দোষ দেয়া আদতে মূল সত্যকে এড়িয়ে যাওয়ার পায়তারামাত্র। লীগে দুর্নীতি, পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং, ক্লাব রাজনীতি- সবগুলোই ফ্যাক্ট। কিন্তু এগুলো কি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন? অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক করা হয় দুর্জয়কে; সেসময় কোন সরকার ক্ষমতায় ছিল? দুর্জয় অধিনায়কত্ব হারানোর সাথে সাথে দল থেকেও বাদ পড়ে; সেই সময়ে শাসনক্ষমতায় ছিল কোন দল? দুর্জয়ের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং পরবর্তীতে তার এমপি হওয়া, ডটগুলো যোগ করলেই অনেক কিছু পাওয়া যায়। তখন ফেসবুক ছিল না বিধায় এসব নিয়ে কথা কম হতো, ফেসবুকের কারণে এখন বেশি হয়। নইলে পরিস্থিতি তো কম-বেশি একই। এগুলোকে সামনে আনা অজুহাত মাত্র।
বিসিবি বিসিএল, এনসিএল চালু করেছে অনেকদিন হলো, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাধ্য না করলে তারা সেখানে খেলে না কেন? একজন ক্রিকেটার তো নিজের আগ্রহেই ফার্স্ট ক্লাস খেলবে। পিচ, আউটফিল্ডের মান যেমনই হোক, ম্যাচের দৈর্ঘ্য যে ৪ দিন তা তো সত্যি; কম্পিটিটিভ আবহ ক্রিকেটারকে নিজের তৈরি করতে হবে। পাপন, আকরাম খান বা নান্নু তো মাঠে খেলে না, মাঠটা ক্রিকেটারেরই। সেখানে তাদের আগ্রহ নেই কেন?
যতদিন পর্যন্ত দিনমজুর দিয়ে ক্রিকেটারের ঘাটতি পূরণের সংস্কৃতি বন্ধ না হবে, টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ কখনোই উন্নতি করতে পারবে না। একে তো দিনমজুর, তার উপর শো-অফপ্রবণ; এরকম ঝুঁকিপূর্ণ কম্বিনেশনের ৮-১০ জন তরুণ নিয়ে যে বছরের পর বছর বিসিবি মাঠে নামার সাহস দেখায়, এজন্য বরং তাদের কিছুটা হলেও এপ্রিসিয়েট করা উচিত।
যদিও বলা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট খেলার বয়স ১৯ বছর, আদতে কথাটাতে ত্রুটি আছে। বাংলাদেশে লেগাসি বা পরম্পরা রক্ষার চর্চা নেই কোনোকিছুতেই। ১৯ বছর আগে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলেছে, কিন্তু সেই খেলোয়াড়দের একজনও তো নেই। যেহেতু কালচার গড়ে উঠেনি, মধ্যবর্তী ১৯ বছর নিছকই সংখ্যা। ফলে স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়রা একত্রে কতদিন ধরে খেলছে, বাংলাদেশের কনটেক্সট এ সেটাই টেস্ট খেলার বয়স, যেহেতু আমরা ভুল থেকে শিখি না এবং শেখাকে জরুরীও মনে করি না। যে কারণে ১৯ বছর পরেও বাংলাদেশের টেস্ট দল মানে ১১ জন ফ্রিল্যান্সার বা খ্যাপ খেলোয়াড়ের একসাথে কয়েক ঘন্টা সময় মাঠে ব্যয় করা, যাদের কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ইতিহাস নেই, মানসিক যোগাযোগ নেই; খ্যাপ খেলা শেষে ফিরে যাবে যে যার নীড়ে।
ক্রোনোলজি৪- ক্রিকেটারের চেহারায় কেন সব বিত্তশালী দিনমজুরের প্রাচুর্য?
ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে যত ক্রিকেট একাডেমি আছে, প্রায় শতভাগ ক্ষেত্রেই সেসব জায়গায় যেসব প্রশিক্ষক কাজ করে তারা কেবল ক্রিকেটের প্রায়োগিক দিকটি নিয়েই কাজ করে। ধরা যাক, প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই স্কয়ার কাট করতে পারে। কেউ ১০ বার চেষ্টা করলে ৭ বার বাউন্ডারি পায়, ২ বার পায় না, ১ বার আউট হয়। কোহলির সাথে ঢাকার গোলারটেক মাঠে প্র্যাক্টিস করা আলভি নামক তরুণ ক্রিকেটারের পার্থক্যটা এখানেই। কোহলি যে কোনো বোলিংয়ের বিপরীতেই ১০ বারে ৮ বার পারবে, আলভি হয়তো ২ বার পারবে, ৮ বার আউট হবে; ব্যবধান মাত্র ৬ এর, কিন্তু এটুকু ব্যবধান আনতেই কোহলিকে লাইফস্টাইল, খাদ্যাভ্যাস সবকিছুতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে; এখান থেকেই থট প্রসেসে পার্থক্যটা আসে৷
বহু কোচই মুখে বলছে ক্রিকেট মেন্টাল গেম, কিন্তু মেন্টাল স্ট্রেন্থ, মনোযোগ এবং এন্টিসিপেশন কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে নিজেদেরই জ্ঞান নেই বা চর্চা নেই; তারা বারবার অমুক ডেলিভারির জন্য অমুক সিমিং পজিশন, অমুক শটের জন্য ফুট মুভমেন্ট আর ফিটনেস ট্রেনিংয়ের মধ্যেই কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখেন। এতে করে একজন খুদে ক্রিকেটার ক্রিকেটকে একটি পারফরমিং স্কিলের বাইরে ভিন্ন কিছু ভাবতে পারে না, ৫০ ফুট উপরে টাঙানো দড়ির উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যেমন সার্কাসের একটি প্রদর্শনী, মাত্র ২২ গজ দূর থেকে ১৪০ কি:মি:/ঘন্টা গতিতে ছুটে আসা বলকে মুহূর্তের মধ্যে মাঠের কোনো এক প্রান্তে ঠেলে দেয়াটাও সেরকম এক সার্কাস হয়ে উঠে। ফলে খেলাটির অভ্যন্তরীণ মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলো তার অজানা থেকে যায়। আমরা অনেকেই যেমন ছোটবেলায় না বুঝেই গণিত সমাধান করে বিদ্বান হই, ক্রিকেটারদের গ্রুমিংটাও সেরকম ত্রুটিপূর্ণ। তাদের মধ্যে বৃহত্তর কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক আলোড়ন তৈরি হয় না, এই জায়গাটাতেই তারা ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর যখন দেখে জেলা দলে, বয়সভিত্তিক দলে, কিংবা সেকেন্ড ডিভিশন, থার্ড ডিভিশন দলে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোচ এবং টিম অফিসিয়ালদের তোয়াজ করতে হয়, সে উপলব্ধি করে কেবল মাঠে নামা এবং টিকে থাকাটাই যথেষ্ট নয়, মাঠের বাইরের সিস্টেমবাজিটাও শিখতে হবে; নইলে হারিয়ে যেতে হবে। কিংবা পারফরম্যান্স দিয়ে সিস্টেমবাজির ঘাটতি পূরণ করতে পারবো, সেরকম আত্মবিশ্বাসও খুব কম সংখ্যক ক্রিকেটারের মধ্যে কাজ করে, যে কারণে মনোযোগ একমুখী করার যে সাধনা সেখান থেকে সে কৈশোরেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে।
ব্যতিক্রম এর মধ্যেও আছে নিশ্চয়ই, তবু গড়চিত্রটা হয়তোবা এরকমই। ক্রিকেটটা তারা তাই মাঠ থেকে বের হলেই হারিয়ে ফেলে, ২৪ ঘন্টা ক্রিকেট বহন করার মতো কনটেন্ট তারা খুঁজে পায় না।
ক্রোনোলজি ৫- বাংলাদেশ আফগানিস্তানের কাছে হারলো কেন?
বিশ্বকাপে সর্বশেষ মুখোমুখি হওয়া ওয়ানডেতে আফগানিস্তান বাংলাদেশের স্পিনারদের কাছে, বিশেষত সাকিবের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল। যে কারণে স্পিনিং ট্র্যাকে আফগানিস্তান উড়ে যাবে এরকম এক অনুমানের বিপরীতে আফগানিস্তানের স্পিন বোলাররা যথেষ্ট ভোগাবে সেই প্রস্তুতিও ছিল। একাদশে ৮ জন স্পেশালিস্ট দেখলেই বোঝা যায় আফগান স্পিনাররা ব্যাটিং কলাপ্স ঘটাতে পারে এরকম এক আশংকা কাজ করেছিল ম্যাচের আগেই। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ বাদে অন্য দল হয়তো পাওয়াই যাবে না যারা ৮ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান একাদশে খেলিয়েছে। আমার অনুমান ৮ জন ব্যাটসম্যান খেলানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পর বোলারের চিন্তা এসেছে। মিরাজ যেহেতু ব্যাটিং জানে, সে জায়গা পাবে; তাইজুলকে নিতেই হবে। একটি পজিশন ফাঁকা থাকে; সেটা নাইম, নাকি রাহি। শ্রীলংকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে নাইমের ৭ উইকেট তাকে এগিয়ে দিয়েছে। ওয়ানডে আর টি২০ তে আফগানিস্তানের ব্যাটিসম্যানরা স্পিন বোলিংয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে হিমশিম খায়, পেস বোলিংয়ে চালিয়ে খেলে– এই প্রবণতা পর্যালোচনা করে আফগানরা পেসের বিপক্ষে ভালো এরকম কোনো তত্ত্ব হয়তোবা ভেবেছে। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিমিং পিচে আফগানরা স্ট্রাগল করেছে, ভারতও তাদের বিপক্ষে স্পিনিং ট্র্যাক বানায়নি, এর মানে আফগানরা সিমিং ট্র্যাকেই তুলনামূলক বেশি ভালনারেবল কিনা এটা বোঝার জন্য হলেও ২ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে সিমিং পিচ বানিয়ে অল পেস এটাক নামিয়ে দেখা উচিত ছিল। যেহেতু মূল পরিকল্পনা ছিল স্পিনিং ট্র্যাক, প্রস্তুতি ম্যাচে সম্পূর্ণ বিপরীত স্ট্র্যাটেজি পরখ করে দেখা দরকার ছিল মূল পরিকল্পনায় কোনো ফাঁকফোকর আছে কিনা। উপরন্তু আল আমিন জুনিয়র নামের জেনুইন ব্যাটসম্যান পার্ট টাইম স্পিনে উইকেট পাওয়ায় ফেইক কনফিডেন্স তৈরি হয়। মূলত আফগানিস্তান নিয়ে পর্যাপ্ত রিসার্চহীনতা থেকেই এই বিপত্তি।
এর মধ্যে ২০১৬ থেকে স্পিনিং ট্র্যাকের নেগেটিভ ক্রিকেট তো ফ্যাক্টর হিসেবে ছিলোই। সাকিব এক কুযুক্তি দাঁড় করালো- ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় ৪ পেসার খেলালে যদি কথা না হয়, বাংলাদেশে ৪ স্পিনার খেলালে সমস্যা কেন?– বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য চরম ক্ষতিকর স্টেটমেন্টের তালিকা করলে এটাকে এক নম্বরে রাখবো। কথাটা সাকিব বলেছে বলে এর মাত্রা আরো বেশি, কারণ বহু মানুষ তার বক্তব্যকে মেনে নিয়ে সপক্ষে যুক্তি দিতে থাকবে, এবং এক পর্যায়ে এটা মতবাদ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে।
কিন্তু আদ্যন্ত এটা একটা নির্বোধ স্টেটমেন্ট। তার কথাকে আমরা এন্টারপ্রেট করতে পারি এভাবে- আপনি স্ট্রেন্থকে ম্যাক্সিমাইম ইউটিলাইজ করতে চাইছেন। এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু আগে তো বুঝতে হবে আসলেই যেটা স্ট্রেন্থ বলছেন তা স্ট্রেন্থ কিনা। ধরা যাক আস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড ৪ জন পেসার খেলায়; উপমহাদেশে এলে কি তারা পেসার বাদ দেয়? তারা একজন পেসার কমিয়ে সেখানে স্পিনার খেলায়, তার মানে উপমহাদেশেও তারা কিন্তু পেসের উপরই নির্ভর করছে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ বাইরে গেলে কী করে? কমপক্ষে ২ জন, ক্ষেত্রবিশেষে ৩ জন পেসার খেলায়; তখন এমনকি ৩ জন স্পিনার খেলাতেও দ্বিধা বোধ করে, ৪ জন তো বহুদূর; তার মানে তখন আপনি পেসারদের উপর নির্ভর করছেন। এই যে বলেন পেসাররা মানসম্পন্ন নয়, তখন এসব পেসার খেলান কেন? তার মানে স্পিনও আসলে আপনার শক্তিমত্তার জায়গা নয়। বরং বাজে পিচ বানিয়ে বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের অনভ্যস্ততাকে এক্সপ্লোয়েট করছেন; এটা কি মানুষ বোঝে না? সাকিব নিজের ইগো স্যাটিসফাই করতে এরপর পিচের দোষ দিচ্ছে। কিন্তু আফগান স্পিনারদের অতিরিক্ত ভয় পাওয়া থেকেই যে মানসিকভাবে হীনম্মন্যতার সূত্রপাত তা স্বীকারের সাহস নেই।
বাংলাদেশ হেরে গেছে প্রথম ইনিংসেই। দলের সবচাইতে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে নামছে ৫,৬,৭ এ আর উপরে খেলছে তারা যাদের মধ্যে একজন নতুন, আর ২ জন হোয়াইট বল ক্রিকেটের ব্যাটসম্যান। অভিজ্ঞরা কি কলাপ্স ঠেকানোর জন্য ব্যাক আপ অপশন হিসেবে রিজার্ভে ছিল? টেস্ট মানে সবকিছুর পরীক্ষা নেয়া; আপনি প্রস্তুতিই নেন নাই, পরীক্ষা দিবেন কী!
টি২০ তে জিম্বাবুইয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ১৩ তারিখে শুভ সূচনা হবে নিশ্চয়ই, সেদিন আমরা তৃপ্তি নিয়ে নান্নার মোরগ পোলাও খেয়ে নিবো, কেমন?