আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত অনুসারী হন আমিনুল ইসলাম নামটি শোনামাত্র এক অনন্য নস্টালজিয়ায় ফিরে যাবেন আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ, ৯৭ এর আইসিসি ট্রফি, ৯৯ এর বিশ্বকাপ এবং অভিষেক টেস্টের সেই রেকর্ড গড়া ১৪৫ রানের ইনিংসে।
তবে যদি বলি, তার ডাকনাম বুলবুল নয়, ভোলা, ৯৭% অনুসারীই তাকে স্মরণে আনতে পারবেন না। বসে যাবেন গুগলিং করতে এবং ক্রিকইনফো থেকে খুঁজে পেয়ে বলবেন- মাত্র ১ ওয়ানডে খেলা এক বোলার যিনি ৫ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছিলেন, সে আলোচনার বিষয়বস্তু হয় নাকি, মানুষের হাতে আজাইরা সময় থাকলে কত কিছু করে!- এই সুনিশ্চিত মন্তব্যটি করে পুনরায় ফেরত যাবেন নিজের কাজে।
৯৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখতে শুরু করি। ৯৮ বা ৯৯ সালের জাতীয় লীগের খেলার স্কোরকার্ড পত্রিকায় দেখতাম নিয়মিত। তখন দুজন বোলারের নামে আলাদাভাবে চোখ চলে যায- দোলা এবং ভোলা। দোলা নামে মৌসুমী-ওমরসানীর একটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো, তৎকালে মানিকগঞ্জে দোলা নামে এক তরুণীকে নিয়ে এলাকার বড়ো ভাইদের প্রচুর গল্প করতে দেখতাম, আম্মুর স্কুলজীবনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর নাম দোলা; ফলত, দোলা নামটা মেয়েদের হয় এটাই ছিলো ধারণা। তখন ফাইভ-সিক্সে পড়ি, এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম জাতীয় লীগে কোনো মেয়ে খেলছে না। দোলা নামের প্রভাবে ভোলা নামটাও এড়াতে পারতাম না।
তবে ভোলাকে মনে রাখার ক্ষেত্রে সেসময়ে দেখা এক বাংলা সিনেমার ভূমিকা রয়েছে। ভিলেন আহমেদ শরীফ তার দলের পাণ্ডাদের বলতো ‘পোষা কুত্তা’, এক পাণ্ডার নাম ছিলো ‘ভোলা’, যে কারণে আমরা ২ ভাই দুষ্টুমি করার সময় প্রায়ই একে অপরকে ‘পোষা ভোলা কুত্তা’ ডাকতাম।
উইকিতে দেখলাম বাংলাদেশের হয়ে এখনো পর্যন্ত ১৩০ জন ক্রিকেটার ওয়ানডে খেলেছেন, ভোলার ক্রমিক নং ৪৬; ক্রিকইনফো খুঁজে পেলাম লিস্টA তে ৩১ ম্যাচে ৫১ উইকেট, ফার্স্ট ক্লাস পারফরম্যান্স আরেকটু সমৃদ্ধ: ২৫ ম্যাচে ৭১ উইকেট, সেরা ৬/৫৭, ৫ উইকেট ৩ বার।
তবে ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম ভোলাকে নিয়ে বাতচিত করার উদ্দেশ্যে এই লেখার অবতারণা নয়, বরং অদৃষ্ট, কো-ইনসিডেন্স কিংবা নিয়তিকে বোঝার ক্ষেত্রে আমিনুল ইসলাম ভোলা কিংবা আহমেদ কামাল কর্নেলরা দারুণ স্যাম্পল হতে পারে।
ভোলা তার ক্যারিয়ারের একমাত্র ম্যাচটি খেলেছিলেন কেনিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে মূলত ওপেনার শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুতের ৯৫ রানে লেগবিফোর হয়ে যাওয়ার কারণে। একই টুর্নামেন্টে পরে অপি সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিয়ন হন, সেই ম্যাচেও বিদ্যুৎ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ২১৩ রান সংগ্রহ করে। প্রখ্যাত ওপেনার জাভেদ ওমর ৬১টি বল খেলে মূল্যবান ২৫টি রান সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী মনে হয় না, এজন্য তাদের প্রতি বিশেষ বিরক্তি নয়, কিছু ক্ষেত্রে সহমর্মিতা বোধ করি। তবে ৩ জন ক্রিকেটারের প্রতি আমি চরম ক্ষুব্ধ- শীর্ষে ইমরুল কায়েস, ৩য়তে থাকবে অভিমানী রকিবুল, এবং ২য় তে জাভেদ ওমর। সেই ইনিংসের কারণে পরের ম্যাচেই জাভেদ বাদ পড়েন, তার স্থানে ঢুকেন অপি, এবং জাভেদ বিশ্বকাপের দল থেকেও জায়গা হারান।
সেই সময়ে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে শুরুর দিকে প্রতিপক্ষের ১-২টা উইকেট তুলতে পারলেই আশা জমতো, আজ হয়তো কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া কেনিয়া তখন বাংলাদেশের আর্ক-রাইভাল। ভোলা ঠিক সেই কাজটিই করেছিলেন, ইনিংসের শুরুতেই কেনেডি ওটিয়েনোকে তুলে নিয়ে।
বাংলাদেশ ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত খুব স্পষ্ট ব্যবধানেই হেরে যায়। স্টিভ টিকোলো সেঞ্চুরি করে হিসেব পাল্টে দেন। তবে ইতিহাসে যে কথাটি লেখা নেই, টিকোলো তার ইনিংসের শুরুর দিকে বোল্ড আউট হয়েছিলেন একবার, বোলার ছিলেন ভোলা, কিন্তু ডেলিভারিটিকে আম্পায়ার ডাকেন নো-বল!
তবে নো-বল ইস্যুটা নিয়ে আমার স্মৃতি পুরোপুরি নির্ভুল নাও হতে পারে। সম্ভাবনা আছে অন্য এক আনঅফিসিয়াল ম্যাচের সাথে গুলিয়ে ফেলছি। ১৯৯৮-৯৯তে ইংল্যান্ড এ দল বাংলাদেশ সফরে এসেছিলো, সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন মার্ক এলেইন। মার্কাস ট্রেসকোথিক, বিক্রম সোলাংকি, সাইডবটম- প্রমুখ পরবর্তীতে ইংল্যান্ড মূল দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলো তারা, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়েছিলো ম্যাচটি। বিসিবি একাদশ জিততে জিততেও হেরে যায় অধিনায়ক এলেইনের নৈপুণ্যে। এলেইন একবার বোল্ড হয়েও বেঁচে যান নো-বল এর কল্যাণে, বোলারের নাম আমিনুল ইসলাম ভোলা!
ধরা যাক, নো-বল ঘটনাটি কেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের। টিকোলো ভোলার বলে বোল্ড হয়ে গেলেন, বাংলাদেশ এক বছরের ব্যবধানে ২য় বারের মতো কেনিয়াকে হারিয়ে দেয়া, তার ফলশ্রুতে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপগামী দলে ভোলার সুযোগ মিলতো।
সেই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে ২ বার খেলেছে, ভোলা খেলেছিলো টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই, বাকি ৩ ম্যাচে আর সুযোগই মেলেনি। তার পরিবর্তে খেলেন শফিউদ্দিন বাবু। হয়তোবা ভোলা আরো কোনো ম্যাচে সুযোগ পেতেন, কিন্তু শফিউদ্দিন জিম্বাবুইয়ের কোনো এক ব্যাটসম্যানকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড আউট করে দিয়েছিলেন। তখনকার সময়ের প্রেক্ষিতে জিম্বাবুইয়ের ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করাকে বড়ো অর্জন হিসেবেই ধরা হতো।
সম্প্রতি উৎপল শুভ্রর লেখা ‘এগারো’ বইটা পড়ার সময় মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অংশটায় একটা চমৎকার স্বীকারোক্তি পেয়েছি। শুভ্র কিছুটা আক্ষেপের স্বরে লিখেছেন, ঘরোয়া লীগে যে নান্নু দিনের পর দিন ম্যাচ জিতিয়েছেন একা হাতে, ৯৯ এর বিশ্বাকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচটা বাদ দিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেরকম পারফরম্যান্স কেন নেই। এ প্রসঙ্গে নান্নুর উত্তর ছিলো- আসলে এতোদিন পর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি যে এর সঙ্গে মানানোরই সময় পাই না।
ভোলার মাত্র এক ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পেছনে ‘বহুদিন পরপর খেলা’ তত্ত্বটা সত্য হতে পারে। ওই টুর্নামেন্টে আর সুযোগ মিললো না, বিশ্বকাপ, তারপর লম্বা বিরতি ওয়ানডে ম্যাচের, ততদিনে হয়তোবা ঘরোয়া লীগে ভোলা আর আহামরি কোনো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি, যে কারণে বিবেচিত হয়নি। তাছাড়া সেই সময়ে পেস বোলিংয়ের ইয়ুথ পুলটা বেশ সমৃদ্ধ ছিলো। মাশরাফি, তালহা, মোহাম্মদ শরীফ, নাজমুল, শাহাদাত রাজীব- যে কারণে বিস্মৃত ভোলার নজরে আসাটা দুরূহ হয়ে উঠেছিলো আক্ষরিক অর্থেই।
ভোলার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মারকুটে ওপেনার হারুনুর রশিদ লিটনের কথা মনে পড়লো। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি ২টি ওয়ানডে খেলেছেন, দুটোতেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। বহু বছর বাদে ফজলে মাহমুদ রাব্বী জিম্বাবুইয়ে সিরিজে সুযোগ পেয়ে তার সেই একাকীত্বের যন্ত্রণা ঘুঁচিয়ে দিয়েছেন। একবার কলাবাগানের বিপক্ষে আবাহনী বা মোহামেডানের কোনো এক ম্যাচ টেলিভিশনে সম্প্রচার করেছিলো, কলাবাগানের পক্ষে লিটন সেই ম্যাচে দারুণ খেলছিলেন। ধারাভাষ্যকার জাফরউল্লাহ শারাফাত বলছিলেন- লিটন যখন দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন সেই সময়ে বাংলাদেশ বলতে গেলে ম্যাচই পেতো না।
আমার মাথায় ঘুরে- ভোলা কিংবা আহমেদ কামাল কর্নেল যখন প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তখন তাদের পরিবার কী করেছিলো, তাদের বন্ধু-বান্ধবরা কী ধরনের গল্প করেছিলো? তাদের স্বপ্নের সীমানা কতদূর বিস্তৃত হয়েছিলো। সাকিব আল হাসান বা মুশফিকুর রহিম প্রথমবার চান্স পাওয়ার পর তাদের নিকটজনেরা যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলো, সেই প্রতিক্রিয়াও হয়তোবা একই রকম ছিলো।
কিন্তু মাত্র ১ ম্যাচে যখন থেমে গেলো ক্যারিয়ার, তারপর তারা কী করেছিলেন? দলে ফেরার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন, নাকি নিয়তি মেনে ঘরোয়া লীগ আর ঢাকার বাইরে খ্যাপ খেলাতেই মনোনিবেশ করেছিলেন।
আমাদের ছোটবেলায় এলাকার বড়ো ভাইদের মুখে প্রায়ই শুনতাম জাতীয় দলে খেলতে নির্বাচকদের ঘুষ দিতে হয়, তার বিনিময়ে ১-২ ম্যাচ খেলতে পারে, যদি এর মধ্যে পারফরম করতে পারে তাহলে টিকে গেলো, নয়তো চুক্তি মোতাবেক ম্যাচ শেষে বাদ। বাংলাদেশের প্রচুর সংখ্যক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার-ম্যাচ সংখ্যা ৫ এর কম দেখে বড়ো ভাইদের সেইসব কথাকে নিছক মুখের বুলিকে ভাবতে ইচ্ছা করে না।
তবে কি ভোলাও ঘুষ দিয়েছিলেন? কত টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন, কীভাবে সেই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছিলো? এসব ভাবতে গিয়ে প্রশ্ন জাগে, মাত্র ১-২ ম্যাচ জাতীয় দলে খেলে আসলে লাভ কী হতো; এতে কি খ্যাপের বাজারে দাম বাড়তো, নাকি ‘আমি জাতীয় দলের প্লেয়ার’- এই সুখানুভূতিই তাদের সামাজিক স্ট্যাটাস বৃদ্ধিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করতো?
জাতীয় দলের অনেকেই খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে কোচ হয়েছেন। যেমন, আবাহনীর জাকির এখন ঢাকাজুড়ে জ্যাকি স্যার হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত, জাতীয় দলের উদ্বোধনী পেসার সাইফুল ইসলাম বিসিবিতে আছেন কোচ হয়ে; খেলা ছাড়ার পর এখন কোথায় আছেন ভোলা? অভিষেক টেস্ট খেলা পেসার বিকাশ রঞ্জন দাস ধর্মান্তরিত হয়ে মাহমুদুল নাম নিয়ে চাকরিতে ঢুকেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারানো ম্যাচে পন্টিংকে আউট করা পেসার তাপস বৈশ্য প্রবাসী হয়েছেন, যেমনটা হয়েছেন স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান আলশাহরিয়ার রোকন। ভোলাও কি সেই দলভুক্ত হয়েছেন?
কিংবা তার খেলা ম্যাচটি যার কারণে বিখ্যাত সেই শাহরিয়ার বিদ্যুৎ পারিবারিক বিজনেসে যুক্ত হয়েছেন অনেকদিন আগেই। ভোলাও কি তার মতো, নাকি এলাকায় ফিরে গিয়ে সেখানে ক্রিকেট একাডেমি খুলেছেন, নাকি সাঈদ আনোয়ারের মতো তাবলীগ জামাআত নিয়ে দেশ-দেশান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এককালে ক্রিকেট ম্যাচ হতো, এ প্রজন্মের মানুষকে সেটা বিশ্বাস করানো কঠিন। ভোলা তার একমাত্র ম্যাচটি খেলেছিলেন এ মাঠেই। সেই ম্যাচের স্মৃতি কি মনে আছে তার? যার নামের সাথে তার মিল সেই আমিনুল ইসলাম ছিলেন সেই ম্যাচের অধিনায়ক। কেন তাকে মাত্র ৫ ওভার বোলিং করিয়েছিলেন তা কি জিজ্ঞেস করেছিলেন তাকে, কিংবা তার নামের পাশে যখন আমিনুল ইসলাম জুনিয়র বসানো হয়েছিলো, কেমন লেগেছিলো তার? এনামুল হক জুনিয়র, মেহরাব হোসেন জুনিয়র প্রমুখদের কাছে কি জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো একই প্রসঙ্গে তাদের মনোভাব?
সংগ্রাম জনম জনমের, সুযোগ মাত্র ১ বার ২ বার; সেটাকে যারা কাজে লাগাতে পারেন তাদের আমরা সফল হিসেবে সেলাম জানাই। তাদের ভক্ত হওয়াকে গর্বের ধরে নিই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তো সুযোগ কাজে লাগাতে পারে না। যারা পারে তাদের সাথে পার্থক্যটা কোথায় হয়? এই উত্তর অজানা বলেই ভোলাদের আমরা ভুলে যাই। মাশরাফি বা সাকিব-তামিমের ইন্টারভিউ তো অজস্র বার পড়েছি, ভোলা-কর্নেল-আনোয়ার হোসেন-ফাহিম মুন্তাসির সুমিত-আলমগীর কবির-সাব্বির রহমান খান-শরীফুল হক প্লাবন-আনিসুর রহমান- মোর্শেদ আলী খান সুমন- তালহা জুবায়ের প্রমুখ ক্রিকেটারের গল্প শোনার মধ্যেই কি শেখার মূল নির্যাসটা নিহিত নেই?
সফলতা তো ভনিতা, বরং অসফল কেন হয় মানুষ, সেই গল্পটাই তো প্রকৃত অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।