প্রিয় Mahfuz Siddique Himalay

#আপনার _নামহীন_ বই পড়ে শেষ করলাম,
এক কথায় বইটি দারুণ কিন্তু ত্রুটির উর্দ্ধে নয়, যদিও কোন কিছুই ত্রুটির উর্দ্ধে হয় না আবার ত্রুটি বিষয়টাও আপেক্ষিক।
History is beaten by winners. কিন্তু মাঝে মাঝে ইতিহাসকে বিট করে পরাজিতরা। ২৩ জুন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পরাজিত হয়ে ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করছেন, কিন্তু বিজিত মীরজাফর!
বাংলাভাষায় এক মহা ট্যাবু শুধু কি ট্যাবু! রীতিমত স্ল্যাং এর পর্যায়। আপনার নামহীন বইটি পরিজিত কিন্তু ইতিহাস নির্মাতা হবে নিশ্চয়ই।
যে ঢং এ আপাত সম্পর্কহীন একটা বিষয়ের পর আরেকটা বিষয় অবতারণা করেছেন বিষয়টা খুবই ইউনিক। ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক আপনি যে নীতিতে চিন্তার জালের সাথে ভাব, কল্পনা জুড়ে দিয়েছেন চিন্তাশীল পাঠকের জন্য এটা পাথেয় হবে নিশ্চয়ই। তবে কাল্পনিক যায়গাগুলোতে হুমায়ুনী স্টাইলটা ঢুকে গেছে আপনার অজান্তেই বোধ হয়। এই যায়গাগুলোতে একটু নজর দেওয়া দরকার। আপনি যথার্থই বলেছেন এই বই আপনার বায়ো ফিকশন…..
#আপনি প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়ে বইটি লিখেছেন কিন্তু যে সমাধানটি সহজে করা যায় আপনি সেটাকে জটিল থেকে জটিলতর করেছেন। এটা যেন ডিম ভাঙ্গার যন্ত্র আবিষ্কারের মত কিংবা হেটে নদী পার হওয়ার মত সাধনা! চড়াদামে অল্প সফলতা কিনেছেন।

#তবুও যে কারণে আপনার বইটি পড়া উচিতঃ (এক) ভিন্ন দৃষ্টিতে যারা সমাজের অনুষঙ্গগুলো বিচার করতে চান তাদের জন্য যথেষ্ট পাথেও রয়েছে। (দুই) অনেক বিষয়ের সাথে আপনি ইন্টার লিং তৈরি করতে পেরেছেন যা সত্যি অসাধারণ, (তিন) যারা নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ অনুভব করেন তাদের জন্য বই প্রাথমিক পাঠ হতে পারে, (চার) আপনার বিশ্লেষণ ও জগত দেখার ভঙ্গি আলাদা এটা ভিন্ন ভাবে ভাবাতে সাহায্য করবে, (পাঁচ), জগতের কোন কিছুই ধ্রুব নয় এই সত্যটা ভিন্ন ভাবে আপনি জানান দিয়েছেন বলে আমার বোধ হয়, (ছয়) জীবনের কোন খুঁটিনাটি বিষয় আপনার দৃষ্টি এড়ায়নি।
#একটা ঘটনা থেকে আরেকটা আপনি যেভাবে হঠাৎ হঠাৎ করে চলে যাচ্ছিলেন অথচ আপাত সম্পর্কহীন দুটি বিষয়কে এই রকম সম্পর্ক প্রদান সত্যিই অসাধারণ এবং কথনের ৩১৭৯ এর হঠাৎ হঠাৎ ঢুকে পড়া বেশ নাটকীয় ছিল।
#নামহীন! একটু বিস্ময় জাগানিয়া তবে বইটির নাম ৩১৭৯ হলে খারাপ হত না, বরং পূর্ণতা পেত। এখন কেমন যেন খাপ খোলা তলোয়ারের মত লাগে, মানুষের আগ্রহ জাগবে কিন্তু কাছে আসবে না।
আচ্ছা আপনি কি ৭০ বছর বয়সে এই বইটি পড়বেন?
যে কলেবরে আপনি বইটি লিখেছেন তা আরো ছোট হতে পারত, তবে আপনি পাঠককে আকৃষ্ট করার ভালোই মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন। ধীর গতিতে হলেও সঠিক পাঠক বইটি পড়বে। গল্প বলার ঢং আপনার ইউনিক এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে বহু যায়গায় হুমায়ুন আহমেদের ছাপ আছে। ধরুন ৪৪৪ – ৪৪৫ পৃষ্ঠায় আপনি একটি গানের লিরিক, চমক হাসানের বিবাহত্তোর সম্বর্ধনার বর্ণনা করতে গিয়ে পরক্ষণেই চলে গেলেন হিউমার চর্চায়, নিয়ে আসলেন ড্রাইভার শ্রেণি পেশার মানুষকে, এবং পরক্ষণেই আপনার উনিশের প্রসঙ্গ, এবং আবার গানে। খুব অল্পসময় যখন আপনি এইরকম নানা বিষয়ের অবতারণা করবেন তখন পাঠক স্থীর থাকতে পারবে না। আপনার মনোজগতকে সে খুঁজতে থাকবে, তারপর সে আরো আগাবে, এইভাবে একটা সম্মোহন তৈরি করতেন হুমায়ুন আহমেদ। আপনার বইয়ের অনেক যাগায় এর স্পষ্ট ছাপ আছে।
আপনার সংখ্যা অবসেশন অতিমাত্রায় একগেঁয়েমী লাগে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়াবাড়িও। আপনি যেভাবে সংখ্যাকে ভাষা থেকে আলাদা করতে চাচ্ছেন তা আপনার একেবারেই মন গড়া। সংখ্যা-ভাষা কখনোই আলাদা নয়। সংখ্যাও একটা শব্দ।আসলে শব্দ কী? শব্দ হচ্ছে যার একটি Significant এবং signifier আছে। ধরুন একটা ‘গাছ’ একটি শব্দ এটা বললে আমাদের মাথায় একটা ছবি আসে মানে এর একটি signifier আছে। এইভাবে ৫২ আমদের ভাষা আন্দোলনকে, ৭১ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের signifier হিসেবে বাংলা ভাষায় একটি শব্দের স্থান দখল করে আছে। ৫২ বললেই আমাদের কন্টেক্সটে ভাষা আন্দোলকে signify করে। ৭১ বললেই আমাদের মুক্তি যুদ্ধকে signify করে। সংখ্যা নাম হওয়ার নজিরও আমরা পাই। সংস্কৃত ভাষার আদি ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম অষ্টাধ্যায়ী, George Orwell লিখেছেন ‘১৯৮৪’। আবার Anthony Burgess লিখেছেন ‘১৯৮৫’। ‘১৯৮৫’ বইটি কিন্তু ইন্টারভিউ রিলেটেড।
এইসব দিক দিয়ে আপনার বইটির নাম ৩১৭৯ হলে মন্দ হত না বরং পাঠকের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েযেত। আপনি কেবলি ভিন্নতার জন্যই এটিকে নামহীন রেখেছেন। না এটা আপনার অস্থীর চিন্তার একটা বহিঃপ্রকাশ?
#‘৩১৭৯’ কে নিয়ে আপনি লুকোচুরি করেছেন এর কয়েকটা কারণ হতে পারে (এক) আপনি নিজেই নিশ্চিত নন ৩১৭৯ কে! কখন মনে হয়েছে এটা আপনার প্রতিপুরুষ, আবার কখনো মনে হয়েছে এটা আপনার ছোট বেলার অবসেশন সেই মেয়েটি যে আপনাকে ছাতা দিয়েছিল, আবার কখনো মনে হয়েছে এটা ৪১। আবার পাঠক ভেবেও কয়েক যায়গায় কৈফয়ত দিয়েছেন। (দুই) আপনি চেয়েছেন ‘৩১৭৯’ কে নিয়ে একটা ধুম্রজাল তৈরি করতে চেয়েছেন যেন পাঠক শেষ পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে কে ‘৩১৭৯’। (তিন) আপনি আত্মপক্ষ সমর্থনের আশ্রয় হিসেবে ‘৩১৭৯’ কে বেছে নিয়েছেন, যেখানে আপনি প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে পাঠক যে প্রশ্নগুলো করতে পারে তার একটা সম্ভাব্য জাবাব আপনি আগেই দিয়ে দিলেন। এতে কি আপনার মনে হয় না আপনি পাঠকে আন্ডারইস্টিমেইট করেছেন? যদি মনে না হয় তাহলে একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে।
#‘৩ নং পৃষ্ঠায় আপনি বলেছেন বিজনেস আমাদের সামাজিক মনোজগতে একপ্রকার ট্যাবু’ কিন্তু এটার সাথে একমত নই, এটায় আপনার নলেজ গ্যাপ রয়েছে। আমাদের নোয়াখালী বেল্টে আপনি একটু ডেইটা নিয়ে দেখেন বিজনেসকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমাদের ইসলাম ধর্মেও ব্যবসাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
#স্ল্যাংকে নিয়ে একটু বাড়াবাড়ি করেছেন যেটা দরকার ছিল না। স্ল্যাং হচ্ছে সামাজিক ট্যাবু। সামাজিক মানুষ তার সমাজ বাস্তবতায় স্ল্যাংকে তারা বিভিন্ন ভাবে ইন্টারপ্রেট করে। ‘সোনা’ বাংলা ভাষায় খুবই দরদী একটা একটা শব্দ। কিন্তু নোয়াখালী বেল্টে এটা একটা ভয়াবহ স্ল্যাং। তাহলে স্ল্যাং কিন্তু উইনিভার্সেল নয়। কথক ও শ্রোতার উপর নির্ভর করবে স্ল্যাং এর গতি।
#১৭১ পৃষ্ঠায় আপনি নিজেকে এবং নিজের সত্ত্বাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন আবার ঠিক উল্টে যাচ্ছে অন্য যায়গায় তার মানে কী দাঁড়ালো! আপনি কি নিশ্চিত নন আপনার দর্শনে? বা আসলে আপনার কাছে জীবনের ফিলোসফি কী?
#১৭৫ পৃষ্ঠায় আপনি বলেছেন প্রচলিত ধ্যান ধারনার বাইরে আপনি নিজের মত সব কিছু ইন্টারপ্রেট করতে চান – এটা একধরণের স্বেচ্ছাচারিতা হয়ে গেল না? আর এটাকি আদো সম্ভব? সম্রাট নিরো পৃথিবীকে /রোমকে খোলনচলে পাল্টাতে চেয়েছেন কিন্তু পেরেছেন কি? এমনকি তিনি প্রাচীন রোমকে জ্বালিয়ে দিয়েছেন নতুন করে গড়বেন বলে – সেটা কি সম্ভব হয়েছে? নিরোর পরিণতি জানেন বোধ হয়। যে মৃত্যুর সময় চিৎকার করে বলেছিল আমার কি কোন শত্রু নেই যে আমাকে মৃত্যু উপহার দিতে পারে? অথবা আমার কি বন্ধু নেই যে আমাকে মেরে উদ্ধার করতে পারে?
#আর আপনি একেই কথা অনেক যায়গায় বলেছেন, এই পুনরাবৃত্তি না হলে বইটি আরো সুখপাঠ্য হত না?
যারফলে আমিও সুনির্দিষ্ট একটা পৃষ্ঠা থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি যেখানে এর প্রাবল্য ছিল বেশি।
#১৯৬ পৃষ্ঠায় লেখক পাঠকের সম্পর্কের কথা বলেছেন সেটাকে এই ভাবে ব্যাখ্যা করা যায় পাঠক মাত্রই সে ফ্যান্টাসিতে ভোগে, নিজের সমগ্র সত্ত্বার একটি পজিটিভ অবয়াব সে কল্পনা করতে চায়, তখন লেখক যাই লেখেন পাঠক তার সাথে নিজেকে রিলেট করে নেয়। এখানে লেখকের দায়িত্ব হওয়া উচিত নিজের জন্য লেখা। মহান লেখক মাত্রই তাই। পাঠকের জন্য লিখলে সেটা আর যাইহোক সাহিত্যকর্ম হবে না। তবে আপনাকে ধন্যবাদ যে এতবড় একখানা বই আপনি কারো কথা বিবেচনা না করে লেখার সাহস পেয়েছেন। এমনকি নাম দেন নাই! এই ব্যতিক্রমী ভালো কিন্তু রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড সোসাইটিতে এর প্রভাব কতটা গভীর তা কি ভেবেছন?
#২০০ পৃষ্ঠায় আপনি আপনার নিজের উদ্যোক্তা হওয়ার বর্ণনা দিয়েছেন খুব ছোট বেলা থেকেই, আপনি দোকান দিয়েছেন এই হিসেবে। এটা নিজেকে খুব জাহির করার সুপ্ত লোভ থেকেই সৃষ্টি বলেই মনে করি। এবং একটু বাড়াবাড়িও বটে। বাংলাদেশের ৯০% শিশুরই শৈশব এইভাবেই কাটে। গল্প তৈয়ার করার যে বর্ণনা দিয়েছেন সেটাও এজইউজ্যাল। ছোট বেলায় এইরকম গল্পতো আমরা সবাই করতাম। আমারতো রীতিমত ভক্ত শ্রেণি ছিল যারা আমার বানানো গল্প শুনত। আমি এমনকি আমার সমবয়সিদেরও বানানো গল্প শুনাতাম। এই ধরনের ছোটখাটো বিষয়কে অতিগুরুত্ব দিয়ে আপনকি নিজের আত্মদাম্বিকতাকে প্রমোট করছেন না?
#আপনি দীর্ঘ ৬২০ পৃষ্ঠার বই লিখেছেন। নিঃসন্দেহে বইটিতে আপনি আপনার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। বিস্ময়কর যেটা আপনা অসম্ভব তীক্ষ্ণ স্মরণ শক্তি। আলোচনা সমালোচনা যাই করি না কেন আপনার স্মরণ শক্তির তারিফ না করলে বড় অবিচার হয়ে যাবে।
#চোখে না দেখলে মানুষ চশমা পরে, আবার ফ্যাশনের জন্যও, যেকারণেই হোক চশমা পরাকে আমাদের সমাজে খুব নেগেটিভলি নেয় না। কিন্তু একবার চিন্তা করুনতো কেউ যদি কানে না শুনার কানের মেশিন লাগিয়ে হাঁটে কী হবে পরিস্থিতি?
#ধরুন জল আর কল আলাদা দুটি শব্দ আমরা তাকে ভিন্ন অর্থে ইন্টারপ্রেট করছি। এখন রাষ্ট্র যদি আজ পরিপত্র জারি করে যে কল vs জল হবে, আর জল vs কল হবে তখন কী ঘটবে একবার চিন্তা করুন না!
অথচ শব্দের কোন আলাদা ক্ষমাতাই নেই মানুষ যেভাবে শব্দের উপর অর্থ আরোপ করে সেইভাবেতো শব্দের অর্থ নির্ধারিত হয়, তাই নয় কি?
#ই-মেইল ও চিঠি নিয়ে আপনার অস্বাভাবিকতা লক্ষণীয়। ই-মেইলতো একটা ফরমাল ইস্যু এটাকে আপনি ইনফরমাল কমিউনিকেশনের অংশ বানানোর মূল লজিক কী?
কমিউনিকেশন এর ধরনতো পাল্টাবে চিঠি হারিয়ে গেছে এটাই বাস্তবতা আপনি একে মানতে পারছেন না। জোর করে টিকেয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই অধিকাংশেরই আপনার এই পদ্ধিতির সাথে আগ্রহ নেই। এবং আপনি আমাকে এখন একখানা পত্র লিখেন আমি এটাকে আপনার পাগলামী ধরে নিব। আপনার প্রতি আমার ভালোবাসা থাকলে চিঠি হাতে পেয়ে একটা স্মিত হাসি হেসে, অস্ফুট উচ্চারণে হয়ত বলব – পাগল কোথাকার। বিশ্বাস করুন এর চেয়ে বেশিকিছু নয়।
#মাইকেলকে আপনার অবসেশনের বিষয় হিসেবে নেওয়ায়র একটা যুক্তি হতে পারে যে তিনি প্রচণ্ড ক্ষেপাটে ছিলেন। এই ক্ষেপামী আপনার ভালো লেগেছে। আপনি যেমন নিজের বিষয় উচ্চ ধারণা পোষণ করেন সেও তেমন ছিল। তাঁর সময়কার নাট্যকার ছিল তারা যখন বাংলা নাটক লেখা শুরু করে তখন মাইকেল তাদের খুব তিরস্কার করেছিল। যে এরা যা লিখছে তা কিছুই হচ্ছে না। তারপর সে অনেকগুলো নাটক লেখে এবং সফল হয়। কিন্তু তার বড় সমস্যা ছিল সে নিজের ব্যাপারে ওভাররেটেডে চিন্তায় মগ্ন ছিল, নেশা নারী আর ওভাররেটেডেট চিন্তা একজন মহান কবিকে কীভাবে হারিয়ে দিয়েছে তার বিষয়ে আপনি ওয়াকিবহাল নিশ্চয়ই।
#প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা বলেছেন- আচ্ছা প্যারালাল ইউনিভার্স হিসেবে বেহেস্তকে চিন্তা করা যায় না? আল্লাহ বেহেস্ত এবং ইউনিভার্সের কথা যেভাবে বর্ণনা করেছেন তাতেতো মনেই হতে পারে বেহেস্তই একটা প্যারালাল ইউনিভার্স, তাই নয় কি?
#আপনি বলেছেন নজরুলের প্রতি আপনার কোন আগ্রহ নেই। কিন্তু আপনার ছোট বেলা থেকে আগ্রহের যায়গা হল মাইকেল এবং পরবর্তীতে সেটা জীবনানন্দের দিকে ধাবিত হয়। কিন্ত যদি ক্ষেপামীই আপনার পছন্দ তাহলে মাইকেলের কাছাকাছি নজরুল কেন আপনার পছন্দ নয়, সেটা বিপরীত ধর্মী জীবনানন্দ কেন?
#আপনি বইতে অনেকবার বলেছেন সোহাগ ভাই আপনাকে বলত পারলে করে দেখাও কথাটা কিন্তু সর্বৈব সত্য। আর ব্যবসায়িক ভাবে আপনি সফল বা বার্থ বা অসফল কোনটাই নয়। তাই আপনাকে প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে। সেটা আপনি পারবেন বলেও বোধ হয় না। কারণ মেন্টালি আপনি সে ক্যাটাগরির নন।

#সব শেষে আপনার জন্য জালাল উদ্দীন রুমির এই কবিতা:

জীবনে যা কিছু অতিরিক্ত তার সবই গরল।
ক্ষমতা, অর্থ-সম্পদ, ক্ষুধা, লোভ, অলসতা,
অথবা উচ্চাকাঙ্খা, মোহ, ঘৃণা, ভালোবাসা;
প্রয়োজনের বেশী যতটুকু বিষাক্ত করে জীবন ততটুকু।
অনিশ্চয়তা-ই জীবনের ধর্ম।
অনিশ্চিত জীবন রোমাঞ্চকর,
কাপুরুষ খুঁজে নিশ্চিত জীবন।
অন্যের মধ্যে ভালো দেখে না যে পুষে বিদ্বেষ।
যে দেখে ভালো অন্যের অনুপ্রেরণা তার সঞ্চয়।
নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে কিছু রেগে যাই ঠিক,
মেনে নিতে পারলে সহিষ্ণুতা বাড়ে তাও ঠিক।
যে যেমন তাকে তেমনি গ্রহণ করি যদি বাড়ে ভালোবাসা, অন্যথায় বাড়ে ঘৃণা সুনিশ্চিত।