প্রথম লেখা বুক রিভিউ……
যদি জিজ্ঞেস করেন প্রথম লেখা বুক রিভিউ ? কি সেই এক্সাইটিং বইটি ?
লেখকই বা কে?
উত্তরটা একটু কঠিন হয়ে যাবে আমার জন্য; কেননা, এমন একটি বই এর রিভিউ লিখছি যেটার কোন নাম নেই ও সুনির্দিষ্ট কোন দামও নাই। হয়ত আবার প্রশ্ন করবেন; এ আবার কেমন বই ?
এই প্রশ্ন আমাকে না করে সরাসরি লেখককেই বরং করুন ask777.net এই ওয়েবসাইটে গিয়ে,
সেটাই বরং ভাল।
শ্রদ্ধেয় লেখক জনাব মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয় এর লেখা নামহীন ও সুনির্দিষ্ট দামহীন বইটি পড়লাম। ৬ দিনের কিছুটা করে সময় দিয়ে মোট ৬১৯ পেজের বইটি শেষ করেছি, যেটা আমার জীবনে পড়া সব থেকে মোটা বই। আমি বাংলা পড়ায় বেশ দক্ষ হলেও প্রতি ২০ পেজ পড়তে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টার ও বেশি, কেননা লেখকের লেখার ধরন ও মান বুঝতে আমার মত এভারেজ চিন্তার মানুষের হিমশিম খেতে হয়েছে।
এই বইটিকে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন এঙ্গেল থেকে দেখা যায় বলে মনে করি, হতে পারে সেটা লেখকের আত্মজীবনী, লেখকের সিভি, বা সংখ্যার অবসেশনে ভোগা একজন মানুষের নিজের সাথে করা সংলাপ, অথবা বলা যেতে পারে হিউম্যান রিসোর্স বিষয়ক একটি ভিন্নধর্মী বই। যেখানে ফুটে উঠেছে লেখকের ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন, ও অন্যরকম গ্রুপের সাথে থাকা দীর্ঘ কর্মজীবন। লেখকের সাথে পরিচয় অন্যরকম গ্রুপে কাজ করার সূত্র ধরেই, যেখানে তাকে দেখেছি মানুষ নিয়ে আজগুবি সব এক্সপেরিমেন্ট করতে, এবং মাঝে মাঝে মনে হত এই লোকের মাথায় হয়তোবা অসুবিধা আছে, যদিও লেখক নিজেই বইয়ে এমনটাই স্বীকার করতে চেয়েছেন। আমার ধারণা ছিল মানুষ নিয়ে তিনি সাম্প্রতিক গবেষণা শুরু করেছেন বাট বই পড়ে জানতে পারি এটি তিনি শুরু করেছিলেন সেই শৈশব থেকে, যেটি বইয়ে বিভিন্ন ভাবে উল্লেখ করেছেন, পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন তার কষ্টে কাটানো শৈশবের কথা, যেখানে তিনি চরম ম্যাচিউরিটির প্রমাণ রেখেছেন।
লেখক অন্যরকম গ্রুপে দীর্ঘ নয় বছর ক্রিয়েটিভ কনসাল্টেন্ট হিসাবে কাজ করলেও উপরমহলের নানা চাপে নিজেকে ভালভাবে প্রকাশিত করার সুযোগ পাননি ফলে এতদিন এখানে কাজ করলেও কোন কনসার্নে আশার বাতি জ্বালাতে পারেননি, যেটা লেখকের লেখায় প্রকাশ পেয়েছে, পাশাপাশি কর্পোরেট কালচার এর নোংরা রাজনীতির ব্যাপার ও লেখায় ফুটে উঠেছে।
এভারেজ চিন্তার মানুষ হিসাবে লেখকের অনেক কথায় ধরতে না পারলেও মনে হয়েছে লেখক অতিমাত্রায় আমিত্বে ডুবে আছেন এবং নিজেকে নিয়ে অতিমাত্রায় কনফিডেন্স ফিল করেন, ও ম্যাক্সিমাম টাইম নিজেকে সঠিক বলে মনে করেন। এছাড়া একই শব্দ ও উদাহরণ বার বার টেনে আনায় বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
পরিশেষে বই শেষ করলেও ঘোর লাগা কেটে উঠেনি, মনের মাঝে বার বার উঁকি দিচ্ছে যে, আসলেই পৃথিবীতে আসলাম খাইলাম দাইলাম ঘুরলাম কিন্তু মিনিংফুল আসলে কি করে যেতে পারলাম ? যদিও লেখন এখান থেকে উত্তরণের জন্য সমাজসেবামূলক কাজের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন।
যদি কারও মনে হয় বইটি পড়া দরকার বা পড়লে ভাল লাগবে, তাহলে বইটি কেন পড়তে চান সেটি লেখে ইমেইল করতে হবে himalay777@gmail.com এই এড্রেসে, আমি কেন পড়তে চেয়েছিলাম যদি সেই প্রশ্ন করেন তাহলে উত্তর হবে, এই বইয়ে বিভিন্ন শব্দকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ইন্টারপ্রেট করা ও মানুষকে সংখ্যা দ্বারা ক্লাসিফাই করার একটা ব্যাপার আছে শুনেছিলাম, সেখান থেকেই মূলত আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল।