#আত্মিকমূল্য_পরিশোধ
শিরোনাম দেখে অবাক হলেও সত্যি…হ্যা নামহীন একটা বইয়ের আত্মিকমূল্যের কথা বলছি। বই পড়া শেষে প্রত্যেক পাঠকের জন্য একটি রিভিউ লেখা এবং লেখককে ১১ টি প্রশ্ন করা বইয়ের আত্মিকমূল্য হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। বইয়ের কোন নাম নেই তাই ছবি এড করলাম। হিমালয় নামক একজন মানুষের লেখা। মানুষটির সাথে চাকুরী সূত্রে পরিচয়। কেমন মানুষ? প্রশ্ন করলে বলবো- পাগল কিসিমের। তবে পাগল শব্দটির মানে আমার কাছে ভিন্ন। আমরা সামাজিক জীব মানুষের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য কে যখন মেনে নিতে পারি না তখন তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করি। কিন্তু এই কিছু কিছু মানুষই পৃথিবীকে আলাদা স্বাদ দিতে পারে। আর তাই উনার সাথে পরিচয় হবার পর থেকে আমি উনার মত মানুষ খুঁজে বেড়াই আমার পরিমণ্ডলে। যারা আলাদাভাবে ভাবতে পারে, ভাবাতে পারে। গতানুগতিক বিষয়গুলো আপনি না চাইলেও কখনও না কখনও পেয়ে যাবেন কিন্তু বলেন দেখি সুখের সংজ্ঞা?
যাইহোক অনেক কথা হল। বইয়ের কথায় ফিরি। বইটি পড়ে পাঠকের বিভিন্ন মন্তব্য হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা শুধুই লেখকের “গুনগুন”। গুনগুন করে ভ্রমর কি বলে কখনও শুনে দেখেছেন কি? অথবা একটা মশা? হয়ত বলবেন এটাত ওদের পাখা আর বাতাসের ঘর্ষণের শব্দ। হ্যাঁ ঠিক বলছেন, বিজ্ঞান আমাদের এটাই বলে। কিন্তু মানুষ তো একসময় অঙ্গভঙ্গিতে কথা বলত। আমার এমন একটা কনভার্টার বানানোর ইচ্ছা, ওরা কি বলে শুনবো। বইটিতে আপনি লেখকের সেই গুনগুন শুনবেন। কিছু বুঝবেন কিছু মাথার উপর দিয়ে যাবে হয়ত। আমার গেছে। এখানে তার শৈশব থেকে যৌবনের দেখা পাবেন। পড়ার সময় যদি সাদাকালো রঙ্গে কল্পনা করতে পারেন তাহলে বাস্তবতা উপলব্ধি হবে।
আমি এত আপনি আপনি কেন করছি? পড়লামতো আমি!
ওকে বলি…
বইটা অনেক মোটা। ৬১৯ পেইজের। তাই পড়তে আমার সময় একটু বেশিই লেগেছে। অনেক চরিত্রের পরিচয় সংখ্যায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু চেনাজানা কম হওয়ায় সংখ্যার খেলায় আমি সবসময় মাততে পারি নাই। কিছু কিছু লাইনে গজামেল দিলাম। ক্ষোব-বিক্ষোব সব আছে। অসাধারন কিছু লাইন আছে। একটু চিন্তা করলে ঐগুলা থেকে রস বের করা যাবে। রস তিতাও হতে পারে। আবার মিষ্টিও হতে পারে। টকঝালমিষ্টি চকলেটের মত। দুই একটা শব্দ প্রথমে একটু থামিয়ে দিলেও যখন পরের লাইনগুলো পড়ছি হজম করতে পেরেছি। তাই “সেফুদাকেও” খারাপ লাগে না। জীবনের কিছু বাস্তব চিত্র গল্পের ছলে পেয়ে গেছি। “প্রমিজিং হতাশায় বাঁচি, ক্লান্তির খবর কবরে” এইরূপ ১১ টি কালচার দারুণ লেগেছে। কালচার বলতে যা আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে কিন্তু ঐ সকল ঘটনাকে কোন সংজ্ঞায় ফেলতে পারছিনা বলে তার থেকে মুক্তি পাই না। একজন উদ্যোক্তা কিংবা একজন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানাজার অথবা একজন বিজনেস প্ল্যানারের জন্য বইয়ের কিছু পাতা হতে পারে নতুন কিছু।
ওকে অনেক বলে ফেলছি। চাইলে পড়তে পারেন। কিন্তু কেন পড়বেন? আমাকে উত্তর না দিয়ে (Email: himalay777@gmail.com) এখানে দিন।। গ্রহণযোগ্য উত্তর হলে পেয়ে যাবনে বইটি। মূল্য কত দিবেন সেটা আপনার উপর। যা ইচ্ছা তাই মূল্য। পড়ে যদি মনে হয় ঠকে গেলেন তাহলে মূল্য ফেরত তাহলে আরেকটা মেইল করবেন।
আমার সংগ্রহে থাকা বইয়ের কপিটায় হিমালয় ভাইয়ের অটোগ্রাফ দেয়া। দুটি লাইনও উনি লিখেছিলেন-
“দেখা হল শেষবেলায়, বিশালে আকাশের নিচে কথা হবে অন্য কোথাও অন্য কোন প্রয়োজন প্রাত্যহিকতায়”।
একি আকাশের নিচে তো থাকবোই। তবে প্রয়োজন হোক বা না হোক Mahfuz Siddique Himalay Abid Mahmud Adnan এ দুটি মানুষের সাথে সাথে বারে বারে দেখা হোক সেটাই চাইবো।