টিম লিডারের প্রতিশব্দ কি বস্? গুগল খুঁজে boss এর বাংলা পরিভাষা পাওয়া গেল মনিব, উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, প্রধান কর্মকর্তা বা তত্ত্বাবধায়ক,আদেশ প্রদানকারী।
অফিস কালচারে বস্ থিওরিটাই প্রতিষ্ঠিত, অথচ কনসেপ্ট অনুসারে শব্দটা হওয়া উচিত ছিলো টিম লিডার। বাংলাদেশের ছোট, বড়, মাঝারি কোম্পানীগুলোতে এক্সটেনসিভ আকারের জরিপ চালানো হোক, নিশ্চিত করে বলতে পারি, টিম লিডার কনসেপ্টটা বিলুপ্তপ্রায় দশায় আবিষ্কৃত হবে।
টিম লিডার একটা বিশাল রেসপনসিবিলিটি। তার টিমে যদি ১৩ জন মানুষ কাজ করে, সেই ১৩ জনের প্রত্যেকের দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত। কী করলে তাদের ৭৫% অর্থাৎ ১০ জন খুশি থাকবে, কাজকে বোঝা মনে করবে না, অফিসকে ঘরের মতো আপন ভাববে এসব ভেবে আর বাস্তবায়নেই দিন-মাস চলে যাওয়ার কথা তার।
৭৫% বললাম কেন, এর সুনির্দিষ্ট একটি কারণ আছে। যারা বলে সবাইকে খুশি করবো, তারা আসলে কাউকেই খুশি করতে চায় না বা পারে না, তাদের একদম স্পেসিফিক কোনো প্ল্যান করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু যখন তিন-চতুর্থাংশ মানুষকে টার্গেট করে কোনো প্ল্যান করা হয়, সেটা অনেক বেশি ফোকাসড এবং পিনপয়েন্টেড থাকে। পৃথিবীতে এমন কোনো সিস্টেম বা কনসেপ্ট প্রচলন করা সম্ভব নয় যার মাধ্যমে ১০০% মানুষকে সুখী করা যেতে পারে। এজন্যই টিম লিডারের টার্গেট হওয়া উচিত তার জিম্মাদারিতে থাকা মানুষগুলোর বড় অংশকে খুশি রাখার জন্য নিজেকে জেরবার করে ফেলা।
এটা বললাম, কী হওয়া উচিত সেই আইডিয়াল কন্ডিশন। এবার বলি, বাস্তবতা। যেহেতু টিম লিডার কনসেপ্টটাই বাস্তবে সচরাচর এক্সিস্ট করে না, প্রায় সর্বত্র বস্ এর জয়জয়াকার, তাই উপরে অনুমিত ১৩ জন কীভাবে খুশি থাকবে এ নিয়ে বস্ এর হোদবোধ নেই, বরং ১৩ জনের প্রাণপণ চেষ্টা থাকে কীভাবে বস্ কে খুশি রাখা যায়, বস্ এর মন পাওয়া যায়। এবং বস ইজ অলয়েজ রাইট, এটাই আষ্টেপৃষ্ঠে প্রতিষ্ঠিত। ফলে, কোনো টিমের প্রয়োজন নেই, টিম মেম্বারের মন ভালো নাকি খারাপ সেই খবর জানার প্রয়োজন নেই, উক্ত টিম মেম্বার বস্ কে খুশি রাখতে পারলো কিনা শেষ পর্যন্ত বিবেচ্য বিষয় এসে দাঁড়ায় এই একটা পয়েন্টেই। এক্ষেত্রে, একজন কর্মী যদি অফিসকে ঘৃণা করে, তার কাজকে চরম অপছন্দ করে, সেই দায় কি পুরোটাই তার নিজের, নাকি নিগূঢ় সত্যটাকেও উপলব্ধি করতে হবে?
টিম লিডার বনাম বস্ সংক্রান্ত জটটা আরেকটু রিয়েল লাইফ ওরিয়েন্টেড করে বুঝার উদ্দেশ্যে আমি ৩৭ জন মানুষের সাথে কথা বলেছি যারা বিভিন্ন কোম্পানীতে কোনো না কোনো ডিপার্টমেন্টে কাজ করে এবং বিভিন্ন কোম্পানী মিলিয়ে ১১ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বা কোম্পানী মালিকের সাথে কথা বলেছি গ্যাপটা খুঁজে বের করতে। শুরুতেই একটা অসঙ্গতি চোখে পড়ছে নিশ্চয়ই? ৩৭ জন কর্মীর বিপরীতে মালিক বা টপ লেভেলের মানুষের সংখ্যাটা এতো কম কেন? কারণ, অধিকাংশেরই দাবি তারা প্রচণ্ড ব্যস্ত, কথা বলার মতো সময় নেই, বা আমার সাথে কথা বলে লাভ কী। এখান থেকেই মানসিকতার পার্থক্যটা বোঝা যায়। কয়েকদিন আগে, একটা আর্টিকেল পড়লাম (আমার পড়া অবশ্য বেশিরভাগই মানুষের কথা শুনে বা দেখে। যে কোনো শেখার প্রক্রিয়াকেই আমি পড়া বলি), সেখান থেকে জানলাম, যারা যত ব্যস্ততার দোহাই দেয়, তারা তত বেশি আনপ্রোডাক্টিভ। ব্যস্ততা বলতে কিছু নেই, পুরোটাই প্রায়োরিটি দেয়ার ইস্যু। যেরকম দিন আসছে, আগামীতে প্রোডাক্টিভ এবং আনপ্রোডাক্টিভ মেজারমেন্টটা অনিবার্য হয়ে উঠবে। যাহো্ক, প্রসঙ্গে থাকি।
সেই ৩৭ জন কর্মীর মধ্যে ২৬ জনই বলেছে, তারা তাদের বস্ এর ব্যাপারে হতাশ, বস্ চরম দুর্ব্যবহার করে, তেল দিলে ভুল করলেও তেমন কিছু বলে না; ৮ জন বলেছে বস্ নিজেও তেমন কিছু পারে না, শুধু অর্ডার করে; মাত্র ৩ জন মানুষ বলেছে তাদের বস্ খুবই আন্তরিক এবং বস্ এর সাথে যে কোনো বিষয় শেয়ার করা যায়, ফ্যামিলি রিলেশনের মতো।
এবার আসা যাক ১১ জনের ডাটা এনালাইসিসে। আশ্চর্যের বিষয়, এদের মধ্যে ৯জনই মনে করে তারা তাদের টিম মেম্বারদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়, এবং টিম মেম্বারদের ভালো-মন্দ নিয়ে খুবই কনছার্ন। মাত্র ২জন মনে করে, বস্ হিসেবে তারা যথেষ্ট যোগ্য নন, টিম মেম্বারদের প্রতি আরও আন্তরিক হওয়া উচিত। আরও মজার বিষয় হলো, এদের মধ্যে ১০ জনই একটা বিষয়ে একমত, টিম মেম্বাররা মারাত্মক অদক্ষ, শেখার আগ্রহ নেই বললেই চলে, এবং চাকরি করার যোগ্যতাই তাদের নেই। মাত্র ১ জন, তার টিম মেম্বারদের প্রশংসা করেছেন।
এই পরিসংখ্যান থেকে মনে হতেই পারে, ‘Grass is always green in the other side of the fence’- ব্যাপারটা বোধহয় এমন। কিন্তু আদতে তা নয় একদমই।
সম্প্রতি ‘এক্সট্রিম ঔনারশিপ’ নামে একটা বইয়ের কিছুদূর পড়লাম। সেখানে একটা ইন্টারেস্টিং কেস স্টাডি পেলাম। নৌবাহিনীর একটা ট্রেনিংয়ে ১১ টা টিম করে তাদের মধ্যে কম্পিটিশনের আয়োজন করা হলো। একটা টিম প্রত্যেকবার ফার্স্ট হচ্ছে, আর একটা টিম প্রত্যেকবার শেষের দিকে থাকছে। বেশ কয়েকমাস এরকম চলার পর, একদিন স্ট্র্যাটেজি সামান্য পরিবর্তন করা হলো। যে টিমটা ফার্স্ট হয়, আর যে টিমটা খারাপ করে, দুই টিমের লিডার অদল-বদল করা হলো। অর্থাৎ খারাপ করা টিমের লিডারকে ফার্স্ট হওয়া টিমের লিডার নির্বাচিত করা হলো, আর ফার্স্ট হওয়া টিমের লিডার গেল খারাপ করা টিমে। এরপর কী হলো? খারাপ করা টিমটা ফার্স্ট হলো, বা ক্রমাগত ভালো করতে থাকলো, আর ফার্স্ট হওয়া টিম কখনো সেকেন্ড, কখনো থার্ড হলো; এর নিচে পজিশন নামলো না। এ থেকে কনক্লুশানে আসা হলো, ‘there is no bad team, but only bad leaders’; এটাই আসলে সারকথা। লিডারের পারসোনালিটি অনুসারেই টিমের চরিত্র দাঁড়ায়, টিম মেম্বার অদক্ষ বা শেখার আগ্রহ নেই এগুলো ভুল কথা।
আমি সাধারণত কেস স্টাডি বা রেফারেন্সকে খুব গুরুত্ব দিতে চাই না, কিন্তু কার্যকারণে কনসিসটেন্সি পেলে তখন অবশ্যই বিবেচনা করি।
আমাদের দেশের কর্মীদের গড়দক্ষতা কম, শেখার ইচ্ছা কম, আরামপ্রিয়- এগুলো তো রাতারাতি মিথ্যে হয়ে যাবে না, কিন্তু যারা আছে তাদের যথাযথভাবে কাজে লাগানোর কৌশল কতজন টিম লিডার বা মালিকের জানা আছে? বস্ শব্দের মধ্যেই তো তাদের চিন্তা আটকে আছে, পরিবর্তন আসবে কীভাবে?
যেমন, অফিসের মালিক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করতে হয়। এই নিয়ম কে জারি করেছে, কেন জারি করেছে? আমরা স্যার সম্বোধনটাকে শিক্ষকতার সঙ্গে সংযুক্ত করে নিয়েছি। একজন শিক্ষক, সেটা স্কুল বা ভার্সিটি যে লেভেলেরই হোক, তাকে আমরা নির্দ্বিধায় স্যার বলি, কিংবা আর্মিতে চেইন অব কমান্ড রক্ষার জন্য স্যার বলা হয়। অস্ত্র খুবই পাওয়ারফুল, সেখানে চেইন অব কমান্ড থাকা জরুরী। কিন্তু অফিসও কি একেকটা আর্মি ব্যারাক? এখানে চেইন অব কমান্ড অবশ্যই থাকা উচিত, কিন্তু সেটা রক্ষার সিম্বল কি ‘স্যার’? যদি হয়, স্যার বলার মাধ্যমে রেসপেক্ট করছি, সেক্ষেত্রে সম র্যাংকের বা নিচের র্যাংকের কারো প্রতিও তো রেসপেক্ট জাগতে পারে। সেটা কি হয় আদৌ? উপরন্তু, স্যার বলাটা তো বাই ডিফল্ট নিয়ম। অন্যথায় ঘটলে, চাকরি নিয়েই টানাটানি। চাকরি মানেই যে দাসত্ব, এই কনসেপ্টটাই যত অনিষ্টের মূল।
গ্যেটের ‘ফাউস্ট’ পড়লে জানা যাবে, ফাউস্ট শয়তানের কাছে আত্মা বেচে দিয়েছিলো, এরপর শয়তানের আজ্ঞাবাহী হয়ে উঠেছিল। আমাদের চাকরিজীবী কমিউনিটিতেও বোধকরি একজন করে ফাউস্ট বাস করে, যাদের কাছে আত্মা বিক্রির কমিটমেন্ট প্রত্যাশা করা হয়।
আমাদের বিল্ড আপ প্রসেসের মধ্যেই সমস্যা আছে। আমাদের শৈশবে বাবা-মা নিয়ন্ত্রণ করে, স্কুলে গেলে শিক্ষক নিয়ন্ত্রণ করে; কলেজ-ভার্সিটিও সেই নিয়ন্ত্রণের আবহে কেটে যায়। এরপর যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করি, তখনো সেই নিয়ন্ত্রক সত্তাই একটিভ হয়ে যায়। বস্ যখন নিয়ন্ত্রণ করে, সে এটাকে ফর গ্রান্টেড ধরে নেয়। এই সুবিশাল চেইনের ফাঁক গলে যে মুষ্টিমেয় মানুষ বেরিয়ে আসতে পারেন তারা বৃত্তের বাইরের ব্যতিক্রম হয়েই টিকে থাকেন, ইমপ্যাক্ট সৃষ্টির সুযোগ পান না।
কেন এই বসতোষণ কালচার, বা বিপরীতভাবে বললে, কেন দমন নীতি? একটা কমন ন্যারেটিভ আছে, বাঙালি শক্তের ভক্ত, নরমের যম। কিংবা প্রেসারে না রাখলে কাজ করে না, রাম রাজত্ব পেয়ে বসে। রাম রাজত্ব ব্যাপারটাই আমি বুঝি না। যার যেটা কাজ, সেটা ঠিকমতো করে কেউ যদি একটু রিল্যাক্ম, একটু ফ্লেক্সিবল জীবন অতিবাহিত করে, সমস্যাটা কী। কিন্তু ঝাঁড়ি দেয়া, দুর্ব্যবহার করা- এটা কোন্ ধরনের এথিকস হলো?
ঝাঁড়ি দেয়ার গ্রাউন্ড কী? ধরা যাক, অফিস মানে একটা বিল্ডিং। সেই বিল্ডিংয়ের বাইরে গেলে একজন বস্ আর একজন মুড়িওয়ালার মধ্যে পার্থক্য কী? সেখানে মুড়িওয়ালা চাইলেই বস্ বা মালিককে রিজেক্ট করে দিতে পারে। বিল্ডিংয়ের বাইরে অফিসের পিওন আর বস্ যদি একই আকাশের নিচে চলমান তুচ্ছবিন্দু হয়ে যায়, তাহলে বিল্ডিংয়ে অবস্থানের সুযোগ নিয়ে দুর্ব্যবহার, ঝাঁড়ি- এগুলো তো রংবাজির মতো হয়ে গেলো। একজন সেন্সিবল মানুষের কাছ থেকে এই আচরণ কি সত্যিই কাম্য? ঝাঁড়ি দেয়ার অথরিটি বা কর্তৃত্বের উৎস কী; তাকে বেতন হচ্ছে, এই শক্তিতে? ব্যাপারটা যেহেতু আর্থিক যোগান থেকে আসছে, আচরণটাও তাহলে অর্থনৈতিক হোক। একজন কর্মী ভুল করলে বা অন্যায় করলে সেটাকে মেজর, মিডিয়াম, মাইনর ক্যাটেগরিতে বিভক্ত করা হোক, এবং সেই প্রেক্ষিতে আর্থিক জরিমানা করা হোক। এতে, কর্মীও পরেরবার ভুল করার আগে দশবার ভাববে। কারণ, অর্থনৈতিক তাড়না না থাকলে পৃথিবীর ৯০% মানুষও চাকরি করতো না।
ঝাঁড়ি দেয়ার উদ্দেশ্য যদি হয় ক্ষমতা জাহির, সেই রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তবে ঝাঁড়ির অন্তর্গত উদ্দেশ্য যদি হয়, কর্মীর ভুল সংশোধন, সেক্ষেত্রে এটা খুবই বাজে একটা টুল। মানুষের ইমোশন খুব জটিল প্রক্রিয়াতে কাজ করে। আপনার সাথে একজন মানুষের ৩ বছরের রিলেশন, সেখানে অনেক সুখস্মৃতি আছে, এই মানুষটি ৭দিন আপনার সাথে খারাপ আচরণ করুক, বিগত ৩ বছরের সমস্ত স্মৃতি ফিঁকে হয়ে যাবে, এবং খারাপ লাগার অনুভূতিগুলোই প্রকট হতে থাকবে। এজন্যই বলা হয়, গড়তে লাগে ১০ বছর, ভাঙতে ১০ মিনিট।
ডেভেলপমেন্ট, ইমপ্রুভমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া। কিন্তু ক্ষমতা মানুষের অন্যতম মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। এর মোহে পড়ে বাবা ছেলেকে, ছেলে বাবাকে, বা ভাইও ভাইকে খুন করতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করে না। সভ্যতার ইতিহাস অবিরাম খুনোখুনির, যার নেপথ্য ফ্যাক্টর যতোটা অর্থ, তার চাইতে বহুগুণ বেশি ক্ষমতা। একজন মানুষের ১০ কোটি টাকা আছে এটা যতোটা তার জন্য স্যাটিসফাইং, ১০ জন মানুষ তার কথায় ওঠে- বসে, সেটা বেশি মোটিভেট করে হয়তোবা। কর্মজীবনের মূল্যবান সময় এবং শ্রমের সবচাইতে বড় অংশটাই ব্যয় হয়ে যায় অফিসে। সেই অফিসকে যদি একজন মানুষ ঘৃণা করে, বুঝতে হবে কতোটা অসন্তোষের এক জীবন সে পার করে। সেই জীবনে উদ্দেশ্য, বিধেয়, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি সবকিছুই ঠুনকো লাগে তখন। অন্যদিকে, প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে আরও উপরে ওঠার মিশনে বস্ নিজের সীমানা খুঁজে পায় না; ফলে তারাও এক ধরনের বৈকল্যে ভুগে। এই চেইন অব রিএকশন, মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক সমস্ত জীবনকে প্রভাবিত করে, সামাজিক চালচিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অথচ, জীবন খুবই তুচ্ছ এবং ক্ষুদ্র একটা ব্যাপার।
এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে পরবর্তী চুমুক দেয়ার মধ্যবর্তী যে সময়ের ব্যবধান, জীবন তার চাইতেও ক্ষুদ্র।
ক্ষমতা, দম্ভ আর ঈর্ষার সাড়াশি প্রলোভন আর মুহুর্মুহু আক্রমণে তুচ্ছ জীবনকেও যক্ষের ধন মনে হয়, আর আমরা কেবলই মানুষ থেকে দূরে সরে যাই। দূরে যেতে যেতে একদিন হয়তোবা পৃথিবীর শেষ সীমানা ভেদ করে অন্য কোনো গ্রহে চলে যাবো, তবু দূরত্বগামী চলাচল থামবে না। জীবনকে জীবন হিসেবেই দেখতে চাই……..